শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১

কাছের মানুষের প্রতি প্রত্যাশা কি অপরাধ?

 কাছের মানুষের প্রতি প্রত্যাশা কি অপরাধ
?


কারো থেকে ভালোবাসা আশা করাটা কি ভুল কিছু? আমাকেও কেউ বুঝবে, আমার জীবনও সুন্দর হবে- এই স্বপ্ন দেখা কি অপরাধ? 


বাস্তবিক অর্থে,  আমাদের জীবনের সমস্যাগুলো পর্যালোচনা করলেই দেখা যাবে, অধিকাংশ সমস্যার মূলেই রয়েছে- একে অপরের প্রতি এক্সপেক্টেশন। কিছু জিনিস আশা করা যেমন সম্পর্কের গতানুগতিক অধিকারের মাঝে পড়ে, তেমনি কিছু এক্সপেক্টেশন বয়ে নিয়ে আসে সম্পর্কের জন্য মহাবিপদ!


এমনই কিছু অস্বাস্থ্যকর এক্সপেক্টেশন নিয়ে আমরা এখানে কথা বলব ~

১. "সম্পর্কের সবকিছুই আমার ইচ্ছামতন হবে" -  একটি সুন্দর সম্পর্কে সব সময় মনে রাখা জরুরী যে সম্পর্কে দু'জন আলাদা মানুষ বিদ্যমান। তাই তাদের সব ভালো লাগা, স্বভাব, অভ্যাস ভিন্ন হতেই পারে!


২. " অন্যজন সর্বক্ষেত্রে আমাকে বুঝবে"- আমাদের  যেমন সব সময় মন মেজাজ একই রকম থাকে না, তেমনি এই কথাটি লাইফ পার্টনারের বেলাতেও সত্যি!  তাই কখনো কখনো আমাদেরও বোঝার চেষ্টা করা উচিত।


৩. " সব সময় আমিই ঠিক,এবং অন্যজন ক্ষমা চাইবে"-  সম্পর্কে দুজনেরই কিছু না কিছু ভুল থাকে, এবং দু'জনেই ভুল স্বীকার করলে সম্পর্ক সহজভাবে নিতে সুবিধা হয়।


৪. "আপনার পার্টনার, আপনার জীবন সবসময় অ্যাডভেঞ্চারে ভরিয়ে রাখবে।"- বাস্তব জীবন আসলে সবসময় খুব একটি রোমান্টিক আর  অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ নয়।জীবনে সুখ- দুঃখ, চড়াই-উৎরাই তো আছেই,সাথে আছে একটি স্বাভাবিক জীবনও!


৫." আপনার কাছের মানুষের সময় শুধুমাত্র আপনার অধিকার।"- প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ভুবনে সে নিজে এবং তার বহু আপনজনেরা থাকে। তাই কোন মানুষের সময়ের ভাগীদারই কখনো শুধুমাত্র একজন হতে পারো না!


ভালো থাকার দ্বিপাক্ষিক প্রত্যাশা তাই কখনো খারাপ কিছু নয়, বরং এটি প্রত্যেকের অধিকার। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, সেই প্রত্যাশা যাতে অন্য কারো কাছে বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়।


— সংগৃহীত

সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১

যাদের অবদানে আজ আমরা বাংলায় টাইপ করতে পারছি

যাদের অবদানে আজ আমরা বাংলায় টাইপ করতে পারছি



পীয়্যান মুগ্ধ নবী


কম্পিউটার, স্মার্টফোন থেকে শুরু করে একেবারে সরল বাটন ফোন, সবখানেই আপনি দিব্যি বাংলায় লিখে ফেলতে পারছেন যখন তখন, খুব সহজে। বাংলায় টাইপ করার ব্যাপারটি যত সহজ দেখছি আমরা আজকের দিনে, দেড় যুগ আগেও বিষয়টা অতটা সহজ ছিল না। আর অর্ধশতাব্দী আগে বাংলায় টাইপ ব্যাপারটিই ঠিকমত ছিল না। অবাককর হলেও ঘটনাটি এমনই।


এতো সহজে বাংলায় টাইপ করে চলেছি কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের পর্দায়, তার জন্য সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ থাকতে হবে যে মানুষটার কাছে তিনি মুনীর চৌধুরী। ‘কবর’ এবং ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকদ্বয়ের রচয়িতা মুনীর চৌধুরী। নাট্যকার, শিক্ষাবিদ, সাহিত্য সমালোচক এসব পরিচয়ের বাইরেও তিনি ছিলেন ভাষাবিজ্ঞানী। ঐ দুই বিখ্যাত নাটক রচনার মধ্যবর্তী সময়ে তিনি উদ্ভাবন করেন প্রথম বাংলা টাইপরাইটার লেআউট ‘মুনীর অপটিমা’।



শুরুতে বাংলা টাইপরাইটারের প্রবর্তন করে রেমিংটন র‍্যান্ড নামের এক আমেরিকান কোম্পানি। ইংরেজি টাইপরাইটারের শুরুটাও তাদের হাতেই হয়েছিল। রেমিংটন র‍্যান্ডের বাংলা টাইপরাইটার থাকলেও সেটি খুব একটা কার্যকরী ছিল না, বাংলা ভাষা টাইপিংয়ের ক্ষেত্রে তখনো রোমান হরফের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেনি। সে সব সংকট বিবেচনা করেই ১৯৬৫ সালে মুনীর চৌধুরীর হাত ধরে আসে প্রথম বাংলা টাইপরাইটার লেআউট। এটি যেন ছিল বাংলা ভাষার জন্য এক অভাবনীয় বিপ্লব। তবে এই লেআউটেরও ছিল অনেক সীমাবদ্ধতা।


এসব সীমাবদ্ধতা নিয়েও এই লেআউট একলাই চলেছে প্রায় দুই যুগ। তবে এটি শুধু ব্যবহার হতো টাইপরাইটারেই। কিন্তু আশির দশকে এসে কম্পিউটার যখন খুব বেশি ‘স্পেশাল’ কিছু, তখন এক প্রকৌশলী মুনীর অপটিমার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে গিয়ে ভাবলেন কম্পিউটারেই বাংলা লেখার কথা। প্রকৌশলী সাইফ শহীদের কাছে তখন যে কম্পিউটার ছিল (ZX 81) সেটিকে টিভি স্ক্রিনের সঙ্গে যুক্ত করে এক ‘ব’ বর্ণ লিখতেই কম্পিউটারের পুরো ১৬ কিলোবাইট মেমোরি খরচ হয়ে গিয়েছিল। তারপর তিনি নিজেই লেগে পড়েন কম্পিউটারে টাইপ করার জন্য একটি লেআউট তৈরিতে।



আশির দশকের শুরুতে তিনি ছিলেন জাপানে। সেখানে  জাপানী এক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তিনি শুরু করেন বাংলা লেআউটের কাজ। পরে ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশে ফিরে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আর ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণমালা’ বইটি দুই টাকা দিয়ে কিনে সেখান থেকে বর্ণমালা মেট্রিক্সে রূপান্তর শুরু করেন। যুক্তবর্ণ এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে জটিলতা ধীরে ধীরে সমাধান করতে করতে অবশেষে ১৯৮৫ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি তিনটি ফন্টে প্রকাশিত হয় কম্পিউটারে লেখার উপযোগী প্রথম বাংলা লেআউট ‘শহীদলিপি’। প্রথমে শুধু ম্যাকের জন্য হলেও পরবর্তীতে উইন্ডোজের জন্যও লেআউট বানানো হয়। অবশ্য এই লেআউটের ‘শহীদ’ সাইফ শহীদ নিজে নন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাতেই তিনি এই নাম রেখেছিলেন।



শহীদলিপি থাকলেও ব্যক্তিগত কম্পিউটারে বাংলা লেখার ব্যাপারটা তখনো খুব একটা সহজ ছিল না। সে লক্ষ্যেই তৎকালীন সাংবাদিক ও পরে ব্যবসায়ী (বর্তমানে আইসিটি মন্ত্রী) মোস্তফা জব্বার কাজ শুরু করেন পার্সোনাল কম্পিউটারে সহজে বাংলা লেখার জন্য একটি নতুন লেআউট নিয়ে। পরবর্তীতে মোস্তফা জব্বার এবং তার দলের প্রচেষ্টায় প্রকাশিত হয় সম্পূর্ণ নতুন একটি লেআউট সহ বাংলা লেখার সফটওয়্যার ‘বিজয়’। পুরনো সীমাবদ্ধতাগুলো অনেকাংশেই লুপ্ত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এটি পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন অফিসে ব্যবহৃত হয়েছে, হচ্ছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের কাজেও অনেকে বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার করেছেন।



