বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

বাবা মেয়ের যে গল্প কাঁদিয়েছিল সারা পৃথিবীর মানুষকে..

 👤 বাবা!! নামটা দুই অক্ষরের, ছেলে অথবা মেয়ে, দুই অক্ষরের!! পাগল এবং সন্তান তিন অক্ষরের।

কি লিখছি নিজেও জানি না, কেনও মুভিটা দেখলাম, বাবা নামক এক পাগল, আর কোরিয়ান ভাষায় বাবা(appa) বাবা(appa) বলে ডাকে এমন এক নিষ্পাপ মেয়ের 👧 ভালোবাসা অনুভব করতে ইচ্ছে করলো। এর আগের দিনের #Grave_of_the_Fireflies নিয়ে লেখার পরে খুব ইচ্ছা করছিলো #Miracle_in_Cell_no_7 মুভিটা নিয়ে কিছু অনুভূতি শেয়ার করার। আর তাই ভাবলাম লেখার আগে আরেকবার দেখে ফেলি; গরম-গরম না দেখে ঠিক কথা গুলো আসে না। শেষমেষ এই দুঃসাহসিকতার কাজটা করেই ফেল্লাম।

🎬🎬কিছু কিছু মুভি থাকে যেখানে রিভিউ দেওয়ার কিছু থাকে না, শুধু বলার থাকে, "দেখবেন হাসবেন, কাঁদবেন আর সম্পর্কের টান বুজতে পারবেন"। এই Miracle in cell no 7 একদম তেমন একটা ছবি, যার গল্পটা দেখে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে।
মুভির নামঃ ( Miracle in cell no.7)
মুক্তির সালঃ( 2013)
IMDB: 8.2/10
আপনি যত শক্ত মনের মানুষই হন না কেন মুভিটি আপনার চোখে পানি আনবে সেই নিশ্চয়তা দিতে পারি
স্পয়লার এলার্টসঃ একটি বাবা যে তার মেয়েকে ছাড়া এক মুহুর্ত থাকতে পারেনা,
তাকে একটি মিথ্যা হত্যা মামলায় ফাসানো হয় লোকটি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং সরল হবার কারনে খুব সহজেই তাকে জেলে পাঠানো হয়
বাচ্চা মেয়েটি কিংবা তার বাবা কেউই কাউকে ছাড়া অভ্যস্ত না থাকায় জেলের কিছু কয়েদিরা মিলে মেয়েটিকে তার বাবার কাছে এনে লুকিয়ে রাখে এবং জেলের মধ্যেও বাবা এবং মেয়ের একসাথে থাকা হয়,
যদিও পুলিশ তাদের আবার আলাদা করে দেয়
মানসিকভাবে অসুস্থ লোকটিকে বলা হয় তার মেয়েটিকে বাচাতে হলে অবশ্যই তাকে কোর্টে স্বীকার করতে হবে যে সে খুন করেছে না হলে তার মেয়েকে খুন করা হবে
মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে বলে ইয়েংসিং তোমার বাবা খুব দ্রুতই বের হয়ে আসবে মেয়েটিও বাবার কথায় বিশ্বাস রাখে
পরবর্তীতে তার মেয়ের জন্য সে দোষ না থাকা সত্ত্বেও দোষ শিকার করে নেয়
এবং তার ফাসি কার্যকর হয়
মুভিটিতে অনেক ড্রামাটিক সিন রয়েছে যা মুভিটিকে আরো গুছিয়ে উপস্থাপন করেছে
মুভিটা একটি সত্য ঘটনে অবলম্বনে তৈরী,
দেখে নিতে পারেন ভালো লাগবে।

লিংকঃhttps://youtu.be/sG9Bw9Vv7xc
মুভি লিংকঃhttps://youtu.be/V1t2B3qGDe4


🤗"এ যেনও জেলখানার কেনও কারাগার না, এযেনও এক অন্য জীবনমঞ্চ!!" 🤗

📕📕এই ফিল্মের গল্পটা জেলে থাকা খুনের আসামি আর তার ৭বছরের এক মেয়ের গল্প। কোরিয়ান মুভিগুলো কেমন যেনও মনে হয় ডিসপ্লের ভিতর ঢুকে যায়। আমার একটা সেকেন্ডের জন্য মনে হয়নি হাতে ফোনটা নিয়ে দেখি, অথবা অন্য কিছু চিন্তা করি। এই করোনার দুশ্চিন্তায় এমনিতেই খারাপ 😣🥺 অবস্থা।

👨‍👩‍👦 অভিনয় গল্প ডায়ালগ এই তিনটি ছিলো আসল অস্ত্র!! AKM/SCAR-L মনে হয়েছে গল্প, M24 গেলেছে অভিনয় এবং AWM মনে হয়েছে বাবা আর মেয়ের ডায়লগগুলো!!
যখন Yeseung এক জেলারকে বলে,"Can't you just arrest me, too?" তখন মনে হচ্ছিলো AWM দিয়ে কেউ আমাকে Pochinki তে শেষ করে দিয়েছে।
আর যতবার appa apaa শুনেছি ততোবারই মনে হচ্ছিল Flaregun দিয়ে বোনাস দিচ্ছে।
M24 অভিনয় বলার কারণ Yeseung তো মাএ ৭বছরের মেয়ে (এই মুভির জন্য গ্রন্ড বেল পুরষ্কার পায়) হয়ে যে অভিনয় দেখিয়েছে, তাছাড়াও সাথে বাকি সবগুলো চরিএ Miracle in cell no 7 কে একটা পরিপূর্ণ মুভি বানিয়েছে।

🚩🚩আপনি যে বয়সেরই হয়ে থাকেন না কেনও, আপনার সাথে পরিবার থাকুক আর একলাই থাকেন এই Miracle in cell no 7 অবশ্যই দেখার( Must watch) মতন একটা মুভি।


সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

বাংলাদেশের প্রথম ঘোষিত বীরশ্রেষ্ঠ জগৎজ্যাতি দাস। 🙏

 বাংলাদেশের প্রথম ঘোষিত বীরশ্রেষ্ঠ জগৎজ্যাতি দাস।  🙏

.


তিনি বীরের মত যুদ্ধ করতে করতে বীরগতি পেয়েছেন। তিনি ছিলেন শত্রুদের কাছে জীবন্ত এক ভয় আর বিস্ময়। তিনি দুর্ভাগা, তিনি স্বীকৃত নন এই খেতাবে, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নন। নিজের জীবন তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন, মৃত্যুর পরেও তাঁর শব ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে শত্রুদের আঘাতে- প্রকাশ্যে, তিনি যে দেশকে ভালবেসেছিলেন।

.

যে বীরের কথা বলতে এসেছি, তিনি বাংলার ঘোষিত-অস্বীকৃত প্রথম বীরশ্রেষ্ঠ জগৎজ্যোতি! হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামে বিংশ শতাব্দীর এই অভিমন্যু জন্ম গ্রহণ করেন যিনি বাংলার কুরুক্ষেত্রের চক্রব্যূহে প্রাণ দিয়েছেন বাংলার তরে। জলসুখা গ্রামের জিতেন্দ্র চন্দ্র দাস ও হরিমতি দাসের কনিষ্ঠ পুত্র জগৎজ্যোতি দাস।

.

 ১৯৭১ সালে ছিলেন এইচএসসি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে বিশেষ দায়িত্ব পালনে ভারতের গৌহাটির নওপং কলেজে ভর্তি হন; বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা আয়ত্তের পাশাপাশি ধারণা নিয়ে আসেন অস্ত্র ও বিস্ফোরকের উপর। ভাটি-বাংলার মাটিকে মুক্ত করার শপথ নিয়ে তিনি হন দাস পার্টির কমান্ডার। প্রতিজ্ঞা করেন দেশ মাতৃকার মুক্তির। 

.

পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের কাছে জগৎজ্যোতি ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক। বিশাল ভাটি-বাংলায় শত্রুসেনাকে পদদলিত করতে দাবড়ে বেড়িয়েছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে টেকেরঘাট সাব-সেক্টরের অধীনে বিস্তীর্ণ ভাটি অঞ্চল শত্রু মুক্ত রাখার দায়িত্ব পড়েছিল তাঁর উপর। দিরাই, শাল্লা, ছাতক, আজমিরিগঞ্জ, বানিয়াচং, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার নৌপথ পাক দখলমুক্ত রাখার যুদ্ধে প্রাণের বাজি রেখে লড়ে যান দাস পার্টির যোদ্ধারা।

.

 দাস পার্টির সাফল্যে ভীত ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী, আর তাই পাকিস্তান সরকার রেডিওতে ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়, এই রুট দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তিদের জানমালের দায়িত্ব সরকার নেবে না। মাত্র ১৩ জন সহযোদ্ধা নিয়ে বানিয়াচং-এ পাকবাহিনীর ২৫০ জন সেনা ও দোসরদের অগ্রগতি রোধ করে দেন, যুদ্ধে প্রাণ হারায় শত্রু সেনার ৩৫ জন। 

.

পাকিস্তানীদের গানবোট ধ্বংস করে দেওয়া হয়। ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ থানা ও নৌ-বন্দর সাচনাবাজার শত্রু“মুক্ত করে লাইম লাইটে চলে আসেন তিনি।তাঁর নেতৃত্বে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের বদলপুর ব্রিজ বিধ্বস্ত করা হয় আর তাঁরই কৃতিত্বের কারণে ভারতীয় কমান্ড বাহিনীর মেজর জি,এস,ভাট প্রশংসা লাভ করেন। ১৭ আগস্ট পাহাড় পুরে কমান্ডার জগৎজ্যোতির রণকৌশল আর বীরত্বে রক্ষা পায় অসংখ্য নিরীহ নর-নারী। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে তাঁর বীরত্ব-গাঁথা প্রচার হয়। জগৎজ্যোতি একা হাতে একটি এলএমজি নিয়ে দখন করে নেন জামালপুর থানা যেখানে আস্তানা গেড়েছিল স্থানীয় পাকি-দোসর রাজাকাররা। 

.

জামালপুর মুক্ত করার অভিযানে সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হন তাঁরা, হারাতে হয় তাঁর সহযোদ্ধা বীর সিরাজুল ইসলামকে। মাত্র ১০-১২ জন সহযোদ্ধা নিয়ে তিনি মুক্ত করেন শ্রীপুর। খালিয়াজুড়ি থানায় ধ্বংস করে দেন শত্রুদের বার্জ।

.

 আগস্ট মাসে গুলি ব্যয় ছাড়াই দিরাই-শালায় অভিযান চালিয়ে কৌশলে আটক করেন দশ সদস্যের রাজাকারের দলকে। যারা এলাকায় নির্যাতন চালাচ্ছিল, খুন, ধর্ষণ ও লুটপাট চালাচ্ছিল। রানীগঞ্জ ও কাদিরীগঞ্জে অভিযান চালিয়েও জ্যোতি আটক করেন ঘরের শত্রু রাজাকারদের। ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ থানা ও নৌ-বন্দর সাচনাবাজার শত্রুমুক্ত করে লাইম লাইটে চলে আসেন। 

.

১৬ নভেম্বর ১৯৭১; এই দিন ছিল বীরের ললাটে লেখা শেষ দিন। ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথেই ৪২ জন সহযোদ্ধা নিয়ে অভিযানে যাত্রা করেন জগৎজ্যোতি। কে জানত- এই অভিযান তাঁর শেষ অভিযান, বীরত্বের অন্তিম-গাঁথা এখানেই রচিত হবে। তাঁদের লক্ষ্যস্থল ছিল বানিয়াচং/বাহুবল। কিন্তু লক্ষ্যস্থলে যাওয়ার পূর্বেই বদলপুর নামক স্থানে হানাদারদের কূট-কৌশলের ফাঁদে পা দেন জগৎজ্যোতি। বদলপুরে ৩/৪ জন রাজাকার ব্যবসায়ীদের নৌকা আটক করে চাঁদা আদায় করছিল।

.

দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ জ্যোতি রাজাকারদের ধরে আনার নির্দেশ দেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেই পিছু হঠতে থাকে কৌশলী রাজাকাররা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জগৎজ্যোতি- ভাবতেও পারেননি কী ফাঁদ তাঁর সামনে। সাথের ১০/১২ জন মুক্তিযোদ্ধা আর সামান্য গোলাবারুদ নিয়ে তাড়া করেন রাজাকারদের। অদূরেই কুচক্রী পাকসেনাদের বিশাল বহর আর প্রচুর সংখ্যক গোলাবারুদ নিয়ে অপেক্ষা করছিল তাঁর। অজান্তেই চক্রব্যূহে প্রবেশ করেন জগৎজ্যোতি। আগে থেকে প্রস্তুত বিশাল বহর আর মজুদের কাছে বিপদে পড়ে যান জগৎজ্যোতি ও তাঁর সহযোদ্ধারা। তবুও যুদ্ধে করে যান মুক্তিযোদ্ধারা।

.

সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন জগৎজ্যোতি। 

সহযোদ্ধাদের পালানোর সুযোগ করে দিয়ে কভার করতে থাকেন জগৎজ্যোতি ও তাঁর সহযোদ্ধা ইলিয়াস। কিন্তু দুর্ভাগ্য, হঠাৎ করে ইলিয়াসও গুলিবিদ্ধ হন। নিজের মাথার গামছা খুলে জগৎজ্যোতি বেঁধে দেন সহ-বীরযোদ্ধার ক্ষত।

.

 ইলিয়াস তাঁকে পালানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু পিছু ফিরে যাননি জগৎজ্যোতি। একাই যুদ্ধ করতে করতে পাক-বাহিনীর বারোজনকে প্রপারে পাঠিয়ে দেন। বিকেল পৌনে পাঁচটায়, শূন্য অস্ত্রভাণ্ডারে বিকেলের সূর্যের মতই ম্লান হয়ে আসে শত্রু-বধের তেজ, গুলিবিদ্ধ হন জগৎজ্যোতি। নিভে যায় এক বীরের জীবন-প্রদীপ।

.

শুনা যায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও তিনি জীবিত ছিলেন। তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় অত্যাচার করতে করতে।তাঁর গায়ে পেরেক বিদ্ধ করে সেই ছবি খবরে ছাপানো হয়। আজমিরিগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসা হয় তাঁর লাশ। 

.

সেদিন ছিল ঈদের বাজার। শত শত লোকের সামনে খুঁটির সাথে বেঁধে ক্ষত-বিক্ষত করা হয় তাঁর লাশকে। রাজাকাররা থু থু ফেলতে থাকে তাঁর উপর। এমনকি জগৎজ্যোতির মা-বাবাকেও ধরে আনা হয় বীভৎস লাশ দেখাতে। পরিবারে যখন স্বজন হারানোর কান্নার রোল তখন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় জগৎজ্যোতির বাড়িতে। ভাসিয়ে দেওয়া হয় তাঁর ক্ষত-বিক্ষত কুশিয়ারা নদীর পানিতে।

.

  জগৎজ্যোতি দাসকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল একাধিকবার এবং তাঁর বীরত্ব-গাঁথা প্রচার হচ্ছিল সম্মানের সঙ্গে। অল ইন্ডিয়া রেডিওসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয় জগৎজ্যোতির বীরত্ব-গাঁথা। 

.

অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদক প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জগৎজ্যোতিকে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক প্রদানের ঘোষণা সে সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরে প্রতিশ্রুতি থেকে ফিরে আসেন  সরকার। ১৯৭২ সালে জগৎজ্যোতি দাসকে বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয়। বাস্তবে পুরস্কার প্রদান করা হয় তারও দুই যুগ পরে।

.

 একটি দেশের জন্য জগৎজ্যোতি বিলিয়েছেন নিজেকে।  দেশ তাঁকে তাঁর প্রাপ্য স্বীকৃতি দেয়নি! তাঁরা তো কখনো কোনো প্রাপ্তির অপেক্ষায় ছিলেন না! একটি মাতৃভূমির জন্য জগৎজ্যোতি বিলিয়েছেন নিজের প্রাণ। 

জগৎজ্যাতি প্রতিটি মুহূর্তে থাকেন এই বাংলার নিঃশ্বাসে, স্পন্দনে।

.

আজ কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যাতি দাসের জন্মদিন। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তাঁর প্রতি। 🙏💞

.

ছবি- ১৭ নভেম্বর  আজমীরিগঞ্জ বাজারে জগৎজ্যোতি দাসের লাশ পড়ে আছে।

রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

ক্ষমার চেয়ে কঠিন প্রতিশোধ আর নেই"

 "ক্ষমার চেয়ে কঠিন প্রতিশোধ আর নেই"



'প্রিয়াঙ্কা গান্ধী'১৮ই অক্টোবর ২০০৮ সালে নলিনী'র সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। নলিনী হলো রাজীব গান্ধী হত্যা ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে একমাত্র ধৃত এবং জীবিত আসামী। 


নলিনী তখন গর্ভবতী। সোনিয়া গান্ধী লিখিতভাবে নলিনী'র ফাঁসির বদলে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আবেদন জানান। যাতে নলিনী'র সন্তান মায়ের স্নেহ মমতা থেকে বঞ্চিত হয়ে না পড়ে। 


নলিনী স্বপ্নেও ভাবেননি তার সঙ্গে রাজীব গান্ধীর পরিবারের কেউ সাক্ষাত করতে পারেন। তার খোঁজ-খবর নিতে পারেন। 


প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দেখে নলিনী অবাক,ভীষণ লজ্জিত বোধ করলেন। 


প্রিয়াঙ্কা নলিনীকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন -

"আমার পিতা একজন ভালো মানুষ ছিলেন। ভীষণ শান্ত প্রকৃতির মানুষ। 

আমার পিতা তোমার তো কোনো রকম ক্ষতি করেননি। তাহলে তাঁকে কেন হত্যা করতে গেলে|

তোমাদের কি এমন সমস্যা ছিলো,যেটা আলাপ-

আলোচনার মাধ্যমে 

সমাধান করা যেত না!


প্রিয়াঙ্কার চোখে অশ্রুধারা, নলিনী ও অঝোর নয়নে কেঁদে চলেছে। 

এই কান্নার দ্বারা বহু ক্ষোভ, বহু হিংসা স্রোতের মতো প্রবাহিত হয়ে গেল। 

দুজনের মন হালকা ও কোমল হয়ে উঠলো। 


গান্ধী পরিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন,নলিনীকে মুক্ত করে দিলেও তাদের কোনো আপত্তি নেই। বিষয়টা আদালতে বিচারাধীন। আদালত এবং রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই কার্যকর হবে। 


ক্ষমা হলো পৃথিবীর সর্বোত্তম উপহার। কেবলমাত্র মহান মানুষই পারেন-শক্রুকে ক্ষমা করে দিতে। 


এমন বহু ঘটনা ঘটে গেছে পৃথিবীতে,যে ঘটনা ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে কেবলমাত্র ক্ষমাশীলতার উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে। 

"জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক-দুঃখ হতে মুক্তি লাভ করুক।" (সংগৃহীত)

কারা সহজে ওজন কমাতে পারে;পুরুষ নাকি নারী?

পুরুষদের ওজন কমানো এবং মাসল গেইন করা মেয়েদের চেয়ে অনেক সহজ।


জাস্ট ইনসুলিনটাকে চেক দিতে হবে, আই মিন সুগার, সয়াবিন-ট্রান্সফ্যাট আর রিফাইন্ড স্টার্চ(সাদা ভাত, সাদা আটা-ময়দার রুটি)কে বাদ দিতে হবে, স্ট্রেসটাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে আর টেস্টোস্টেরনকে নামিয়ে দিতে হবে যুদ্ধের ময়দানে, আই মিন হার্ড ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করতে হবে।


টেস্টোস্টেরন একবার অপটিমাম লেভেলে চলে গেলে বাকি খেলা সেই খেলবে, আপনি নিশ্চিন্ত(যদি না আপনি ডায়বেটিক হন)।


কিন্তু, মেয়েদের ব্যাপার আলাদা।


মেয়েদের হরমোনাল ব্যালেন্স খুবই নাজুক। অন্তত ৭টা হরমোনকে ম্যানেজ না করে মেয়েদের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় না।


১)ইনসুলিন

২)ইস্ট্রোজেন

৩)থাইরয়েড

৪)কর্টিসোল

৫)লেপটিন

৬)গ্রোথ হরমোন ও

৭)টেস্টোস্টেরন


এর মধ্যে মেয়েরা সমস্ত নিউট্রিয়েন্ট লস করেন বেশি। তারা এমনিতেই খান কম, কিন্তু মিনারেল বার্নআউটে তাদের শরীর ওস্তাদ।


মেয়েদের ওয়েট লসের জন্য তাই কোন পানির মত সহজ পথ নাই।


একজন মেয়ে হয়তো এক ধাক্কায় ৪ মাসে ২৫-৩০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন স্ট্রিক্ট কিটো/ভেগান করে। কিন্তু তার শরীর ব্যাকফায়ার করতে বেশিদিন সময় নেবে না।


মেয়েদের জন্য তাই দ্রুত ওয়েট লসের চাইতে খুব সতর্কতার সাথে নিজের ওভারডমিন্যান্ট হরমোনগুলোকে খুজে বের করতে হবে, তারপর এক এক করে সেগুলোকে রিসেট করে অপটিমাম লেভেলে নিয়ে আসতে হবে।


আমার কাছে প্রায়ই এক্সট্রিম ওয়েট লস করা মেয়ে প্যাশেন্টরা আসেন, যারা প্রচন্ড ক্লান্তি আর মাথা ঘোরানোর সমস্যায় ভোগেন, অনেকেরই লো ব্লাড প্রেসার থাকে। কেউ কেউ পিত্তথলির অবস্থা খারাপ করে নিয়ে আসেন, কেউ আবার ফ্যাটের চেয়ে বেশি লস করেন মাসল।


তো এই সমস্যাগুলো হয় না যদি আপনি প্রথমে নিজের হরমোনাল প্রোফাইলটা বুঝতে পারেন। এটা নিজে নিজে না পারার সম্ভাবনাই বেশি, এবং এখানেই আপনাকে সহযোগিতা করতে পারেন একজন ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট।


শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১

ইসরাইলকে আবারও আরেকটি বড় জবাব!

 ইসরাইলকে আবারও আরেকটি বড় জবাব!




সিরিয়ার ভূমি থেকে ইসরাইলের দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের কাছে ইরানীদের মিসাইল হামলা।

মিসাইল স্ট্রাইকের পর গোটা দিমোনা জুড়ে সাইরেন বাজতে থাকে এবং ইসলাইলী সামরিক বাহিনী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দে আশেপাশে অনেক ঘরবাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পড়েছে।

দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টটি পুরোপুরি ঘিরে রেখেছে ইসরাআলী পুলিশ ও সেনাবাহিনী এবং ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ওরা কিছুই জানতে দিচ্ছে না মানুষকে।


কেউ কেউ বলছে যে এটি সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে ছোঁড়া কাউন্টার এটাক ইন্টারসেপ্টর মিসাইল যা ইসরাইলের জেটকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল কিন্তু তা গিয়ে ইসরাইলের ভূমিতে দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের কাছে গিয়ে পড়ে। কিন্তু তা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, কারন সিরিয়ার দিমাশক থেকে ইসরাইলের দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের দূরত্ব ডায়গোনালি প্রায় ৩০০ কিলোমিটার, অথচ সিরিয়ান SAM সিস্টেমগুলোর ইন্টারসেপ্টর মিসাইলগুলোর রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটারের মতো।


সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে সিরিয়ার ভূমি থেকে ইরানের এডভান্সড টেকনোলজির এবং লং রেঞ্জের কোনো মিসাইল ইসরাইলে স্ট্রাইক করেছে ইরানীরা। অনেকে ধারনা করছেন যে অতি উন্নত প্রযুক্তির ইরানী ফাতেহ মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে।


সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বিবৃতি এবং বেশ কিছু উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী ইসরাইলী রাডার সিস্টেমগুলো এই মিসাইলটিকে ট্র্যাকই করতে পারে নি এবং ইসলাইলী এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলো এই মিসাইলটিকে ইন্টারসেপ্ট করতে পারে নি!

এর আগেও ইরাকের মাটিতে আমেরিকার আইনুল আসাদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানীরা বাইশটি মিসাইল হামলা করে তাঁদের মিসাইলগুলোর নিখুঁত এক্যুরেসি, হাই এলটিটিউট, লং রেঞ্জ, হাই স্পিড এবং ব্যাপক ডেস্ট্রাকশন পাওয়ার প্রমান করেছে। সেই সময়েও আমেরিকান রাডার সিস্টেমগুলো ইরানের একটা মিসাইলকেও ট্র্যাক করতে পারে নি এবং মার্কিন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলো ইরানের একটা মিসাইলকেও ইন্টারসেপ্ট করতে পারে নি।


এটি ইসলামী ইরানের জন্য একটি বড় সফলতা আর ইসরাইল ও আমেরিকার জন্য বিশাল ব্যর্থতা।


ইরান আবারও প্রমান করল যে ইসরাইলকে ধ্বংস করার জন্য মুসলিম বিশ্বে একমাত্র ইরানই আপোষহীনভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে। ইরানের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ শক্তিজোট দীর্ঘজীবী হোক!

বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১

দরিদ্রতা আসে চার জিনিসের কারণেঃ

 দরিদ্রতা আসে চার জিনিসের কারণেঃ


.

১। তাড়াহুড়া করে নামায পড়ার কারণে।

২। দাঁড়িয়ে পেশাব করার কারণে।

৩। পেশাবের জায়গায় অজু করার কারণে।

৪। দাঁড়িয়ে পানি পান করার কারণে।


সচ্ছলতা আসে সাত জিনিসের কারণেঃ

.

১। আল কুরআন তিলাওয়াত করার কারণে।

২।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার কারণে।

৩। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার কারণে।

৪। দরিদ্র ও অক্ষমদের সাহায্য করার কারণে।

৫। গোনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করার কারণে।

৬। পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের

সাথে সদাচরণ করার কারণে।

৭। সকালে সূরা ইয়াসিন এবং সন্ধ্যায় সূরা

ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করার কারণে।


তিরমিজি 

.

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে নেক আমল করার তাওফিক দান করুন, আমিন!

সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি রূপক গল্প।

 অসহায় পৃথিবীর আর্তনাদ...

বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি রূপক গল্প।


১)
মোবাইলে একটা SMS এলো। তাকিয়ে দেখি..
"সরকারের তরফ থেকে আমার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে"
আমার মন খুশিতে ভরে গেল। ঘর থেকে বের হলাম আর চিৎকার করে বাড়ির সবাইকে বলছি....
"সবাই শোনো, দিন বদলে গেছে, আমার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা এসে গেছে"।
রুম থেকে বউ বেরিয়ে বললো, "অত খুশির কি আছে, আমার এ্যাকাউন্টেও ৫০ লাখ টাকা দিয়েছে। এই যে মেসেজ দেখ।"
একটু অবাক হলাম, ভাবলাম আশেপাশে সবাইকে
গিয়ে বলি। বাড়ির পাশের লোক আমায় বলছে,
"বেশি উত্তেজিত হয়ো না, আমাদের এ্যাকাউন্টেও ৫০ লাখ জমা হয়েছে।"
আমার খুশি সব উড়ে গেল। ভাবলাম যাই, বাজার থেকে কিছু মিষ্টি নিয়ে আসি।
বাজারে গিয়ে দেখলাম, দোকান বন্ধ। পাশের একজনকে জিজ্ঞেস করলাম,
"ও ভাই এই মিষ্টির দোকান বন্ধ কেন?"
সে বললো, "মিষ্টি দোকানদারের আর দোকানদারি করার কি দরকার। তার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ এসে গেছে।"
তাই ভাবলাম একটু নিউ মার্কেটে যাই, সেখান থেকে কিছু নিয়ে আসি।
সেকি! কোনো দোকান পাট খোলা নেই।
ওনাদের এ্যাকাউন্টেও নাকি ৫০ লাখ এসে গেছে.....।
প্রচন্ড খিদে পেয়েছে ভাবলাম এখানে তো দোকান পাট বন্ধ। সামনের দিকে যাই, ভালো কোন হোটেলে তৃপ্তি করে খাওয়া যাবে।
সামনে যতই যাই সবই দেখি ফাঁকা। হোটেলের বাইরে দাড়িয়ে থাকা স্বাগত জানানোর সেই লোকও নেই, যে কাস্টমার দেখলেই সালাম ঠুকে ওয়েলকাম করেন, শপিং মলের সিকিউরিটিও নেই। সবার এ্যাকাউন্টেই ৫০ লাখ এসে গেছে। মার্কেটে কেউ নেই।
সবজি ওয়ালা, চা ওয়ালা, সরবত ওয়ালা
ফাস্টফুড ওয়ালা কেউ নেই। সব কিছুই বন্ধ।

২)
সকলের ঠিকানা এখন ব্যাঙ্কে ৫০ লাখ টাকা তোলার জন্যে। কেননা এখন আর কারো কাজ করার দরকার নেই, সবার কাছেই ৫০ লাখ আছে।
আমার এক বন্ধু ফোন করে বললো,
"আমি জব ছেড়ে দিয়েছি, আমার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা আছে"
আমার এক বড় ভাই ফোন করে বললো,
"আমার আর্ট স্কুল অফ করে দিয়েছি"
"আমার আশেপাশের ছোট বোন আর স্কুলে যাচ্ছে না"
"আমার এক বন্ধু টিউশন পড়ানো বন্ধ করে দিয়েছে"
"নিপা নামের মেয়েটিও আর কলেজে যায় না"
"ইভান আর জব খু্ঁজে না"
'শ্রমিকরা আর কারখানায় যায় না, কলকারখানা সব বন্ধ"।
সবার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা জমা আছে। সবাই এখন বড়লোক। সবাই সুর তুলছে, গান করছে, নৃত্য করছে.....
বিকেলে হাটতে হাটতে মাঠের দিকে গেলাম, কৃষকরা সবাই কাজ ছেড়ে বাড়িতে। কেউ নেই জমিতে। এখন তাদের রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করার আর দরকার নেই। তারা সবাই বড়লোক হয়ে গেছে। সবার এ্যাকাউন্টেই ৫০ লাখ টাকা।

৩)
৭ দিন পর দেখা গেল খিদের জ্বালায় লোক কাঁদছে।
কেননা, জমি থেকে কেউ ফসল তুলছে না, সমস্ত দোকানপাট বন্ধ, হোটেল, মেডিক্যাল সব বন্ধ। অসুস্থ হয়ে মানুষ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেননা, খাবার নেই, ডাক্তার নেই। পশুরাও না খেতে পেয়ে মরছে। জমিতে সবুজ ঘাস নেই, সোনালী ফসল নেই। শিশুরা খিদের জ্বালায় কাঁদছে, গোয়ালা দুধ দিচ্ছে না বলে।
মানুষ এখন ছুটছে মুঠো মুঠো টাকা নিয়ে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে পকেটে টাকা নিয়ে।
কাঁদছে মানুষ লক্ষ টাকা হাতে নিয়ে আর বলছে,
"এই ভাই নাও ১০ হাজার টাকা, আমাকে ২০০ গ্রাম দুধ দাও। দুদিন বাচ্চাটা না খেয়ে আছে।
১০ দিন বাদে মানুষ না খেতে পেয়ে মরছে। কিছু কিছু লোক টাকার ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে রাস্তায়। এই নাও ভাই ৫ লাখ টাকা, "আমাকে ৫ কেজি চাল দাও। ১০ দিন থেকে না খেয়ে আছি।"
সব বাজার হাট বন্ধ হয়ে গেছে। শাক সবজি খাবার দাবার কারো কাছেই নেই। সবদিকে শুধু মৃত্যুর ছবি দেখা যাচ্ছে।
আমিও আমার ৫০ লাখ টাকা নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছি, নাও ভাই নাও ৫০ লাখ নিয়ে নাও,
তবুও কিছু খাবার দাও"।
কে কার টাকা নেবে, খাবার কারো কাছেই নেই। মানুষ মানুষের দিকে তেড়ে আসছে হিংস্র সিংহের মত। মনে হচ্ছে, মানুষ মানুষকে খাবে।
অচেনা একলোক তাড়া করেছে আমাকে, চিবিয়ে খাবে বলে।
ছুটছি আমি। আমি ক্ষুধার্ত মানুষ, কতটা আর ছুটব?
পড়ে গেলাম হোঁচট খেয়ে. ..মা গো করে চিৎকার করে উঠলাম.....
বউ তখন ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে "কি হলো তোমার ? সকাল হয়ে গেছে, ঘুম থেকে উঠো, চোখে মুখে পানি দিয়ে আসো। এই তুমি বাচাঁও বাঁচাও বলে চেঁচাচ্ছিলে কেন? কোন খারাপ স্বপ্ন দেখছিলে নাকি ?"
আমি বললাম, "না, খারাপ নয়, ভালো দিনের স্বপ্ন। "
গরিব আমরা, কিন্তু ঘরে
"দুমুঠো খাবার তো আছে"
"তৃষ্ণার পানি তো আছে"
"শিশুরা খেলছে"
"পশুরা মাঠে ঘাস খাচ্ছে"
"দোকানে ভিড় আছে"
"যানবাহন চলছে তো চলছে"
"মানুষের সমাগম চলছে"
"বাগানে ফুল ফুটছে"
প্রকৃতি হাসছে.....
অনেকে ভাবে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কেন ধনী গরীব সুষ্টি করছে ?
সবাইকেতো চাইলে ধন সম্পদ দিতে পারতো।সবাইকে সুখ শান্তি দিতে পারতো।
বাস্তবতা হল ধনী গরীব বৈশম্য আছে বিধায় এখনও পৃথিবী টিকে আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে।
সবাই ধনী হলে কি হতো দেখেছেনতো--
#সংগৃহীত

ডাক্তারী - একটি পেশার গল্প (বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট) :

 ডাক্তারী - একটি পেশার গল্প (বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট) :

°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°


°

ব্রিটিশ ভারতীয় যুগে এই উপমহাদেশের চিকিৎসা কার্যক্রম সঠিক এবং বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে শুরু হয়। অনেক লোক মারা যেত তখন, কারন প্রাচীন ভেষজ পদ্ধতিতে অল্প কিছু ওষুধ আর সর্বোচ্চ শল্যবিদরা শল্য (কাঠি) এর মাধ্যমে চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ করতেন। মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৭ বছর মাত্র। তারপর মানুষ দেখল বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসার সুফল। তারা দেখল জটিল অস্ত্রোপচার এবং উপযুক্ত ওষুধ পেলে মৃত্যুর মুখ থেকে রোগী ফিরে আসে। তখন ইংরেজ চিকিৎসকরা ছিলেন। পদের নাম ছিল সিভিল সার্জন। সহজে তাদের নাগাল পাওয়া যেত না। তারা মৃত্যুকে ফেরত পাঠাতে পারেন তাই তারা হলেন, ফেরেশতা, ভগবান, ইত্যাদি। গড় আয়ু বাড়তে বাড়তে হল ৫৮ যখন দেশ পূর্ব-পাকিস্তান। তখনও দেশে ডাক্তার অনেক কম। কিন্তু, দেশে ডাক্তার হওয়ার বেশ কয়েকটি কলেজ আছে। সবার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু, সিট সীমিত। জনসংখ্যা ১ কোটি থেকে ৭ কোটি হয়েছে। সরাসরি সরকারি চাকুরির সুবিধা দেয়া হল ডাক্তারদের, কিন্তু বাড়তি জনসংখ্যার অনুপাতে ডাক্তার বাড়ল না, তাদের চাপ বাড়তে থাকল। এদিকে, দরিদ্র দেশ, রোজগার নিয়ে সবাই ব্যস্ত। ডাক্তার হওয়ার চাহিদাও বেড়ে গেল ব্যাপক ভাবে। দেশ এখন বাংলাদেশ, মানুষ ২০ কোটি, কিন্তু সরকারি চাকুরির জন্য ডাক্তারকে এখন বিসিএস দিতে হয়, যেখানে ৬৫ সনে ৭ কোটি মানুষের চাহিদা মেটাতে বিসিএস দেয়া লাগত না জনসংখ্যার অনুপাতে ডাক্তার কম বলে, সেখানে এখন দেয়া লাগছে, তাতে অপর্যাপ্ত চিকিৎসকের জন্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার মান কমে যাচ্ছে, লোকজনের কাছে চিকিৎসকরা ফেরেশতা থেকে হয়ে ওঠলেন কসাই, যদিও অকল্পনীয় পরিশ্রমের ফসল হিসেবে গড় আয়ু হয়েছে ৭৪ বছর৷ এখন দেশ দরিদ্র নয়, কিন্তু তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের মধ্যে লোভ বেড়েছে ব্যাপক হারে। অন্যদিকে জনসংখ্যা বেশী তাই এই পেশার চাহিদা বেশি থাকায় লোভ আরও বাড়ল, যারা লোভী তারা মেধাযুদ্ধে পরাজিত হয়ে শুরু করল ঘোরতর হিংসা৷ শুরু হল পেশার উপর বিভিন্ন দুর্বৃত্ত শ্রেনীর আক্রমণ, মহৎ পেশা হয়ে উঠল ব্যবসা। মানুষ হল ভুক্তভোগী, তৈরী হল ক্রোধ। মধু যদি বেশি ঘন হয়, পিপড়ার আক্রমনও বেশী হয়। এক সময় তা ফুরিয়ে যায়।


এদিকে ব্রিটিশদের পদ্ধতি তারা পরিবর্তন করে NHS নিয়ে এসেছে, অথচ আমরা সেই আমাদের ব্রিটিশ যুগেই পড়ে আছি না বরং পিছিয়ে গেছি বিসিএস এ আবদ্ধ করে। 


দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই সহানুভূতিশীল হোন।


দেশের অচলায়তন থেকে মুক্তির জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক অনতিবিলম্বে আগের নিয়মেই নিয়োগ দিয়ে, লকডাউন শিথিল করে দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করা অতি জরুরী। একটি মহামারী সহজে দূর হয় না, যক্ষার প্রাকৃতিক ইতিহাস বলে যে তা এখনো নির্মূল হয় নি৷ এই মহামারী নিয়েই চলতে হবে। সকল জটিলতা দূর করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিসিএস এর বেড়ি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে "জাতীয় চিকিৎসা সার্ভিস" (NHS) চালু করা অত্যন্ত  জরুরী হয়ে পড়েছে।

রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১

একটি যুগোপযোগী ও উপকারী বই;;;

 কাসাসুল হাদিস 


এক সুখপাঠ্য! 

যেখানে গল্পে গল্পে হেঁটে গেছি বিগত থেকে আগত যামানার জনপদে। 

হারিয়েছি দুনিয়া সৃষ্টিরও আগে রাব্বুল আলামিনের আরও সব সৃষ্টির গল্পে। 

একেকটি হাদীসের ভেতর থেকে উঠে আসা মুক্তোগুলো ঝরে ঝরে পড়েছে হৃদয়ের আরশিতে। 

ভীষণ সাবলিল, অথচ গোছানো উপস্থাপনায় উঠে এসেছে এই ভূখণ্ড সৃষ্টিরও আগে সৃষ্ট জান্নাত-জাহান্নাম ও রাব্বুল হক্বের প্রিয় হাবীব সারওয়ারে কায়েনাত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমসাময়িক ঘটনাবলী। 


শুধুই কী এইটুকু! 

এরপর একে একে গল্পের পথ ধরে পেরিয়ে গেছি বর্তমানকে ছাড়িয়ে কিয়ামত, হাশর ও পুলসিরাতের সত্য ও শাশ্বত ঠিকানায়। 


এ নিছক কোনো রূপকথার শিশুদের ঘুম পাড়ানো ককল্পকাহিনী নয়। 

নয় বানোয়াট কেচ্ছা! 

রাসূলে পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র যবান নিঃসৃত ঘটনাবলী , পরম সত্য গল্প সমগ্র। 


আমার মতো অধৈর্য্য ও অস্থির চিত্তের মানুষ যেই বইটি গ্রোগাসে পড়ে ফেলে,  কোথাও বিরতি নিয়ে রাখবার পরে এরপরের ঘটনা জানবার জন্য উশখুশ করে,  তা অবশ্যই অসাধারণ একটি হাদীসের শ্রেষ্ঠ ঘটনাবলীর সংকলনই বলা যায়।

টুকিটাকি বানানের বিচ্যুতি বাদে তেমন কোনো ভ্রান্তি আমার মতো সাধারণ পাঠকের চোখে পড়েনি। 

আশাকরি দ্বিতীয় সংস্করণে বিচ্যুতি সমস্ত কাটিয়ে বইটি ফিরে আসবে আরও নিঁখুত রূপে। 

বইটির প্রকাশনা মাকতাবাতুস সুন্নাহ,  যদ্দুর জানি নতুন একটি মাকতাবা। 

এই বইটির মাধ্যমে তারা ইতোমধ্যেই পাঠক মহলে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে, মা শা আল্লাহ। 

আল্লাহ তাদের অব্যাহত মেহনত কবুল করুক।

যুগোপযোগী ও উপকারী বই আরও চাই, আরও যেন পাই।


বইঃ  কাসাসুল হাদিস 

লেখকঃ ড. মুস্তফা মুরাদ আযহারী

পৃষ্ঠাঃ ৪৫০

মুদ্রিত মূল্যঃ ৭৯৮৳

প্রকাশনাঃ মাকতাবাতুস সুন্নাহ Maktabatus sunnah


অনলাইন হ্যারাসমেন্ট নিয়ে একটি আলোচিত উপন্যাস

 লেখক মোহিত কামাল, সমাজ সচেতন লেখক। পেশায় ডাক্তার, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। মানুষের মনের সাথে তাই তার যোগাযোগ। নানান শ্রেণীর মানুষের মনের খোঁজ নিতে নিতে হয়তো তাদের মনের অন্ধকার কিছু দিকেরও খোঁজ পেয়ে যান। প্রতিটা মানুষের মনের সেই অন্ধকারের প্রভাব পড়ে সমাজেও। ডাক্তার-লেখক সাহেব এই অন্ধকার সহ্য করতে পারেন না। ডাক্তার-সত্ত্বার খুঁজে পাওয়া অন্ধকারকে আলোকিত করতে চেষ্টা নেন তার লেখক-সত্ত্বার সাহায্যে। তার লেখায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন সমাজের নানান অসঙ্গতি। সাথে থাকে সম্ভাব্য সমাধানের প্রস্তাবনা। সুস্মিতার বাড়ি ফেরা উপন্যাসটা তেমনই। 


বাংলাদেশে ইন্টারনেটের আগমন খুব বেশি দিনের না। অথচ এরই মাঝে এ দেশে মহামারীর মতো সংঘটিত হচ্ছে ইন্টারনেট-ভিত্তিক অপরাধ, যেগুলোকে বলা হয় সাইবার অপরাধ। হ্যাকিং, বুলিইং, হেইট স্পিচ সহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধের মাঝে এই উপন্যাসের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে অনলাইন হ্যারাসমেন্ট। 



উপন্যাসে হ্যারাসমেন্ট এর শিকার সুস্মিতা নামের এক মেয়ে, যাকে ব্ল্যাক মেইল করে তারই হবু স্বামী ফটোশপের সাহায্যে ছবি এডিট করে। বাদবাকি উপন্যাস এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া-প্রতিবাদ-প্রতিরোধ সংশ্লিষ্ট ঘটনাপ্রবাহ। যেই অবস্থায় অনেক ভিকটিমই বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ, সেখান থেকে একটি পরিবারের ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম চিত্রিত হয়েছে পাতায় পাতায়।


লেখকের লেখায় আমার কাছে বরাবর মনে হয়েছে, খুব বেশি প্রেডিক্টেবল হয়ে যায়। এ কারণে পুরো বই মনোযোগ ধরে রাখাটা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই উপন্যাসে পেছনের কাভারে যা অল্প কিছু কথা লিখা আছে, কিংবা আমি উপরের প্যারায় যা বললাম, তাতেই মূল কাহিনীর অংশ প্রায় পুরোটাই চলে আসে। সাথে পরেরটুকুর ধারণাও। এই ব্যাপারটা আমার কাছে লেখার বড় ধরনের দুর্বলতা বলে মনে হয়েছে।


প্রযুক্তি নিয়ে লেখার একটা বিপদ হচ্ছে প্রযুক্তি (কিংবা আরো ভালো করে বলতে গেলে প্রযুক্তির ব্যবহার-অপব্যবহার) খুব দ্রুতই পরিবর্তনশীল। হয়তো দেখা যায় কাল যে অপরাধটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে বখাটেরা করছিল, আজ সেটাই মহাসমারোহে রাষ্ট্র করে চলেছে। কিংবা কিছুদিন আগেই যে ছবি দেখেই ফেইক বলে বুঝা যেত, এরই মধ্যে সেটা এডিটের এমন সফটওয়্যার চলে এল, যার মাধ্যমে প্রফেশনাল কাজে আর এডিট বলেও বুঝার উপায় থাকে না। ছবির পাশাপাশি কণ্ঠস্বর, এমনকি ভিডিওও এডিট করে ফেলা যাচ্ছে দিন দিন। এক সময় মানুষ মিসকল দিয়ে কিংবা রঙ নাম্বারে কল করে আনন্দ পেত। এখন কলরেট কম থাকলেও বিকৃতদের বিকৃতির ধরন পরিবর্তনের কারণে সেটা কম দেখা যায়। 


এই যে বিজ্ঞান এত আগাচ্ছে, তা মানুষের হাতে এক ধরনের অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। এই অস্ত্রের অপব্যবহার রোধে নৈতিকতার শিক্ষা ও চর্চার বিকল্প নেই। কিন্তু উপন্যাসে সেটাকে সমাধান হিসেবে খুব একটা সামনে আনেননি ঔপন্যাসিক। বরং সমাধান খুঁজেছেন আইনের কঠোর প্রয়োগে। অথচ বাংলাদেশে আরেকটি বড় সমস্যা আইন প্রয়োগকারীদের অসহযোগিতা।


অবশ্য এসকল সমস্যার সম্মুখীনও হয়েছে কাহিনীর কেন্দ্রী চরিত্র সুস্মিতা বা তার সাথের অন্যরা। এমনকি শেষাংশে এসে উল্লেখযোগ্য দুটি চরিত্রের মৃত্যুর মাধ্যমে অপরাধীচক্রের বেপরোয়াভাব ও ক্ষমতার কিছুটা ছায়া এসেছে। তাতে আরো বাস্তবধর্মী হয়ে উঠেছে কাহিনী।


রেটিং-৫/১০


বই রিভিউ


বইঃ সুস্মিতার বাড়ি ফেরা

লেখকঃ মোহিত কামাল

প্রকাশনীঃ প্রথমা

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১১২

মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০

শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১

কাছের মানুষের প্রতি প্রত্যাশা কি অপরাধ?

 কাছের মানুষের প্রতি প্রত্যাশা কি অপরাধ
?


কারো থেকে ভালোবাসা আশা করাটা কি ভুল কিছু? আমাকেও কেউ বুঝবে, আমার জীবনও সুন্দর হবে- এই স্বপ্ন দেখা কি অপরাধ? 


বাস্তবিক অর্থে,  আমাদের জীবনের সমস্যাগুলো পর্যালোচনা করলেই দেখা যাবে, অধিকাংশ সমস্যার মূলেই রয়েছে- একে অপরের প্রতি এক্সপেক্টেশন। কিছু জিনিস আশা করা যেমন সম্পর্কের গতানুগতিক অধিকারের মাঝে পড়ে, তেমনি কিছু এক্সপেক্টেশন বয়ে নিয়ে আসে সম্পর্কের জন্য মহাবিপদ!


এমনই কিছু অস্বাস্থ্যকর এক্সপেক্টেশন নিয়ে আমরা এখানে কথা বলব ~

১. "সম্পর্কের সবকিছুই আমার ইচ্ছামতন হবে" -  একটি সুন্দর সম্পর্কে সব সময় মনে রাখা জরুরী যে সম্পর্কে দু'জন আলাদা মানুষ বিদ্যমান। তাই তাদের সব ভালো লাগা, স্বভাব, অভ্যাস ভিন্ন হতেই পারে!


২. " অন্যজন সর্বক্ষেত্রে আমাকে বুঝবে"- আমাদের  যেমন সব সময় মন মেজাজ একই রকম থাকে না, তেমনি এই কথাটি লাইফ পার্টনারের বেলাতেও সত্যি!  তাই কখনো কখনো আমাদেরও বোঝার চেষ্টা করা উচিত।


৩. " সব সময় আমিই ঠিক,এবং অন্যজন ক্ষমা চাইবে"-  সম্পর্কে দুজনেরই কিছু না কিছু ভুল থাকে, এবং দু'জনেই ভুল স্বীকার করলে সম্পর্ক সহজভাবে নিতে সুবিধা হয়।


৪. "আপনার পার্টনার, আপনার জীবন সবসময় অ্যাডভেঞ্চারে ভরিয়ে রাখবে।"- বাস্তব জীবন আসলে সবসময় খুব একটি রোমান্টিক আর  অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ নয়।জীবনে সুখ- দুঃখ, চড়াই-উৎরাই তো আছেই,সাথে আছে একটি স্বাভাবিক জীবনও!


৫." আপনার কাছের মানুষের সময় শুধুমাত্র আপনার অধিকার।"- প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ভুবনে সে নিজে এবং তার বহু আপনজনেরা থাকে। তাই কোন মানুষের সময়ের ভাগীদারই কখনো শুধুমাত্র একজন হতে পারো না!


ভালো থাকার দ্বিপাক্ষিক প্রত্যাশা তাই কখনো খারাপ কিছু নয়, বরং এটি প্রত্যেকের অধিকার। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, সেই প্রত্যাশা যাতে অন্য কারো কাছে বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়।


— সংগৃহীত

সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১

যাদের অবদানে আজ আমরা বাংলায় টাইপ করতে পারছি

যাদের অবদানে আজ আমরা বাংলায় টাইপ করতে পারছি



পীয়্যান মুগ্ধ নবী


কম্পিউটার, স্মার্টফোন থেকে শুরু করে একেবারে সরল বাটন ফোন, সবখানেই আপনি দিব্যি বাংলায় লিখে ফেলতে পারছেন যখন তখন, খুব সহজে। বাংলায় টাইপ করার ব্যাপারটি যত সহজ দেখছি আমরা আজকের দিনে, দেড় যুগ আগেও বিষয়টা অতটা সহজ ছিল না। আর অর্ধশতাব্দী আগে বাংলায় টাইপ ব্যাপারটিই ঠিকমত ছিল না। অবাককর হলেও ঘটনাটি এমনই।


এতো সহজে বাংলায় টাইপ করে চলেছি কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের পর্দায়, তার জন্য সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ থাকতে হবে যে মানুষটার কাছে তিনি মুনীর চৌধুরী। ‘কবর’ এবং ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকদ্বয়ের রচয়িতা মুনীর চৌধুরী। নাট্যকার, শিক্ষাবিদ, সাহিত্য সমালোচক এসব পরিচয়ের বাইরেও তিনি ছিলেন ভাষাবিজ্ঞানী। ঐ দুই বিখ্যাত নাটক রচনার মধ্যবর্তী সময়ে তিনি উদ্ভাবন করেন প্রথম বাংলা টাইপরাইটার লেআউট ‘মুনীর অপটিমা’।



শুরুতে বাংলা টাইপরাইটারের প্রবর্তন করে রেমিংটন র‍্যান্ড নামের এক আমেরিকান কোম্পানি। ইংরেজি টাইপরাইটারের শুরুটাও তাদের হাতেই হয়েছিল। রেমিংটন র‍্যান্ডের বাংলা টাইপরাইটার থাকলেও সেটি খুব একটা কার্যকরী ছিল না, বাংলা ভাষা টাইপিংয়ের ক্ষেত্রে তখনো রোমান হরফের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেনি। সে সব সংকট বিবেচনা করেই ১৯৬৫ সালে মুনীর চৌধুরীর হাত ধরে আসে প্রথম বাংলা টাইপরাইটার লেআউট। এটি যেন ছিল বাংলা ভাষার জন্য এক অভাবনীয় বিপ্লব। তবে এই লেআউটেরও ছিল অনেক সীমাবদ্ধতা।


এসব সীমাবদ্ধতা নিয়েও এই লেআউট একলাই চলেছে প্রায় দুই যুগ। তবে এটি শুধু ব্যবহার হতো টাইপরাইটারেই। কিন্তু আশির দশকে এসে কম্পিউটার যখন খুব বেশি ‘স্পেশাল’ কিছু, তখন এক প্রকৌশলী মুনীর অপটিমার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে গিয়ে ভাবলেন কম্পিউটারেই বাংলা লেখার কথা। প্রকৌশলী সাইফ শহীদের কাছে তখন যে কম্পিউটার ছিল (ZX 81) সেটিকে টিভি স্ক্রিনের সঙ্গে যুক্ত করে এক ‘ব’ বর্ণ লিখতেই কম্পিউটারের পুরো ১৬ কিলোবাইট মেমোরি খরচ হয়ে গিয়েছিল। তারপর তিনি নিজেই লেগে পড়েন কম্পিউটারে টাইপ করার জন্য একটি লেআউট তৈরিতে।



আশির দশকের শুরুতে তিনি ছিলেন জাপানে। সেখানে  জাপানী এক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তিনি শুরু করেন বাংলা লেআউটের কাজ। পরে ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশে ফিরে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আর ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণমালা’ বইটি দুই টাকা দিয়ে কিনে সেখান থেকে বর্ণমালা মেট্রিক্সে রূপান্তর শুরু করেন। যুক্তবর্ণ এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে জটিলতা ধীরে ধীরে সমাধান করতে করতে অবশেষে ১৯৮৫ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি তিনটি ফন্টে প্রকাশিত হয় কম্পিউটারে লেখার উপযোগী প্রথম বাংলা লেআউট ‘শহীদলিপি’। প্রথমে শুধু ম্যাকের জন্য হলেও পরবর্তীতে উইন্ডোজের জন্যও লেআউট বানানো হয়। অবশ্য এই লেআউটের ‘শহীদ’ সাইফ শহীদ নিজে নন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাতেই তিনি এই নাম রেখেছিলেন।



শহীদলিপি থাকলেও ব্যক্তিগত কম্পিউটারে বাংলা লেখার ব্যাপারটা তখনো খুব একটা সহজ ছিল না। সে লক্ষ্যেই তৎকালীন সাংবাদিক ও পরে ব্যবসায়ী (বর্তমানে আইসিটি মন্ত্রী) মোস্তফা জব্বার কাজ শুরু করেন পার্সোনাল কম্পিউটারে সহজে বাংলা লেখার জন্য একটি নতুন লেআউট নিয়ে। পরবর্তীতে মোস্তফা জব্বার এবং তার দলের প্রচেষ্টায় প্রকাশিত হয় সম্পূর্ণ নতুন একটি লেআউট সহ বাংলা লেখার সফটওয়্যার ‘বিজয়’। পুরনো সীমাবদ্ধতাগুলো অনেকাংশেই লুপ্ত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এটি পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন অফিসে ব্যবহৃত হয়েছে, হচ্ছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের কাজেও অনেকে বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার করেছেন।



তবে এই শতাব্দীর শুরুর দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এক তরুণ ছাত্র মেহেদী হাসান খান ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত’ স্লোগানে শুরু করেন এক অভাবনীয় কাজ। রিফাতুন্নবি, তানভিন ইসলাম সিয়াম, রাইয়ান কামাল, শাবাব মুস্তফা, নিপুণ হক, সারিম খান- এই বন্ধুদের নিয়ে মেহেদী প্রকাশ করলেন প্রথম বাংলা ফোনেটিক লেআউট ‘অভ্র’। ফোনেটিকের ধারণাটা অনেকটা এমন, রোমান হরফেই কেউ একজন ‘ami’ লিখলে সেটি ‘আমি’ হয়ে যাবে। এই ফোনেটিক লেআউটের ভিত্তি করেই বানানো হয় ‘অভ্র’ বাংলা কিবোর্ড। অভ্র ছিল একেবারেই বিনামূল্যের একটি সফটঅয়্যার। ব্যস, কম্পিউটারে বাংলা লেখালেখি যেন সত্যিই সবার নাগালে চলে আসল। নতুন কোন লেআউট শেখার ঝামেলা আর রইল না। কম সময়ের মাঝেই অভ্র খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। সাথে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে অনলাইনেই বাংলা লেখা।


মুনীর চৌধুরীর হাত ধরে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা যেন মেহেদী হাসান খানের কাজে একরকম পূর্ণতা পায়। এখন কত সহজেই স্বল্পশিক্ষিত একজন মানুষের পক্ষেও গড়গড় করে বাংলা লিখে ফেলা যথেষ্ট সহজ। ভাষা যেন হয় সত্যিই উন্মুক্ত।


Languages of Bangladesh

 Languages of Bangladesh 



The lowlands of Bangladesh form the larger, central and eastern half of the ethno-linguistic region of Bengal and the Bengali language is spoken by the majority of the country's inhabitants. There are also some Eastern Indic language varieties, which are variously classified either as dialects of Bengali or separate but closely related languages. They can be thought of forming a dialect continuum.


Bengali branch:

Standard Bengali.

Bangali.

Chittagonion.

Dhakaiya Kutti.

Noakhailla.

Sylheti.

Varendri.


Non-Bengali Languages:

Chakma.

Bishnupriya Manipuri.

Hajong.

Marma.

Rohingya.

Tangchangya.

Sadri.

Bihari.


Non-Indo-Aryan languages               


The indigenous languages of the region are members of the Austroasiatic, Dravidian and Tibeto-Burman families. Most of these languages are spoken in mountainous areas.


 Austroasiatic languages


While the more widely spoken and better-known Austroasiatic languages are spoken in Southeast Asia (e.g. Khmer and Vietnamese), smaller languages of that family are spoken by indigenous communities of northern and eastern Bangladesh.


Khasi

Koda

Mundari

Pnar

Santali

War-Jaintia


Dravidian languages


Two Dravidian languages are spoken by indigenous communities of western Bangladesh.


Kurukh

Sauria Paharia


Tibeto-Burman languages


The mountainous areas along the northern and eastern edges of the Indian Subcontinent are inhabited primarily by speakers of Tibeto-Burman languages. Indigenous Tibeto-Burman-speaking communities are found through the northern, eastern, and especially the southeastern parts of Bangladesh.


A'Tong

Chak


Chin languages:

Asho

Bawm

Falam

Haka

Khumi

Koch


Garo: also a major language of Meghalaya State, India


Megam


Meitei Manipuri: also a major language of Manipur State, India


Mizo: also a major language of Mizoram State, India


Mru

Pangkhua


Rakhine/Marma: also a major language of Arakan State, Burma


Tripuri languages: a major language group of Tripura State, India


Kok Borok

Riang

Tippera

Usoi

যে নাম্বারগুলো আপনার জানা জরুরি :

 একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে যে নাম্বারগুলো আপনার জানা জরুরি :


☎ ফোন নং- ৯৯৯

বাংলাদেশের জরুরি কল সেন্টার। এখানে বিনামূল্যে ফোন করে আপনি জরুরি মুহুর্তে পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস ও এম্বুলেন্স এর সাহায্য নিতে পারবেন। এছাড়া যে কোন অপরাধের তথ্যও পুলিশকে জানাতে পারবেন।

☎ ফোন নং- ১০৬

দূর্নীতি দমন কমিশনের কল সেন্টার। যে কোন দূর্নীতি চোখে পড়লে বিনামূল্যে কল করে জানিয়ে দিন।

☎ ফোন নং- ১৬৪৩০

সরকারি আইনি সহায়তা কল সেন্টার। আইনগত যে কোন পরামর্শ বা সাহায্য পেতে বিনামূল্যে কল করুন।

☎ ফোন নং- ১৬১২৩

কৃষি বিষয়ক যে কোন পরামর্শ পেতে বিনামূল্যে কল করুন। কৃষি,মৎস,প্রানী

সম্পদ বিষয়ক যে কোন পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানতে পারবেন।

☎ ফোন নং- ১০৯

নারী নির্যাতন বা বাল্যবিয়ে হতে দেখলেই বিনামূল্যে কল করুন এই নাম্বারে।

☎ ফোন নং- ১০৯৮

শিশু সহায়তামুলক কল সেন্টার। চারপাশে শিশুদের যে কোন সমস্যা হলে বিনামূল্যে কল করে সেবা নিতে পারেন এই নাম্বার থেকে।

☎ ফোন নং- ৩৩৩

জাতীয় তথ্যবাতায়ন কল সেন্টার। বাংলেদেশের যে কোন তথ্য জানতে ও সরকারি কর্মকর্তাদেরর সাথে কথা বলতে কল করুন এই নাম্বারে। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১৬২৬৩

বাংলাদেশ সরকারের সাস্থ্য কল সেন্টার। যে কোন সমস্যায় ২৪ ঘন্টায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১৬১০৮

মানবাধিকার সহায়ক কল সেন্টার। মানবাধিকার বিঘ্নিত হলে কল করুন এই নাম্বারে। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১৬২৫৬

আপনার ইউনিয়নের সকল তথ্য জানততে কল করুন ইউনিয়ন সহায়তামুলক কল সেন্টারে। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১৩১

বাংলাদেশ রেলওয়ে কল সেন্টার। ট্রেন ও এর টিকিট সম্পর্কে জানতে কল করুন। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১০৫

জাতীয় পরিচয়পত তথ্য কল সেন্টার। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১০০

বিটিআরসি কল সেন্টার।

☎ ফোন নং- ১৬৪২০

 নিজে জানুন ।

অপরকে জানান ।

কল করুন সেবা নিন।

এগুলো আপনার জন্যই ।

শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১

আমেরিকায় মাস্টার্স করার সুযোগ:

 আমেরিকায় মাস্টার্স করার সুযোগ:



বাংলাদেশিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য আমেরিকার ফুলব্রাইট ফেলোশিপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২০২৩ সালের ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রামের আবেদন গ্রহণ করা শুরু হয়েছে। ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় স্নাতক ডিগ্রিধারী (গ্র্যাজুয়েট) শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীরা সম্পূর্ণ বিনা খরচে (পূর্ণ অর্থায়নে) যুক্তরাষ্ট্রে তাদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (মাস্টার্স) অর্জনের সুযোগ পবেন। এ শিক্ষা কার্যক্রমটি যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট স্পনসর করে থাকে এবং এটি পরিচালনা করে ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (আইআইই)। আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ মে, ২০২১। ওই দিন বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের মধ্য আবেদন করতে হবে আগ্রহীদের।


ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে ইচ্ছুক উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণ পেশাজীবীদের জন্য। এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য অগ্রাধিকার পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কর্মরত কনিষ্ঠ অনুষদ সদস্য এবং সরকারি ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন এবং এনজিওতে কর্মরত কনিষ্ঠ থেকে মধ্য পর্যায়ের কর্মকর্তারা। শিক্ষার সব শাখার আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন এ প্রোগ্রামে। তবে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বিশেষভাবে শিক্ষার কয়েকটি শাখার ওপর তারা জোর দিতে চান। এগুলো হলো উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও ভৌতবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, মানবিক শাখা, ব্যবসায়, অর্থনীতি, জননীতি, পরিবেশগত বিজ্ঞান, নগর–পরিকল্পনা, চারুকলা, মনোবিজ্ঞান এবং নিরাপত্তাবিষয়ক অধ্যয়ন।


কারা এ বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন

এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

*বাংলাদেশের স্বীকৃত সরকারি কিংবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বপূর্ণ ফলসহ ন্যূনতম চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে


*পূর্বে কোনো আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেয়নি কিংবা বর্তমানে আমেরিকায় কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি নয়


*বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে পূর্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়নি। (তবে যাঁরা বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন, তাঁরা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।)


*যে বিষয়ে পড়তে যেতে ইচ্ছুক, সেই বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক/সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রে ন্যূনতম দুই বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে


*ইংরেজিতে সাবলীল ও পারদর্শী হতে হবে। ইন্টারনেটভিত্তিক (আইবিটি) টোয়েফলে (TOEFL) ন্যূনতম ৯০ কিংবা আইইএলটিএস (IELTS)-এ ন্যূনতম ৭ (সাত) স্কোর থাকতে হবে


*সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে


*আবেদনের সময় বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে

*ডিগ্রি শেষ করার আগেই বাংলাদেশে (বাড়িতে) ফিরে এলে ফিরতি বিমানের টিকিটের মূল্য ফেরত দিতে সম্মত থাকতে হবে।


আবেদনের সঙ্গে যা যা থাকতে হবে

*অনলাইনে পূরণের আবেদন ফরম পাওয়া যাবে: https://apply.iie.org/ffsp2022 তে। 


*আবেদনকারী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপরবর্তী সময়ে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (শিক্ষা প্রতিলিপি) ও সনদ সংগ্রহ করবেন


*তিনজন সুপারিশকারী পৃথকভাবে অনলাইন আবেদন পোর্টালে সরাসরি তিনটি সুপারিশপত্র (Letters of Reference) আপলোড/উপস্থাপন করবেন (সম্ভাব্য প্রার্থীরা অবশ্যই অনলাইন আবেদন সাইটে ‘Recommender Registration’ বাটনের মাধ্যমে নিজ নিজ সুপারিশকারীদের নিবন্ধন করবেন)।


*একাডেমিক রেকর্ডবিষয়ক তথ্যাদির পূরণকৃত ফরম (অনলাইন আবেদন সাইটে পাওয়া যাবে)


*টোয়েফল (TOEFL)/আইইএলটিএসের (IELTS) বৈধ স্কোর (যে স্কোর মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি)।


জিআরই–জিম্যাট কি লাগবে

যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা জিআরই (GRE) কিংবা জিম্যাট (GMAT) স্কোর থাকা বাধ্যতামূলক। যদি কোনো আবেদনকারী ইতিমধ্যে জিআরই কিংবা জিম্যাট পরীক্ষা দিয়ে থাকেন, তাহলে তাদের সেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরসংক্রান্ত তথ্য অনলাইন আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় কারও এ ধরনের (জিআরই বা জিম্যাট) স্কোর না থাকলে আমেরিকান সেন্টার শুধু প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য পরীক্ষার আয়োজন করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য TOEFL এবং GRE বা GMAT স্কোর থাকা আবশ্যক বিধায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবশ্যই ভালোভাবে এসব পরীক্ষার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।


প্রার্থীদের অবশ্যই আবেদন করার সব নির্দেশনা ও আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সব নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। কোনো আবেদনকারীর আবেদন করার যোগ্যতা পূরণ না হলে সেই আবেদনপত্র বাছাই কমিটিতে পাঠানো হবে না।


সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে এবং সাক্ষাৎকার ইংরেজিতে হবে।


ফেলোশিপের সুবিধা

জে-১ ভিসার জন্য সহায়তা; ঢাকায় যাত্রাপূর্ব পরিচিতিমূলক অনুষ্ঠান; যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া-আসা উভয় পথের বিমানভাড়া; টিউশন (শিক্ষাদান) ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট খরচ; থাকা, খাওয়া ও আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটানোর জন্য মাসিক বৃত্তি; বইপত্র কেনার জন্য ভাতা; স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা বিমা, ভ্রমণ ও ব্যাগেজ (অতিরিক্ত লাগেজের জন্য) ভাতা।


ফলাফল কবে

অনলাইন আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ এ বছরের ১৫ মে। আগের যাঁরা আবেদন করেছিলেন কিন্তু কৃতকার্য হননি, এমন প্রার্থীরাও এ বছর পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। সব আবেদনকারীকে এ কথা মনে রাখতে হবে যে এটি একটি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা (বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা এই ফেলোশিপের জন্য আবেদন করে থাকেন) এবং প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কঠোর বাছাইপ্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ২০২১ সালের জুলাই মাসের শেষ নাগাদ জানানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রে এই কার্যক্রমটি শুরু হবে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে।


নির্বাচিত প্রার্থীদের মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পরপর অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে। তাদের দেশে এসে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স সেকশনে তাঁদের দেশে ফিরে আসার বিষয়টি অবগত করতে হবে এবং একটি ব্রিফিং সভায় যোগ দিতে হবে।


*ফুলব্রাইট কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে https://bd.usembassy.gov/education-culture/student-exchange-programs/ এ ঢুঁ মারতে পারেন আগ্রহীরা। 


*ফুলব্রাইট বৃত্তির আবেদনের ফরমগুলো https://apply.iie.org/ffsp2022। পাওয়া যাবে।


যোগাযোগ

ফুলব্রাইট বৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধায় পড়লে sultanar1@state.gov ই–মেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারবেন আবেদনকারী।


সোর্স: প্রথম আলো

xiaomi'র লোগোর পিছনের ম্যাথমেটিকাল, সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট।

 তিন বছর সময় নিয়ে এবং তিন লাখ ডলার (২.৫ কোটি টাকার বেশী) খরচ করে গতকালকে চায়নিজ ব্র্যান্ড Xiomi তাদের নতুন লোগো তৈরি করেছে। বাম পাশের একটু বেশী গোলাকারটা নতুন লোগো।  এত চড়াই মূল্যে জাপানিজ ডিজাইনার Kenya Hara আসলে শাওমির কাছে লোগো বিক্রি করে নাই; গল্প বিক্রি করছে। এই গল্প বিক্রির পিছনে রয়েছে এক সুগভীর ম্যাথমেটিকাল, সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট।


নতুন গোলগাল লোগোটা আসলে Superellipse বা Lamé curve দিয়ে করা। 

Ellipse(উপবৃত্ত) নিয়ে আমরা সবাই মোটামুটি জানি,

X²/a²+Y²/b²=1 আকারের সমীকরণগুলো কার্তেসীয় স্থানাকে উপবৃত্ত তৈরি করে,  কিন্তু Superellipse কি তাহলে? Superellipse হলো এই উপবৃত্তের সমীকরণের আরো সাধারণ রুপ, 

|X/a|ⁿ + |Y/b|ⁿ =1 অর্থাৎ এখানে প্রতিটি পদের পরমমান বা Absolute Value নিয়ে তার ঘাত n করতে হয়। n এর বিভিন্ন মানের জন্য বিভিন্ন ধরনের Superellpise তৈরি হতে থাকে। এখন n=2 এর জন্য যেহেতু সবগুলো পদের ঘাত বর্গ হয়ে যায় তাই পরমমান ছাড়াই লিখা যায়,

(X/a)²+(Y/b)²=1⇒X²/a²+Y²/b²=1, যেটা কিন্তু আবার উপবৃত্তের সমীকরণ।

 এবার আসি যাদের শেপ সাইকোলোজি নিয়ে আইডিয়া আছে, তারা জানেন যে রাউন্ডনেস আসলে ন্যাচারাল অবজেক্ট এবং বন্ধুত্বের প্রতীক। এই লোগো তাই একসাথে যেমন শাওমি একটা সফিসটেকেটেড টেক কোম্পানি, তার গল্প বলে। তেমন ভাবে শাওমি যে শুধুমাত্র বাক্স বানায় তা না, তারা “Alive”; সেই গল্পও বলে।

এই রিব্র্যান্ডিং এর ডিজাইনার সেই গল্পটাকে বিক্রি করেছেন। একজন অ্যামেচার ডিজাইনার যেখানে এটাকে রাউন্ডনেস বাড়াইছি বলে ক্লায়েন্টকে দিবে, একজন মাস্টার ডিজাইনার তার সাথে গল্প বসায় টাকার অংকে কয়েকটা শুণ্য বেশী নিয়ে নিবে।

সাধারণ মানুষও গল্প ভালোবাসে এবং গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়। মাস্টার মার্কেটার ক্লোটেয়ার রাপাইল যখন জিপ গাড়ির হেডলাইট চারকোণা থেকে বুনো ঘোড়ার চোখের মত গোল করেছিলেন, জিপের সেলস কয়েকগুণ বেড়ে গেছিলো। এটাই গল্পের শক্তি, গণিতের শক্তি, বহুদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে আসা সাইকোলজির শক্তি।

গাণিতিক চিন্তাবোধসম্পন্ম মানুষ সকল ক্ষেত্রেই ভালো করতে পারেন, সেটা হউক ব্যক্তিগত জীবন হউক চাকুরীজীবন। 

সুযোগ থাকলে তাই যারা গণিত নিয়ে উচ্চশিক্ষায় যান তাদের মধ্যে স্মার্টনেসটাও অনেক বেশি মাত্রায় থাকে।

#shon4poth #xiaomi #xiaomi_new_logo #mathematics

কিভাবে তৈরি হইলো এই বাস্তবতা?

 অর্থাৎ শিক্ষাকাঠামোর ভেতর দিয়ে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত পৌছানোর প্রশ্নটা অবিভাবকের আর্থিক সঙ্গতির সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ধনীর আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গরীবের, বা আরও ভালো করে ঘাটলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গরিবের- বিষয়টা মোটেও এমন না। ধনীরাই সবধরণের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ আসন দখল করে থাকতেছেন। প্রাইভেট, পাব্লিক, বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজ- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরণ নির্বিশেষে। 


এর মানে, অর্থনৈতিক অসমতার সাথে রাষ্ট্রীয় শিক্ষাকাঠামো মিলে এখানে এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, যে উচ্চশিক্ষার দুয়ার গরিবের জন্য কার্যত খোলাই নাই।মধ্যবিত্তের জন্য সামান্য পরিমাণে আছে, যেইটা আবার মধ্যবিত্তরে ফতুর বানাবারও একটা মাধ্যম। 


কিভাবে তৈরি হইলো এই বাস্তবতা? 



আপনি সরকারী কলেজে স্কুলে পড়ান নাকি প্রাইভেট স্কুলে কলেজে পড়ান সেইটা বিষয়ই না এইখানে- একেবারে প্রথম থেকেই আপনাকে শিক্ষা কিনতে পারতে হবে। মানসম্মত, সাফিশিয়েন্ট শিক্ষা।যেই শিক্ষা না কিনতে পারলে আপনার সন্তান উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত যেতেই পারবেনা। 


এই শিক্ষা আপনার কাছে বিক্রি করে কোচিং সেন্টারগুলি। এই শিক্ষা কনসেন্ট্রেটেড শহরগুলির নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েদের থেকে কিনতে হবে আপনার। মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা সন্তানের পড়ালেখার পিছনে খরচ করতে পারেন না, তার পিছনে চব্বিশ ঘন্টা মা অথবা বাবা লেগে থাকতে পারেন না- এমন অবিভাবকের পক্ষে উচ্চশিক্ষায় সন্তানকে পৌছানোর কল্পনা করাটাই কঠিন।


আরেকটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা হইলো,মধ্য আয়ের পরিবারগুলি প্রাইভেট উচ্চশিক্ষা ক্রয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠতেছেন। 


এবার ভাবেন, কী করবেন। এই ধনীর ঘরের ছেলেমেয়েরা এমন একটা কমিউনিটির, যারা মোট জনসংখ্যার সংখ্যালঘুতম অংশ। আর গরীবের ঘরের ছেলেমেয়েরা মোট জনসংখ্যার ওভারহোয়েল্মিং মেজরিটি। অথচ উচ্চশিক্ষায় এই সংখ্যালঘু ধনীরাই অবিশ্বাস্য রকমের বেশী প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, সংখ্যাগুরু গরিবেরা অবিশ্বাস্যভাবে কম প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন উচ্চশিক্ষায়।


ফলে করণীয় খুব পরিষ্কার।সংখ্যাগুরু গরিব জনগণের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হলে সবার আগে সংখ্যাগুরু গরিবের ক্ষমতায় আসীন হইতে হবে। খেলা সিম্পল। 


শ্রমিক এর গ্রাফিক্স।


- ফারুক সাদিক

ভাইরাল ছবিঃ ডেনিমের পুনর্জাগরণ

 ভাইরাল ছবিঃ ডেনিমের পুনর্জাগরণ



আমরা প্রায়সই বলে থাকি "পৃথিবী কতই না বিচিত্র" "কত কিছুই না দেখার আছে"।  


হ্যাঁ , এই বিচিত্রতার কমতি নেই  ফ্যাশন স্টোরগুলোতেও। অল্প কিছুদিন আগে খুবই ভাইরাল একটি ছবিতে দেখা যায়  অ্যালুমিনিয়াম তৈরি চকচকে দেয়ালগুলি এবং রক্ত ​​সঞ্চালন হচ্ছে অপারেটিং টেবিলে  পড়ে থাকা মৃত ডেনিম পন্যগুলোর উপরে। এটা দেখে অনেকটা মনে করতে পারেন ফ্যাশন ডিজাইনে ব্যাবহৃত  ডেনিম পণ্যগুলিকে একটি ভিআইপি হাসপাতালে ভর্তি করে খুব যত্নের সাথে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর এটাতেই বিশ্বজুড়ে ফ্যাশন ইন্ড্রাস্ট্রি এবং টেক্সটাইল শিল্পে আলোরণ সৃষ্টি করে এই ইউনিক ডিজাইন এর  ফ্যাশন  স্টোরটি। 


নভেম্বর  ২০১৮ তে, ম্যাপো-গু, সিউল কোরিয়ায়,  "ল্যাব ১০১"  নামে একটি ডেনিম ব্র্যান্ড এর সূচনা করেন। 


যারা উদ্ভাবনী কৌশলে  ব্যাতিক্রমধর্মী ডেনিম স্টোর ডিজাইন করেন। 


ঠিক কিছু কিছু  খাবার এবং নিত্য প্রয়োজনীয়  দ্রব্যের স্টোরগুলো কিংবা অতি প্রয়োজনীয় হাসপাতাল  যেমন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে তেমনি ডেনিম এবং ফ্যাশন এর গুরুত্ব বুঝাতে এই স্টোরটি ডিজাইন করা হয় যেখানে স্টোরটি  দিন-রাত ২৪  ঘন্টাই খোলা থাকবে। খোলা থাকার পাশাপাশি এর ভিতরে কাস্টমারদের জন্যে রয়েছে খাওয়া-দাওয়া এবং বিশ্রাম নেয়ার  ব্যাবস্থা।


 এই থিমকে "ডেনিমের পুনর্জাগরণ " হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং সেই হিসেবেই স্টোরটিতে আরো কিছু মৌলিক জিনিস যুক্ত করা হয়েছে। যেমন স্টোরের ভিতরের দিকে  চকচকে ধাতব যুক্ত করা হয়েছে  এবং এর চারপাশে ঘুড়ে বেড়ালে একটি  নীল রঙের  ফিক্সচারও বিশদভাবে লক্ষ্য করা যাবে।


অনেক ফ্যাশন শপগুলির থেকে এটিকে আপনি আরো সহজে পৃথক করতে পারবেন।


 কারণ এখানকার গ্রাহকদের বড় উইন্ডো এবং ম্যানকুইন ডিসপ্লে খুবই আকর্ষণ করবে। 


 ল্যাব ১০১ এর একটিমাত্র  বাহিরের গেইট রয়েছে যার দ্বারা এর ভিতরে কী রয়েছে তার অতি সামান্যই বোঝা যায়। 


ডেনিম স্টোর ডিজাইনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত "নিইজিড" এর গুরুত্ব বোঝাতে জোড় গলায় ডিজাইন ল্যাব থেকে বলেন, "ল্যাব১০১ অন্যান্য সাধারণ স্টোরের মতো কোনও খোলা জায়গায় পণ্য প্রদর্শন করে না।"


এর বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির  পরিচালক জেং হিউং-উউক বলেছেন

"ড্যানিমের ক্ষেত্রে, এমন অনেক ভোক্তা আছেন যারা একা একা অফলাইনে পণ্য  নিতে চেষ্টা করেন এবং শরীরে ফিট করা কাপড় পরিধাণ করতে চেষ্টা করেন, সে সকল সুবিধাগুলো এখানে আছে " 


লেখক - মোঃ আল-আমিন 

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ 

ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট(১২তম ব্যাচ)

পুলিশের এলএমজি পোস্টের মধ্যে মূল বার্তা কি?

 পুলিশের এলএমজি পোস্টের মধ্যে মূল বার্তা কি?



১। আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর ফিল্ড এস্কালেশান র‍্যাংক’কে পুলিশের সমানে নামিয়ে দেয়া হল। ভারি যন্ত্রপাতি ক্রয়, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় সেনাবাহিনীর মনোপলি কিংবা একক অধিকার অস্বীকার করা হল, অফিসিয়ালি। সেনাবাহিনীর অস্ত্র আমদানি বাজেটে পুলিশ ঢুকে পড়ে দেশের আন্তঃবাহিনী ক্যাওস এন্ড  কনফ্লিক্টের দীর্ঘস্থায়ী গর্ত খোঁজা হল। 


২। সরকার বিদেশিদের মেসেজ দিয়ে দিল যে, তার ঘরের অবস্থা শোচনীয়। এই মুহুর্তে দেশে জন কেরি এবং ভারতীয় সেনা প্রধান সফরে আছে। দেশে একটা ভায়লেন্ট ইস্লামিস্ট ফোর্সের উত্থান থামাতে জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প নাই, এমন মেসেজ সামনে থাকতে পারে। এতে করে আন্তর্জাতিক নেগোসিয়েশনে, ভূ-রাজনৈতিক আলোচনায় সরকারের অবস্থান আরো দুর্বলতর হতে বাধ্য। ভারত চীন (নতুন করে আম্রিকাও) এসব পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে নতুন স্বার্থ্য হাসিলের সুবিধা নিতে পারে। (উল্লেখ্য যে, সাধারণত অস্থিতিশীল আফ্রিকান দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক ও লোকাল সেবানাহিনী এধরনের লাইট মেশিনারি পোষ্ট করে, পুলিশ এসব করে না। কোন স্বাভাবিক স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরে মেশিনগান স্ট্যান্ড তৈরি করতে হয় না।)   


৩। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এলএমজি পোস্টের বার্তা হচ্ছে, সরকার একটা গ্র্যান্ড অপজিশন এলায়েন্সের কিংবা একটা নতুন ভয়ালোন্ট ফোর্সের ভয় করছে বা ভয়টা সে নিজে দেখাতে চাচ্ছে। ডেমোক্রেটিক প্রসেস বন্ধ করে সে বিরোধীদের বিনাশ করেছে। এখন তার একটা নতুন বিরোধী ফোর্স দরকার। সে দেখাতে চায় একটা ভায়োলেন্ট ফোর্স  তৈরি হচ্ছে, যার নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিক পুলিশ-গোয়েন্দা ফোর্সের সাধারণ অস্ত্র দিয়ে সম্ভব না। এর মধ্য দিয়ে  পুলিশ-গোয়েন্দা ফোর্সের ফুট সোলজারদের উপর নতুন মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি হবে। (যদিও আমরা এমন কোন ডমিনেন্ট ফোর্সের অস্তিত্ব দেখি না, যা দেখি তা হচ্ছে ডেমোক্র্যাটিক প্রসেস বন্ধ করে একটা নন পলিটিক্যাল ফোর্স্কে গায়ে পড়ে পলিটিক্যাল ফোর্স হিসেবে তৈরির চেষ্টা)। 


৪। রাজনীতিতে ভায়োলেন্ট ফোর্সের অস্তিত্ব সত্যিকার অর্থে না থাকলে, এই কাজে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি ত্বরান্বিত হবে কারণ এইধরনের ডিপ্লয়মেন্ট কন্ডিশান দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা বিকাশ, ব্যবসা বাণিজ্য সহজীকরণ মিলিয়ে সার্বিক অর্থনীতির জন্য নেগেটিভ বার্তা। এরকম পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে গুমোট ভাব আসতে পারে।


-ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১

What is the meaning of Toothpaste Color Code?

 Read this carefully. The internet is full of lies and rumors on this subject and I do not want you to get caught in these rumors.


You often see strips of different colors at the bottom of toothpaste tube. sorts of-


For a long time there has been a rumor on the internet that the colors on the end of the toothpaste tube mean-


Blue means drug-containing toothpaste.


Green means completely natural.


Red means a mixture of natural and chemical.


Black means purely chemical.


This is utterly wrong and false. Often people start reading this to check their toothpaste and get unnecessarily worried. Do not pay attention to these things.


First of all, everything is a chemical. All natural things are also a type of chemical. So there is no question of chemical or without chemical.


But what is the meaning of these colors?


This color is meaningless to us humans. These colors indicate the 'light sensors' installed in tube making machines as to what type and size of tubes to make. Only sensors can understand this, not us humans.


I hope you have understood the true meaning of these colors and will not believe the rumors.


Thank you!





