শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১

পুলিশের এলএমজি পোস্টের মধ্যে মূল বার্তা কি?

 পুলিশের এলএমজি পোস্টের মধ্যে মূল বার্তা কি?



১। আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর ফিল্ড এস্কালেশান র‍্যাংক’কে পুলিশের সমানে নামিয়ে দেয়া হল। ভারি যন্ত্রপাতি ক্রয়, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় সেনাবাহিনীর মনোপলি কিংবা একক অধিকার অস্বীকার করা হল, অফিসিয়ালি। সেনাবাহিনীর অস্ত্র আমদানি বাজেটে পুলিশ ঢুকে পড়ে দেশের আন্তঃবাহিনী ক্যাওস এন্ড  কনফ্লিক্টের দীর্ঘস্থায়ী গর্ত খোঁজা হল। 


২। সরকার বিদেশিদের মেসেজ দিয়ে দিল যে, তার ঘরের অবস্থা শোচনীয়। এই মুহুর্তে দেশে জন কেরি এবং ভারতীয় সেনা প্রধান সফরে আছে। দেশে একটা ভায়লেন্ট ইস্লামিস্ট ফোর্সের উত্থান থামাতে জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প নাই, এমন মেসেজ সামনে থাকতে পারে। এতে করে আন্তর্জাতিক নেগোসিয়েশনে, ভূ-রাজনৈতিক আলোচনায় সরকারের অবস্থান আরো দুর্বলতর হতে বাধ্য। ভারত চীন (নতুন করে আম্রিকাও) এসব পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে নতুন স্বার্থ্য হাসিলের সুবিধা নিতে পারে। (উল্লেখ্য যে, সাধারণত অস্থিতিশীল আফ্রিকান দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক ও লোকাল সেবানাহিনী এধরনের লাইট মেশিনারি পোষ্ট করে, পুলিশ এসব করে না। কোন স্বাভাবিক স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরে মেশিনগান স্ট্যান্ড তৈরি করতে হয় না।)   


৩। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এলএমজি পোস্টের বার্তা হচ্ছে, সরকার একটা গ্র্যান্ড অপজিশন এলায়েন্সের কিংবা একটা নতুন ভয়ালোন্ট ফোর্সের ভয় করছে বা ভয়টা সে নিজে দেখাতে চাচ্ছে। ডেমোক্রেটিক প্রসেস বন্ধ করে সে বিরোধীদের বিনাশ করেছে। এখন তার একটা নতুন বিরোধী ফোর্স দরকার। সে দেখাতে চায় একটা ভায়োলেন্ট ফোর্স  তৈরি হচ্ছে, যার নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিক পুলিশ-গোয়েন্দা ফোর্সের সাধারণ অস্ত্র দিয়ে সম্ভব না। এর মধ্য দিয়ে  পুলিশ-গোয়েন্দা ফোর্সের ফুট সোলজারদের উপর নতুন মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি হবে। (যদিও আমরা এমন কোন ডমিনেন্ট ফোর্সের অস্তিত্ব দেখি না, যা দেখি তা হচ্ছে ডেমোক্র্যাটিক প্রসেস বন্ধ করে একটা নন পলিটিক্যাল ফোর্স্কে গায়ে পড়ে পলিটিক্যাল ফোর্স হিসেবে তৈরির চেষ্টা)। 


৪। রাজনীতিতে ভায়োলেন্ট ফোর্সের অস্তিত্ব সত্যিকার অর্থে না থাকলে, এই কাজে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি ত্বরান্বিত হবে কারণ এইধরনের ডিপ্লয়মেন্ট কন্ডিশান দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা বিকাশ, ব্যবসা বাণিজ্য সহজীকরণ মিলিয়ে সার্বিক অর্থনীতির জন্য নেগেটিভ বার্তা। এরকম পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে গুমোট ভাব আসতে পারে।


-ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

কোন মন্তব্য নেই:

একে কি বলে একাকিত্ব নাকি স্বাধীনতা!?

 যখন সকালে ঘুম ভাংগানোর কেউ নেই, রাতে বাড়ি ফিরলে অপেক্ষায় কেউ বসে নেই, তুমি যা মন চায় করতে পারো, কোনো পিছুটান নেই.... একে কি বলে একাকীত্ব না...