তবে এই শতাব্দীর শুরুর দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এক তরুণ ছাত্র মেহেদী হাসান খান ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত’ স্লোগানে শুরু করেন এক অভাবনীয় কাজ। রিফাতুন্নবি, তানভিন ইসলাম সিয়াম, রাইয়ান কামাল, শাবাব মুস্তফা, নিপুণ হক, সারিম খান- এই বন্ধুদের নিয়ে মেহেদী প্রকাশ করলেন প্রথম বাংলা ফোনেটিক লেআউট ‘অভ্র’। ফোনেটিকের ধারণাটা অনেকটা এমন, রোমান হরফেই কেউ একজন ‘ami’ লিখলে সেটি ‘আমি’ হয়ে যাবে। এই ফোনেটিক লেআউটের ভিত্তি করেই বানানো হয় ‘অভ্র’ বাংলা কিবোর্ড। অভ্র ছিল একেবারেই বিনামূল্যের একটি সফটঅয়্যার। ব্যস, কম্পিউটারে বাংলা লেখালেখি যেন সত্যিই সবার নাগালে চলে আসল। নতুন কোন লেআউট শেখার ঝামেলা আর রইল না। কম সময়ের মাঝেই অভ্র খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। সাথে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে অনলাইনেই বাংলা লেখা।


মুনীর চৌধুরীর হাত ধরে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা যেন মেহেদী হাসান খানের কাজে একরকম পূর্ণতা পায়। এখন কত সহজেই স্বল্পশিক্ষিত একজন মানুষের পক্ষেও গড়গড় করে বাংলা লিখে ফেলা যথেষ্ট সহজ। ভাষা যেন হয় সত্যিই উন্মুক্ত।


Languages of Bangladesh

 Languages of Bangladesh 



The lowlands of Bangladesh form the larger, central and eastern half of the ethno-linguistic region of Bengal and the Bengali language is spoken by the majority of the country's inhabitants. There are also some Eastern Indic language varieties, which are variously classified either as dialects of Bengali or separate but closely related languages. They can be thought of forming a dialect continuum.


Bengali branch:

Standard Bengali.

Bangali.

Chittagonion.

Dhakaiya Kutti.

Noakhailla.

Sylheti.

Varendri.


Non-Bengali Languages:

Chakma.

Bishnupriya Manipuri.

Hajong.

Marma.

Rohingya.

Tangchangya.

Sadri.

Bihari.


Non-Indo-Aryan languages               


The indigenous languages of the region are members of the Austroasiatic, Dravidian and Tibeto-Burman families. Most of these languages are spoken in mountainous areas.


 Austroasiatic languages


While the more widely spoken and better-known Austroasiatic languages are spoken in Southeast Asia (e.g. Khmer and Vietnamese), smaller languages of that family are spoken by indigenous communities of northern and eastern Bangladesh.


Khasi

Koda

Mundari

Pnar

Santali

War-Jaintia


Dravidian languages


Two Dravidian languages are spoken by indigenous communities of western Bangladesh.


Kurukh

Sauria Paharia


Tibeto-Burman languages


The mountainous areas along the northern and eastern edges of the Indian Subcontinent are inhabited primarily by speakers of Tibeto-Burman languages. Indigenous Tibeto-Burman-speaking communities are found through the northern, eastern, and especially the southeastern parts of Bangladesh.


A'Tong

Chak


Chin languages:

Asho

Bawm

Falam

Haka

Khumi

Koch


Garo: also a major language of Meghalaya State, India


Megam


Meitei Manipuri: also a major language of Manipur State, India


Mizo: also a major language of Mizoram State, India


Mru

Pangkhua


Rakhine/Marma: also a major language of Arakan State, Burma


Tripuri languages: a major language group of Tripura State, India


Kok Borok

Riang

Tippera

Usoi

যে নাম্বারগুলো আপনার জানা জরুরি :

 একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে যে নাম্বারগুলো আপনার জানা জরুরি :


☎ ফোন নং- ৯৯৯

বাংলাদেশের জরুরি কল সেন্টার। এখানে বিনামূল্যে ফোন করে আপনি জরুরি মুহুর্তে পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস ও এম্বুলেন্স এর সাহায্য নিতে পারবেন। এছাড়া যে কোন অপরাধের তথ্যও পুলিশকে জানাতে পারবেন।

☎ ফোন নং- ১০৬

দূর্নীতি দমন কমিশনের কল সেন্টার। যে কোন দূর্নীতি চোখে পড়লে বিনামূল্যে কল করে জানিয়ে দিন।

☎ ফোন নং- ১৬৪৩০

সরকারি আইনি সহায়তা কল সেন্টার। আইনগত যে কোন পরামর্শ বা সাহায্য পেতে বিনামূল্যে কল করুন।

☎ ফোন নং- ১৬১২৩

কৃষি বিষয়ক যে কোন পরামর্শ পেতে বিনামূল্যে কল করুন। কৃষি,মৎস,প্রানী

সম্পদ বিষয়ক যে কোন পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানতে পারবেন।

☎ ফোন নং- ১০৯

নারী নির্যাতন বা বাল্যবিয়ে হতে দেখলেই বিনামূল্যে কল করুন এই নাম্বারে।

☎ ফোন নং- ১০৯৮

শিশু সহায়তামুলক কল সেন্টার। চারপাশে শিশুদের যে কোন সমস্যা হলে বিনামূল্যে কল করে সেবা নিতে পারেন এই নাম্বার থেকে।

☎ ফোন নং- ৩৩৩

জাতীয় তথ্যবাতায়ন কল সেন্টার। বাংলেদেশের যে কোন তথ্য জানতে ও সরকারি কর্মকর্তাদেরর সাথে কথা বলতে কল করুন এই নাম্বারে। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১৬২৬৩

বাংলাদেশ সরকারের সাস্থ্য কল সেন্টার। যে কোন সমস্যায় ২৪ ঘন্টায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১৬১০৮

মানবাধিকার সহায়ক কল সেন্টার। মানবাধিকার বিঘ্নিত হলে কল করুন এই নাম্বারে। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১৬২৫৬

আপনার ইউনিয়নের সকল তথ্য জানততে কল করুন ইউনিয়ন সহায়তামুলক কল সেন্টারে। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১৩১

বাংলাদেশ রেলওয়ে কল সেন্টার। ট্রেন ও এর টিকিট সম্পর্কে জানতে কল করুন। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১০৫

জাতীয় পরিচয়পত তথ্য কল সেন্টার। চার্জ প্রযোজ্য

☎ ফোন নং- ১০০

বিটিআরসি কল সেন্টার।

☎ ফোন নং- ১৬৪২০

 নিজে জানুন ।

অপরকে জানান ।

কল করুন সেবা নিন।

এগুলো আপনার জন্যই ।

শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১

আমেরিকায় মাস্টার্স করার সুযোগ:

 আমেরিকায় মাস্টার্স করার সুযোগ:



বাংলাদেশিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য আমেরিকার ফুলব্রাইট ফেলোশিপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২০২৩ সালের ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রামের আবেদন গ্রহণ করা শুরু হয়েছে। ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় স্নাতক ডিগ্রিধারী (গ্র্যাজুয়েট) শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীরা সম্পূর্ণ বিনা খরচে (পূর্ণ অর্থায়নে) যুক্তরাষ্ট্রে তাদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (মাস্টার্স) অর্জনের সুযোগ পবেন। এ শিক্ষা কার্যক্রমটি যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট স্পনসর করে থাকে এবং এটি পরিচালনা করে ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (আইআইই)। আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ মে, ২০২১। ওই দিন বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের মধ্য আবেদন করতে হবে আগ্রহীদের।


ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে ইচ্ছুক উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণ পেশাজীবীদের জন্য। এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য অগ্রাধিকার পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কর্মরত কনিষ্ঠ অনুষদ সদস্য এবং সরকারি ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন এবং এনজিওতে কর্মরত কনিষ্ঠ থেকে মধ্য পর্যায়ের কর্মকর্তারা। শিক্ষার সব শাখার আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন এ প্রোগ্রামে। তবে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বিশেষভাবে শিক্ষার কয়েকটি শাখার ওপর তারা জোর দিতে চান। এগুলো হলো উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও ভৌতবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, মানবিক শাখা, ব্যবসায়, অর্থনীতি, জননীতি, পরিবেশগত বিজ্ঞান, নগর–পরিকল্পনা, চারুকলা, মনোবিজ্ঞান এবং নিরাপত্তাবিষয়ক অধ্যয়ন।


কারা এ বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন

এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

*বাংলাদেশের স্বীকৃত সরকারি কিংবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বপূর্ণ ফলসহ ন্যূনতম চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে


*পূর্বে কোনো আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেয়নি কিংবা বর্তমানে আমেরিকায় কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি নয়


*বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে পূর্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়নি। (তবে যাঁরা বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন, তাঁরা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।)


*যে বিষয়ে পড়তে যেতে ইচ্ছুক, সেই বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক/সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রে ন্যূনতম দুই বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে


*ইংরেজিতে সাবলীল ও পারদর্শী হতে হবে। ইন্টারনেটভিত্তিক (আইবিটি) টোয়েফলে (TOEFL) ন্যূনতম ৯০ কিংবা আইইএলটিএস (IELTS)-এ ন্যূনতম ৭ (সাত) স্কোর থাকতে হবে


*সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে


*আবেদনের সময় বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে

*ডিগ্রি শেষ করার আগেই বাংলাদেশে (বাড়িতে) ফিরে এলে ফিরতি বিমানের টিকিটের মূল্য ফেরত দিতে সম্মত থাকতে হবে।


আবেদনের সঙ্গে যা যা থাকতে হবে

*অনলাইনে পূরণের আবেদন ফরম পাওয়া যাবে: https://apply.iie.org/ffsp2022 তে। 


*আবেদনকারী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপরবর্তী সময়ে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (শিক্ষা প্রতিলিপি) ও সনদ সংগ্রহ করবেন


*তিনজন সুপারিশকারী পৃথকভাবে অনলাইন আবেদন পোর্টালে সরাসরি তিনটি সুপারিশপত্র (Letters of Reference) আপলোড/উপস্থাপন করবেন (সম্ভাব্য প্রার্থীরা অবশ্যই অনলাইন আবেদন সাইটে ‘Recommender Registration’ বাটনের মাধ্যমে নিজ নিজ সুপারিশকারীদের নিবন্ধন করবেন)।


*একাডেমিক রেকর্ডবিষয়ক তথ্যাদির পূরণকৃত ফরম (অনলাইন আবেদন সাইটে পাওয়া যাবে)


*টোয়েফল (TOEFL)/আইইএলটিএসের (IELTS) বৈধ স্কোর (যে স্কোর মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি)।


জিআরই–জিম্যাট কি লাগবে

যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা জিআরই (GRE) কিংবা জিম্যাট (GMAT) স্কোর থাকা বাধ্যতামূলক। যদি কোনো আবেদনকারী ইতিমধ্যে জিআরই কিংবা জিম্যাট পরীক্ষা দিয়ে থাকেন, তাহলে তাদের সেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরসংক্রান্ত তথ্য অনলাইন আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় কারও এ ধরনের (জিআরই বা জিম্যাট) স্কোর না থাকলে আমেরিকান সেন্টার শুধু প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য পরীক্ষার আয়োজন করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য TOEFL এবং GRE বা GMAT স্কোর থাকা আবশ্যক বিধায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবশ্যই ভালোভাবে এসব পরীক্ষার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।


প্রার্থীদের অবশ্যই আবেদন করার সব নির্দেশনা ও আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সব নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। কোনো আবেদনকারীর আবেদন করার যোগ্যতা পূরণ না হলে সেই আবেদনপত্র বাছাই কমিটিতে পাঠানো হবে না।


সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে এবং সাক্ষাৎকার ইংরেজিতে হবে।


ফেলোশিপের সুবিধা

জে-১ ভিসার জন্য সহায়তা; ঢাকায় যাত্রাপূর্ব পরিচিতিমূলক অনুষ্ঠান; যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া-আসা উভয় পথের বিমানভাড়া; টিউশন (শিক্ষাদান) ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট খরচ; থাকা, খাওয়া ও আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটানোর জন্য মাসিক বৃত্তি; বইপত্র কেনার জন্য ভাতা; স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা বিমা, ভ্রমণ ও ব্যাগেজ (অতিরিক্ত লাগেজের জন্য) ভাতা।


ফলাফল কবে

অনলাইন আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ এ বছরের ১৫ মে। আগের যাঁরা আবেদন করেছিলেন কিন্তু কৃতকার্য হননি, এমন প্রার্থীরাও এ বছর পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। সব আবেদনকারীকে এ কথা মনে রাখতে হবে যে এটি একটি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা (বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা এই ফেলোশিপের জন্য আবেদন করে থাকেন) এবং প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কঠোর বাছাইপ্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ২০২১ সালের জুলাই মাসের শেষ নাগাদ জানানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রে এই কার্যক্রমটি শুরু হবে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে।


নির্বাচিত প্রার্থীদের মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পরপর অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে। তাদের দেশে এসে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স সেকশনে তাঁদের দেশে ফিরে আসার বিষয়টি অবগত করতে হবে এবং একটি ব্রিফিং সভায় যোগ দিতে হবে।


*ফুলব্রাইট কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে https://bd.usembassy.gov/education-culture/student-exchange-programs/ এ ঢুঁ মারতে পারেন আগ্রহীরা। 


*ফুলব্রাইট বৃত্তির আবেদনের ফরমগুলো https://apply.iie.org/ffsp2022। পাওয়া যাবে।


যোগাযোগ

ফুলব্রাইট বৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধায় পড়লে sultanar1@state.gov ই–মেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারবেন আবেদনকারী।


সোর্স: প্রথম আলো

xiaomi'র লোগোর পিছনের ম্যাথমেটিকাল, সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট।

 তিন বছর সময় নিয়ে এবং তিন লাখ ডলার (২.৫ কোটি টাকার বেশী) খরচ করে গতকালকে চায়নিজ ব্র্যান্ড Xiomi তাদের নতুন লোগো তৈরি করেছে। বাম পাশের একটু বেশী গোলাকারটা নতুন লোগো।  এত চড়াই মূল্যে জাপানিজ ডিজাইনার Kenya Hara আসলে শাওমির কাছে লোগো বিক্রি করে নাই; গল্প বিক্রি করছে। এই গল্প বিক্রির পিছনে রয়েছে এক সুগভীর ম্যাথমেটিকাল, সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট।


নতুন গোলগাল লোগোটা আসলে Superellipse বা Lamé curve দিয়ে করা। 

Ellipse(উপবৃত্ত) নিয়ে আমরা সবাই মোটামুটি জানি,

X²/a²+Y²/b²=1 আকারের সমীকরণগুলো কার্তেসীয় স্থানাকে উপবৃত্ত তৈরি করে,  কিন্তু Superellipse কি তাহলে? Superellipse হলো এই উপবৃত্তের সমীকরণের আরো সাধারণ রুপ, 

|X/a|ⁿ + |Y/b|ⁿ =1 অর্থাৎ এখানে প্রতিটি পদের পরমমান বা Absolute Value নিয়ে তার ঘাত n করতে হয়। n এর বিভিন্ন মানের জন্য বিভিন্ন ধরনের Superellpise তৈরি হতে থাকে। এখন n=2 এর জন্য যেহেতু সবগুলো পদের ঘাত বর্গ হয়ে যায় তাই পরমমান ছাড়াই লিখা যায়,

(X/a)²+(Y/b)²=1⇒X²/a²+Y²/b²=1, যেটা কিন্তু আবার উপবৃত্তের সমীকরণ।

 এবার আসি যাদের শেপ সাইকোলোজি নিয়ে আইডিয়া আছে, তারা জানেন যে রাউন্ডনেস আসলে ন্যাচারাল অবজেক্ট এবং বন্ধুত্বের প্রতীক। এই লোগো তাই একসাথে যেমন শাওমি একটা সফিসটেকেটেড টেক কোম্পানি, তার গল্প বলে। তেমন ভাবে শাওমি যে শুধুমাত্র বাক্স বানায় তা না, তারা “Alive”; সেই গল্পও বলে।

এই রিব্র্যান্ডিং এর ডিজাইনার সেই গল্পটাকে বিক্রি করেছেন। একজন অ্যামেচার ডিজাইনার যেখানে এটাকে রাউন্ডনেস বাড়াইছি বলে ক্লায়েন্টকে দিবে, একজন মাস্টার ডিজাইনার তার সাথে গল্প বসায় টাকার অংকে কয়েকটা শুণ্য বেশী নিয়ে নিবে।

সাধারণ মানুষও গল্প ভালোবাসে এবং গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়। মাস্টার মার্কেটার ক্লোটেয়ার রাপাইল যখন জিপ গাড়ির হেডলাইট চারকোণা থেকে বুনো ঘোড়ার চোখের মত গোল করেছিলেন, জিপের সেলস কয়েকগুণ বেড়ে গেছিলো। এটাই গল্পের শক্তি, গণিতের শক্তি, বহুদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে আসা সাইকোলজির শক্তি।

গাণিতিক চিন্তাবোধসম্পন্ম মানুষ সকল ক্ষেত্রেই ভালো করতে পারেন, সেটা হউক ব্যক্তিগত জীবন হউক চাকুরীজীবন। 

সুযোগ থাকলে তাই যারা গণিত নিয়ে উচ্চশিক্ষায় যান তাদের মধ্যে স্মার্টনেসটাও অনেক বেশি মাত্রায় থাকে।

#shon4poth #xiaomi #xiaomi_new_logo #mathematics

কিভাবে তৈরি হইলো এই বাস্তবতা?

 অর্থাৎ শিক্ষাকাঠামোর ভেতর দিয়ে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত পৌছানোর প্রশ্নটা অবিভাবকের আর্থিক সঙ্গতির সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ধনীর আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গরীবের, বা আরও ভালো করে ঘাটলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গরিবের- বিষয়টা মোটেও এমন না। ধনীরাই সবধরণের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ আসন দখল করে থাকতেছেন। প্রাইভেট, পাব্লিক, বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজ- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরণ নির্বিশেষে। 


এর মানে, অর্থনৈতিক অসমতার সাথে রাষ্ট্রীয় শিক্ষাকাঠামো মিলে এখানে এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, যে উচ্চশিক্ষার দুয়ার গরিবের জন্য কার্যত খোলাই নাই।মধ্যবিত্তের জন্য সামান্য পরিমাণে আছে, যেইটা আবার মধ্যবিত্তরে ফতুর বানাবারও একটা মাধ্যম। 


কিভাবে তৈরি হইলো এই বাস্তবতা? 



আপনি সরকারী কলেজে স্কুলে পড়ান নাকি প্রাইভেট স্কুলে কলেজে পড়ান সেইটা বিষয়ই না এইখানে- একেবারে প্রথম থেকেই আপনাকে শিক্ষা কিনতে পারতে হবে। মানসম্মত, সাফিশিয়েন্ট শিক্ষা।যেই শিক্ষা না কিনতে পারলে আপনার সন্তান উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত যেতেই পারবেনা। 


এই শিক্ষা আপনার কাছে বিক্রি করে কোচিং সেন্টারগুলি। এই শিক্ষা কনসেন্ট্রেটেড শহরগুলির নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েদের থেকে কিনতে হবে আপনার। মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা সন্তানের পড়ালেখার পিছনে খরচ করতে পারেন না, তার পিছনে চব্বিশ ঘন্টা মা অথবা বাবা লেগে থাকতে পারেন না- এমন অবিভাবকের পক্ষে উচ্চশিক্ষায় সন্তানকে পৌছানোর কল্পনা করাটাই কঠিন।


আরেকটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা হইলো,মধ্য আয়ের পরিবারগুলি প্রাইভেট উচ্চশিক্ষা ক্রয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠতেছেন। 


এবার ভাবেন, কী করবেন। এই ধনীর ঘরের ছেলেমেয়েরা এমন একটা কমিউনিটির, যারা মোট জনসংখ্যার সংখ্যালঘুতম অংশ। আর গরীবের ঘরের ছেলেমেয়েরা মোট জনসংখ্যার ওভারহোয়েল্মিং মেজরিটি। অথচ উচ্চশিক্ষায় এই সংখ্যালঘু ধনীরাই অবিশ্বাস্য রকমের বেশী প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, সংখ্যাগুরু গরিবেরা অবিশ্বাস্যভাবে কম প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন উচ্চশিক্ষায়।


ফলে করণীয় খুব পরিষ্কার।সংখ্যাগুরু গরিব জনগণের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হলে সবার আগে সংখ্যাগুরু গরিবের ক্ষমতায় আসীন হইতে হবে। খেলা সিম্পল। 


শ্রমিক এর গ্রাফিক্স।


- ফারুক সাদিক

একে কি বলে একাকিত্ব নাকি স্বাধীনতা!?

 যখন সকালে ঘুম ভাংগানোর কেউ নেই, রাতে বাড়ি ফিরলে অপেক্ষায় কেউ বসে নেই, তুমি যা মন চায় করতে পারো, কোনো পিছুটান নেই.... একে কি বলে একাকীত্ব না...