What is a Toothpaste Color Code? | Colgate® Oral Care


Toothpaste Color Code: A Debunked Myth

রাষ্ট্র এবং তার বাহিনী

 রাষ্ট্র এবং তার বাহিনী



;


রিক্সা ভ্যানে শায়িত এই লাশটি ইনসেটের ১৪ বছর বয়সী শিশু ইয়াসমিনের, দিনাজপুরের ইয়াসমিন। ইয়াসমিন হচ্ছে বাঙলাদেশে পুলিশী অপরাধের বিভৎস, কদাকার এক কাহিনীর নাম। সেই সাথে পুলিশী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের রুদ্ররূপ সংগ্রামের এক জ্বলন্ত ইতিহাস। 


১৯৯২ সালে ইয়াসমিনের মা রিক্সাচালক স্বামীর মৃত্যুর পর অভাবের তাড়নায় ইয়াসমিনকে স্কুল ছাড়িয়ে (৫ম শ্রেণী) সেই শহরেরই এক ধনী ব্যক্তির (ঢাকার ধানমন্ডিতে বসবাসরত) বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজে দেয়। দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ শিশু ইয়াসমিন সেখানে কাজ করাকালীন সময়ে মাকে দেখার জন্য বার বার আকুতি জানিয়েও গৃহকর্তার হৃদয় গলাতে না পেরে ১৯৯৫ সালের ২৩ আগস্ট পালিয়ে একাই দিনাজপুরের উদ্দেশে ঢাকা-ঠাকুরগাঁওগামী নৈশ কোচ হাছনা এন্টারপ্রাইজে উঠে পড়ে। 


২৪ আগস্ট রাত ৩টার দিকে ইয়াসমিনকে হাছনা এন্টারপ্রাইজের সুভারভাইজার দিনাজপুরের দশমাইল মোড়ের পান দোকানদার জাবেদ আলী, ওসমান গনি, রহিমসহ স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে সকাল হলে মেয়েটিকে দিনাজপুর শহরগামী কোনো গাড়িতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিছুক্ষণ পর দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা টহল পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ইয়াসমিনকে সেই রাতেই দিনাজপুর শহরে মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয় এবং পথিমধ্যে পিকআপেই ধর্ষণের চেষ্টা করলে ইয়াসমিন পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে গাড়ি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু রক্ষা সে পায় না, আবারও তাকে পুলিশ জোরপূর্বক নিজেদের পিকআপে তুলে নিয়ে স্থানীয় আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভিতরে নিয়ে উপর্যুপরি গণধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ গাড়িতে তুলে নিয়ে তা রাস্তার পাশে ছুড়ে ফেলে দেয়।


২৪ আগস্ট সকাল বেলা স্থানীয় লোকেরা ইয়াসমিনের লাশ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখলে ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। এ পৈশাচিক ঘটনায় কর্তৃপক্ষ অপরাধীদেরকে শাস্তির আওতায় না এনে উল্টো তা ধামাচাপা দিতে “অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর লাশ উদ্ধার” মর্মে থানায় একটি ইউডি মামলা ফাইল করে। তড়িঘড়ি করে কোনো জানাযা ছাড়াই আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করে দেয়। স্থানীয় এক পত্রিকা সম্পাদক (দৈনিক উত্তরবাঙলা) পুলিশ কর্তৃপক্ষের এই জঘণ্য কার্যকলাপ সেই রাতে পত্রিকায় প্রকাশের উদ্যোগ নিলে কর্তৃপক্ষ তা জানতে পেরে তার ছাপাখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। সম্পাদক কৌশলে পাশের বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে তা পরের দিন প্রকাশ করে দিলে দিনাজপুরের মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ কর্তৃপক্ষ বিক্ষুব্ধ মানুষের চিন্তা ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য ইয়াসমিনকে ভ্রাম্যমান পতিতা হিসাবে প্রচার করতে থাকে। এতে দিনাজপুরের মানুষ আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা থানা ঘেরাও ও আক্রমণ করে থানার প্রাচীর ভেঙে দেয়। শহরের অনেকগুলো পুলিশ ফাঁড়ি এবং পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ রূপ নেয় যে সমগ্র দিনাজপুরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং পুলিশের সাথে খালি হাতে যুদ্ধে নেমে পড়ে। এই ঘটনায় প্রায় ৭জন মানুষ নিহত হয়, শতাধিক আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করে। সমগ্র জেলার সরকারী নিয়ন্ত্রণ ভেঙে পড়ে। কর্তৃপক্ষ কারফিউ জারী করে, আধাসামরিক বাহিনী রাস্তায় নামায়। সারা দেশের মানুষ দিনাজপুরের মানুষের সাথে একত্বতা প্রকাশ করে কর্মসূচী ঘোষণা করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বহু ক্ষয়ক্ষতি শেষে তৎকালীন সরকার জনতার কাছে হার মানে এবং ঘটনার তদন্ত ও বিচার করার উদ্যোগ নিয়ে জনতাকে শান্ত করে।


২০০৪ সালে রংপুরের একটি আদালতে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে সেদিন গাড়িতে থাকা তিন পুলিশ সদস্যের ফাঁসির রায় হয়। কিন্তু সেই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা, আলামত নষ্ট করা এবং তার জের ধরে পরবর্তী ঘটনাবলীতে যে ৭জন মানুষ নিহত হয়েছিলেন, শতাধিক আহত ও অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছিলেন, সরকারী বেসরকারী সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হয়েছিল, তার কোনো বিচার হয়নি, সেই প্রশ্ন কেউ তোলেনি।


সেই থেকে বাঙলাদেশে প্রতি বছর ২৪শে আগষ্টকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসাবে ঘোষণা ও পালন করা হয়। কিন্তু আজও প্রায় প্রতিদিন ভয়ঙ্কর থেকে ভয়াবহতমরূপে নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও ধর্ষণ করে খুন ইত্যাদি চলমান, সামান্যতম কোনো পরিবর্তন নেই, বরং বর্তমান পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। বর্তমানে দিবস ঘোষণা হওয়া সত্বেও বাঙলাদেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসটাও তেমন পালিত হয় না, চোখে পড়ে না।

বঙ্গবন্ধু স্কলার’ বৃত্তি আবেদনের সময় বাড়ল


 জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ‘বঙ্গবন্ধু স্কলার’ নামে এ আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে। আগে ২৮ মার্চ পর্যন্ত আবেদনের শেষ সময় ছিল। এবার আবেদনের শেষ সময় বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল করা হয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতায় বলা হয়েছে এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫। আর স্নাতকে জিপিএ/সিজিপিএ-৩.৭০ (৪-এর স্কেলে)।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ১৩ জন অনন্য মেধাবী শিক্ষার্থী পাবেন ‘বঙ্গবন্ধু স্কলার’ স্বীকৃতি। মেধাবীদের স্বীকৃতি ও উৎসাহিত করতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধু স্কলার নির্বাচন করে দেওয়া হবে বৃত্তি। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এ বৃত্তি ও অনন্য স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৩টি অধিক্ষেত্র থেকে একজন করে অনন্য মেধাবী শিক্ষার্থী পাবেন এ স্বীকৃতি। সামাজিক বিজ্ঞান, কলা ও মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, আইন, ভৌতবিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, শিক্ষা ও উন্নয়ন, চিকিৎসা, চারুকারু, কৃষিবিজ্ঞান ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিক্ষেত্রে অনন্য মেধাবী স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ১৩ শিক্ষার্থী এ স্বীকৃতি ও বৃত্তি পাবেন।প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্কলার নির্বাচন ও বৃত্তি প্রদান নির্দেশিকায় দেওয়া শর্ত ও যোগ্যতা অনুসারে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। এ নির্দেশিকা ও আবেদন ফরম প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে (www.pmeat.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তির নিশ্চয়তা পেয়েছেন বা ভর্তি হওয়া এমন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু স্কলার বৃত্তির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, নম্বরপত্র ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে অর্জনের (এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাচিভমেন্ট) সনদের সত্যায়িত কপি সংযোজন করতে হবে। পূরণ করা ফরম ১৫ এপ্রিলের মধ্য প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর (বাড়ি নম্বর ৪৪, সড়ক নম্বর ১২/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে বা সরাসরি পৌঁছাতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

এডসেন্সের জন্য আবেদন করবেন যেভাবে....

ধরে নেয়া হলো আপনার ব্লগ বা সাইটের লিংকটি নিন্মরুপ- blog.something.


com
 তাহলে শুরু করা যাক।



১) AdSense পেজ খুলে ডান দিকে উপরে Sign up now >> বাটনে ক্লিক করুন। সাইনআপ ফর্ম চলে আসবে...

২) ফর্মের Website Information সেকশনে Website URL এ আপনার ব্লগ বা সাইটের ওয়েব লিংক বসান। উদাহরণ: Website URL: blog.something dot com যে সাইটের লিংকটি দিয়ে আবেদন করবেন, সেটি ইংরেজীতে হওয়া বাঞ্ঝনীয়। তবে ইদানিং এডসেন্সের রুলস অনেক শিথিল করা হয়েছে.. গুগল বাংলা সমর্থন না করলেও বাংলা সাইটের জন্যও আবেদন গ্রহন করা হচ্ছে শুনতে পেয়েছি। তবুও আবেদনের গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য ব্লগস্পটের ব্লগটিতে ইংরেজীতে কিছু পোস্ট লিখে রাখতে পারেন। 

৩) Website language:

ইংরেজী নির্বাচন করুন এবং নিচের দুটো চেকবক্সে টিক দিয়ে দিন। চেক বক্সদুটোতে লেখা থাকবে- [ ] I will not place ads on sites that include incentives to click on ads. [ ] I will not place ads on sites that include pornographic content. 

৪) Contact Information এ Account type:

Contact Information এ Account type এ Individual নির্বাচন করুন। বিজনেস নির্বাচন করলে তেমন কোন পরিবর্তন হবে না শুধু মাত্র চেকটি আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু হওয়া ছাড়া। আরো বিস্তারিত জানতে এডসেন্সের পেজে দেখতে দেখুন। 

৫) Country or territory:

Country or territory তে যে দেশ নির্বাচন করবেন, নিচে সেই দেশের উপযোগী এড্রেস ফিল্ড পাবেন। বাংলাদেশ থেকে টাকা পেতে চাইলে নির্বাচন করুন Bangladesh. 

৬) Payee name (full name):

Payee name এ আপনার সঠিক নামটি লিখুন যে নামে ব্যাংক একাউন্ট করা সম্ভব বা যেটি আপনার সার্টিফিকেটে রয়েছে। কারন এ নামেই চক ইস্যু হবে এবং এই নাম পরবর্তিতে পরিবর্তন করা যায় না। এবিষয়টি একটু সতর্কতার সাথে পুরন করুন। কারন এখানে ভুল করার কারনে অনেক লোক চেক ভাঙাতে পারেন না। 

৭) আপনার সঠিক এড্রেসটি দিয়ে I agree that I can receive checks made out to the payee name I have listed above চেক বক্সে চেক করুন। লক্ষ করুন, আপনার সঠিক টেলিফোন/মোবাইল নাম্বারটিও দিতে হবে। 

৮) Policies-এর তিনটি চেক বক্সেই চেক করতে হবে। তার আগে AdSense Program Policies টা অবশ্যই পড়ে নিবেন। এখুনি পড়তে না চাইলে বুকমার্ক করে রাখুন। নতুনদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ন।

৯) সবকিছু আরেকবার পরীক্ষা করে সাবমিট করুন... একটি কনফার্মেশন পেজ চলে আসবে যেখানে আপনার পুরন করা তথ্যগুলো দেখাবে। 

১০) এবার Which best describes you? প্রথম অপশনটি নির্বাচন করুন। (ধরে নেয়া হলো আপনার একটি জিমেইল আইডি রয়েছে.. কারন আগের পর্বে আপনি ব্লগস্পটে ব্লগ তৈরি করেছিলেন।) 

১১) Would you like to use your existing Google Account for AdSense? এ ও প্রথম অপশনটি নির্বাচন করুন। (I'd like to use my existing Google account for AdSense.).. এবার গুগলের লগইন করার বক্স আসবে... আপনার গুগল আইডি (জিমেইলে যেটি ব্যবহার করেন) ও পাসওয়ার্ড দিন) Continue করুন... সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে দুই/তিনদিন অপেক্ষা করতে হবে। একাউন্ট গ্রহন করা হলে আপনাকে মেইল করে জানিয়ে দিবে।

23 Movies That Will Change Your Life ❤


























একে কি বলে একাকিত্ব নাকি স্বাধীনতা!?

 যখন সকালে ঘুম ভাংগানোর কেউ নেই, রাতে বাড়ি ফিরলে অপেক্ষায় কেউ বসে নেই, তুমি যা মন চায় করতে পারো, কোনো পিছুটান নেই.... একে কি বলে একাকীত্ব না...