ইসরাইলকে আবারও আরেকটি বড় জবাব!
সিরিয়ার ভূমি থেকে ইসরাইলের দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের কাছে ইরানীদের মিসাইল হামলা।
মিসাইল স্ট্রাইকের পর গোটা দিমোনা জুড়ে সাইরেন বাজতে থাকে এবং ইসলাইলী সামরিক বাহিনী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দে আশেপাশে অনেক ঘরবাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পড়েছে।
দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টটি পুরোপুরি ঘিরে রেখেছে ইসরাআলী পুলিশ ও সেনাবাহিনী এবং ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ওরা কিছুই জানতে দিচ্ছে না মানুষকে।
কেউ কেউ বলছে যে এটি সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে ছোঁড়া কাউন্টার এটাক ইন্টারসেপ্টর মিসাইল যা ইসরাইলের জেটকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল কিন্তু তা গিয়ে ইসরাইলের ভূমিতে দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের কাছে গিয়ে পড়ে। কিন্তু তা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, কারন সিরিয়ার দিমাশক থেকে ইসরাইলের দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের দূরত্ব ডায়গোনালি প্রায় ৩০০ কিলোমিটার, অথচ সিরিয়ান SAM সিস্টেমগুলোর ইন্টারসেপ্টর মিসাইলগুলোর রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটারের মতো।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে সিরিয়ার ভূমি থেকে ইরানের এডভান্সড টেকনোলজির এবং লং রেঞ্জের কোনো মিসাইল ইসরাইলে স্ট্রাইক করেছে ইরানীরা। অনেকে ধারনা করছেন যে অতি উন্নত প্রযুক্তির ইরানী ফাতেহ মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বিবৃতি এবং বেশ কিছু উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী ইসরাইলী রাডার সিস্টেমগুলো এই মিসাইলটিকে ট্র্যাকই করতে পারে নি এবং ইসলাইলী এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলো এই মিসাইলটিকে ইন্টারসেপ্ট করতে পারে নি!
এর আগেও ইরাকের মাটিতে আমেরিকার আইনুল আসাদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানীরা বাইশটি মিসাইল হামলা করে তাঁদের মিসাইলগুলোর নিখুঁত এক্যুরেসি, হাই এলটিটিউট, লং রেঞ্জ, হাই স্পিড এবং ব্যাপক ডেস্ট্রাকশন পাওয়ার প্রমান করেছে। সেই সময়েও আমেরিকান রাডার সিস্টেমগুলো ইরানের একটা মিসাইলকেও ট্র্যাক করতে পারে নি এবং মার্কিন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলো ইরানের একটা মিসাইলকেও ইন্টারসেপ্ট করতে পারে নি।
এটি ইসলামী ইরানের জন্য একটি বড় সফলতা আর ইসরাইল ও আমেরিকার জন্য বিশাল ব্যর্থতা।
ইরান আবারও প্রমান করল যে ইসরাইলকে ধ্বংস করার জন্য মুসলিম বিশ্বে একমাত্র ইরানই আপোষহীনভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে। ইরানের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ শক্তিজোট দীর্ঘজীবী হোক!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন