পুরুষদের ওজন কমানো এবং মাসল গেইন করা মেয়েদের চেয়ে অনেক সহজ।
জাস্ট ইনসুলিনটাকে চেক দিতে হবে, আই মিন সুগার, সয়াবিন-ট্রান্সফ্যাট আর রিফাইন্ড স্টার্চ(সাদা ভাত, সাদা আটা-ময়দার রুটি)কে বাদ দিতে হবে, স্ট্রেসটাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে আর টেস্টোস্টেরনকে নামিয়ে দিতে হবে যুদ্ধের ময়দানে, আই মিন হার্ড ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করতে হবে।
টেস্টোস্টেরন একবার অপটিমাম লেভেলে চলে গেলে বাকি খেলা সেই খেলবে, আপনি নিশ্চিন্ত(যদি না আপনি ডায়বেটিক হন)।
কিন্তু, মেয়েদের ব্যাপার আলাদা।
মেয়েদের হরমোনাল ব্যালেন্স খুবই নাজুক। অন্তত ৭টা হরমোনকে ম্যানেজ না করে মেয়েদের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় না।
১)ইনসুলিন
২)ইস্ট্রোজেন
৩)থাইরয়েড
৪)কর্টিসোল
৫)লেপটিন
৬)গ্রোথ হরমোন ও
৭)টেস্টোস্টেরন
এর মধ্যে মেয়েরা সমস্ত নিউট্রিয়েন্ট লস করেন বেশি। তারা এমনিতেই খান কম, কিন্তু মিনারেল বার্নআউটে তাদের শরীর ওস্তাদ।
মেয়েদের ওয়েট লসের জন্য তাই কোন পানির মত সহজ পথ নাই।
একজন মেয়ে হয়তো এক ধাক্কায় ৪ মাসে ২৫-৩০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন স্ট্রিক্ট কিটো/ভেগান করে। কিন্তু তার শরীর ব্যাকফায়ার করতে বেশিদিন সময় নেবে না।
মেয়েদের জন্য তাই দ্রুত ওয়েট লসের চাইতে খুব সতর্কতার সাথে নিজের ওভারডমিন্যান্ট হরমোনগুলোকে খুজে বের করতে হবে, তারপর এক এক করে সেগুলোকে রিসেট করে অপটিমাম লেভেলে নিয়ে আসতে হবে।
আমার কাছে প্রায়ই এক্সট্রিম ওয়েট লস করা মেয়ে প্যাশেন্টরা আসেন, যারা প্রচন্ড ক্লান্তি আর মাথা ঘোরানোর সমস্যায় ভোগেন, অনেকেরই লো ব্লাড প্রেসার থাকে। কেউ কেউ পিত্তথলির অবস্থা খারাপ করে নিয়ে আসেন, কেউ আবার ফ্যাটের চেয়ে বেশি লস করেন মাসল।
তো এই সমস্যাগুলো হয় না যদি আপনি প্রথমে নিজের হরমোনাল প্রোফাইলটা বুঝতে পারেন। এটা নিজে নিজে না পারার সম্ভাবনাই বেশি, এবং এখানেই আপনাকে সহযোগিতা করতে পারেন একজন ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট।