জাপানের পুরুষেরা এখন জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য সেক্স ডলের শরণাপন্ন হচ্ছে। প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় দুই হাজারের মতো 'সেক্স ডল' বিক্রি হয়, দাম অন্তত ছয় হাজার ডলার।
৪৫ বছর বয়সী মাসায়ুকি ওজাকি তার সেক্স ডল সম্পর্কে বলেন,
"সে সবসময় জেগে আছে, আমার জন্য অপেক্ষায় আছে এটা মনে করে আমি নিরাপদ বোধ করি.."
পাগলের প্রলাপ মনে হচ্ছে?
বিয়ে না করে সেক্স ডলের ভালোবাসায় মজে যাওয়ার কারণ কি?
তাহলে কি জাপানের পুরুষরা Mass Schizophrenia বা Mass Paraphilia তে আক্রান্ত হচ্ছে?
চলুন মাসায়ুকি ওজাকির মুখ থেকেই শুনি,
"জাপানি মেয়েরা নির্মম হৃদয়ের, স্বার্থপর। পুরুষেরা চায় এমন কেউ তার পাশে থাকুক যে তার পাশে থাকুক, কাজ থেকে আসার পর যার সাথে সুন্দর সময় কাটানো যায় এমন কেউ। সেক্স ডলের সাথে আমি তেমনটা করতে পারি"। [1]
ঠিক ধরেছেন। দেশটিতে নারীবাদের কালো থাবা পড়েছে। ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড দেশটির কর্পোরেট নারীরা আর বিয়ে করতে আগ্রহী নয়। বিয়ে করলে বাচ্চা হবে, কাজের ক্ষতি হবে। আর বৈবাহিক জীবনে সময় দিতে গিয়ে ক্যারিয়ারও ঠিকমতন হবেনা। আর ওদিকে পুরুষ তো এগিয়ে যাচ্ছে, কাজেই তাকেও ধরতে হবে। সুতরাং , জাপানী নারীদের সহজ সমাধান হল: নো বিয়ে, নো বাচ্চা, অনলি ক্যারিয়ার। ক্যারিয়ার গড়তে গড়তে ৩৫ বছর, কাজেই পরে আর বিয়ের বয়সও নেই। কাজেই কোন বিয়ে না করেই জীবন পার করে দিচ্ছেন জাপানী নারীরা। জনসংখ্যার বিশাল অংশ।
এর ফল জাপানকে বেশ ভালোভাবেই ভোগ করতে হচ্ছে।
নারীরা বাচ্চা নিতে অনাগ্রহী হওয়ায় জাপান এখন জনসংখ্যার সমস্যায় ভুগছে। জাপানে এখন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৩৩%। বুড়োদের দিয়ে ভরে গেছে দেশটা। সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন শুন্যের নিচে নেমে গেছে, -০.২%! [2] এভাবে চলতে থাকলে একসময় জাপানি জাতিটাই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
তার উপর বিয়ে না করায় জাপানে পরিবার গঠন হচ্ছে না। ফ্যামিলি লাইফ না থাকায় হতাশায় ভুগছে সেখানকার মানুষ। ফলে আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি পেয়ে মহামারী আকার ধারণ করেছে। [3]
জাপানের চোখ ধাঁধানো ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি দেখে তাদেরকে সুখী ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ নারীবাদ দেশটিকে ভেতর থেকে ধ্বংস
করে দিয়েছে।
That's why, feminism is toxic!
References :
[1] https://www.bbc.com/bengali/news-40473138
[2] https://www.statista.com/statistics/270074/population-growth-in-japan/
[3] https://en.m.wikipedia.org/wiki/Suicide_in_Japan