রেবেকা শাফী!
অনেকে ফেসবুকে নিম্মের ছবিটির মেয়ের বিতর্ক দেখে থাকবেন।চলুন তার অর্জন গুলো একটু দেখে আসি-
✔ Physics Undergrad (GPA 4.00) - Cal Tech
✔ Master’s Astrophysics - Harvard
✔ PhD – Harvard (On Black hole Spin!)
✔ Teaching Assistant, Post Doc RA, Swartz Fellow in Comp Neuroscience – Harvard Center of Brain Science
✔ Post Doc Fellow – Broad Inst at MIT and Harvard
✔ Post Doc Fellow – Harvard Med School
✔ Winner of US$ 200,000 grant to study “Measure of Black hole Spin”
✔ Best TV Debater – Bangladesh Television (I just saw her debate in a video, one of the best!)
ইনি আগে Physics নিয়ে পড়তেন, এখন তার interest হচ্ছে Biology! কাজ করছেন neuroscience আর genetics এর intersection নিয়ে Harvard Medical School এ!
আর আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে একটু দেখে আসি চলেন-
আমাদের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে উন্নতি লাভ করা মানে ইয়ো ইয়ো টাইপের হওয়া-
আমাদের বর্তমান প্রজন্মের একটা ধারণা হলো আপনি তখনি সমাজে টিক থাকতে পারবেন যখন আপনি আপনার বাকি ফ্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন।
এদের কাছে জীবন মানে ফেসবুকে দিনে ডজন খানিক সেফলি দেওয়া-
এদের কাছে জীবব মানে তথাকথিত ভাইয়াকে আইডল মানা-
এদের কাছে জীবন মানে ইশ যদি সালমান মুক্তাদিকের সাথে একটা সেলফি তুলতে পারতাম-
এদের কাছে জীবন মানে ব্যান্ডের গানে নাচ করা-
এদের কাছে জীবন মানে বই কিনে সেটার পাশে একটা কফির কাপ রেখে ছবি তুলা-
এদের কাছে জীবন মানে ইউটিউব এ সাবস্ক্রাইবার আর্ন করা-
পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই একজন পাকিস্তানি শিক্ষা আন্দোলনকর্মী, যিনি সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
.
এই মালালা যে মেয়েদের পক্ষে কথা বলায়,মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৯ অক্টোবর, স্কুলের বাসে একজন বন্দুকধারী তাকে চিহ্নিত করে তিনটি গুলি করে, যার মধ্যে একটি তার কপালের বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে চামড়ার তলা দিয়ে তার মুখমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে কাঁধে প্রবেশ করে।
.
একজন অদম্য সাহসী নারী এই মালালা ইউসুফজাই।
তার এই সাহস তার এই কর্ম তাকে এনে দিয়েছে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। তাছাড়া তিনি তার আরো কিছু অর্জন-
শাখারভ পুরস্কার
সাইমন দে বোভেয়ার পুরস্কার
সাম্মানিক কানাডীয় নাগরিকত্ব
জাতীয় যুব শান্তি পুরস্কার
.
আর আমাদের মেয়েরা কি করছে? ফেসবুক,ইউটিউব, টুইটার।একটু ঘুরলাম,খেলাম এইতো জীবন।
আফসোস, জীবনটাকে তারা এখনো বুঝতে শিখেনি।
জীবনের আসল অধ্যায়টা তারা কখনো দেখেনি।
জীবনে বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীতে কত কত মেয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে তা তারা জানেনা।
তারা শুধু জানে প্রতিদিন একটা সেলফি তুলতেই হবে,বিয়ের পর জামাইয়ের সাথে প্রতিদিন ৫ টা ছবি তুলে ফেসবুকে দিতেই হবে।
ফেসবুক সেলিব্রিটির পেজে গিয়ে একটা কমেন্ট করতেই হবে-
এখন প্রতিটি ইউনিভার্সিটিতে দেখা যায় বছরে ৪/৫ টা ব্যান্ড আসে।গান হয় নাচ হয়,আর সাথে ছেলে মেয়েরা সুর মিলিয়ে নাচে।
তাদের কাছে জীবনটা এইটুকুতে সীমাবদ্ধ।
কিন্তু জীবনের প্রকৃত অধ্যায় তারা কখনো খোজার চেষ্টা করছেনা-
জীবনে যেদিন বুঝতে পারবেন হায় আমি কি করলাম আমাদের ৪০/৫০ বছরের জীবনে।আমাকে কে মনে রাখবে।আমাকে আমার কোন কর্মের জন্য মনে রাখবে।
আমি এই দেশ এই পৃথিবীকে কি দিয়ে গেলাম?
সব কিছুর উত্তর হিসেবে যখন শুধুমাত্র একটা হতাশা পাবেন তখন বুঝবেন আপনি জীবনকে ব্যবহার করেছেন নিজের স্বার্থে শুধু।কারো একটা ভেঙে পরা জীবন,হারতে বসা কারো কাধে হাত রেখে সাহস দেওয়া-
পারবনা বলা মানুষটির কাছে গিয়ে তোমাকে পারতে হবে বলা আর হতাশায় ডুবে থাকা মানুষটির কাছে গিয়ে বলা আমিতো আছি - এইতো জীবন।
আমাদের উপহার দেওয়া এই জীবনটাকে একটু ভালোভাবে, ভালোকাজে ব্যবহার করুন।
ভালোবাসুন সকল অসহায়কে,প্রতিবাদ করুন সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
জীবনটাকে জীবনের মতো করে বাঁচতে দিন।💙