বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

বাবা মেয়ের যে গল্প কাঁদিয়েছিল সারা পৃথিবীর মানুষকে..

 👤 বাবা!! নামটা দুই অক্ষরের, ছেলে অথবা মেয়ে, দুই অক্ষরের!! পাগল এবং সন্তান তিন অক্ষরের।

কি লিখছি নিজেও জানি না, কেনও মুভিটা দেখলাম, বাবা নামক এক পাগল, আর কোরিয়ান ভাষায় বাবা(appa) বাবা(appa) বলে ডাকে এমন এক নিষ্পাপ মেয়ের 👧 ভালোবাসা অনুভব করতে ইচ্ছে করলো। এর আগের দিনের #Grave_of_the_Fireflies নিয়ে লেখার পরে খুব ইচ্ছা করছিলো #Miracle_in_Cell_no_7 মুভিটা নিয়ে কিছু অনুভূতি শেয়ার করার। আর তাই ভাবলাম লেখার আগে আরেকবার দেখে ফেলি; গরম-গরম না দেখে ঠিক কথা গুলো আসে না। শেষমেষ এই দুঃসাহসিকতার কাজটা করেই ফেল্লাম।

🎬🎬কিছু কিছু মুভি থাকে যেখানে রিভিউ দেওয়ার কিছু থাকে না, শুধু বলার থাকে, "দেখবেন হাসবেন, কাঁদবেন আর সম্পর্কের টান বুজতে পারবেন"। এই Miracle in cell no 7 একদম তেমন একটা ছবি, যার গল্পটা দেখে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে।
মুভির নামঃ ( Miracle in cell no.7)
মুক্তির সালঃ( 2013)
IMDB: 8.2/10
আপনি যত শক্ত মনের মানুষই হন না কেন মুভিটি আপনার চোখে পানি আনবে সেই নিশ্চয়তা দিতে পারি
স্পয়লার এলার্টসঃ একটি বাবা যে তার মেয়েকে ছাড়া এক মুহুর্ত থাকতে পারেনা,
তাকে একটি মিথ্যা হত্যা মামলায় ফাসানো হয় লোকটি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং সরল হবার কারনে খুব সহজেই তাকে জেলে পাঠানো হয়
বাচ্চা মেয়েটি কিংবা তার বাবা কেউই কাউকে ছাড়া অভ্যস্ত না থাকায় জেলের কিছু কয়েদিরা মিলে মেয়েটিকে তার বাবার কাছে এনে লুকিয়ে রাখে এবং জেলের মধ্যেও বাবা এবং মেয়ের একসাথে থাকা হয়,
যদিও পুলিশ তাদের আবার আলাদা করে দেয়
মানসিকভাবে অসুস্থ লোকটিকে বলা হয় তার মেয়েটিকে বাচাতে হলে অবশ্যই তাকে কোর্টে স্বীকার করতে হবে যে সে খুন করেছে না হলে তার মেয়েকে খুন করা হবে
মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে বলে ইয়েংসিং তোমার বাবা খুব দ্রুতই বের হয়ে আসবে মেয়েটিও বাবার কথায় বিশ্বাস রাখে
পরবর্তীতে তার মেয়ের জন্য সে দোষ না থাকা সত্ত্বেও দোষ শিকার করে নেয়
এবং তার ফাসি কার্যকর হয়
মুভিটিতে অনেক ড্রামাটিক সিন রয়েছে যা মুভিটিকে আরো গুছিয়ে উপস্থাপন করেছে
মুভিটা একটি সত্য ঘটনে অবলম্বনে তৈরী,
দেখে নিতে পারেন ভালো লাগবে।

লিংকঃhttps://youtu.be/sG9Bw9Vv7xc
মুভি লিংকঃhttps://youtu.be/V1t2B3qGDe4


🤗"এ যেনও জেলখানার কেনও কারাগার না, এযেনও এক অন্য জীবনমঞ্চ!!" 🤗

📕📕এই ফিল্মের গল্পটা জেলে থাকা খুনের আসামি আর তার ৭বছরের এক মেয়ের গল্প। কোরিয়ান মুভিগুলো কেমন যেনও মনে হয় ডিসপ্লের ভিতর ঢুকে যায়। আমার একটা সেকেন্ডের জন্য মনে হয়নি হাতে ফোনটা নিয়ে দেখি, অথবা অন্য কিছু চিন্তা করি। এই করোনার দুশ্চিন্তায় এমনিতেই খারাপ 😣🥺 অবস্থা।

👨‍👩‍👦 অভিনয় গল্প ডায়ালগ এই তিনটি ছিলো আসল অস্ত্র!! AKM/SCAR-L মনে হয়েছে গল্প, M24 গেলেছে অভিনয় এবং AWM মনে হয়েছে বাবা আর মেয়ের ডায়লগগুলো!!
যখন Yeseung এক জেলারকে বলে,"Can't you just arrest me, too?" তখন মনে হচ্ছিলো AWM দিয়ে কেউ আমাকে Pochinki তে শেষ করে দিয়েছে।
আর যতবার appa apaa শুনেছি ততোবারই মনে হচ্ছিল Flaregun দিয়ে বোনাস দিচ্ছে।
M24 অভিনয় বলার কারণ Yeseung তো মাএ ৭বছরের মেয়ে (এই মুভির জন্য গ্রন্ড বেল পুরষ্কার পায়) হয়ে যে অভিনয় দেখিয়েছে, তাছাড়াও সাথে বাকি সবগুলো চরিএ Miracle in cell no 7 কে একটা পরিপূর্ণ মুভি বানিয়েছে।

🚩🚩আপনি যে বয়সেরই হয়ে থাকেন না কেনও, আপনার সাথে পরিবার থাকুক আর একলাই থাকেন এই Miracle in cell no 7 অবশ্যই দেখার( Must watch) মতন একটা মুভি।


সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

বাংলাদেশের প্রথম ঘোষিত বীরশ্রেষ্ঠ জগৎজ্যাতি দাস। 🙏

 বাংলাদেশের প্রথম ঘোষিত বীরশ্রেষ্ঠ জগৎজ্যাতি দাস।  🙏

.


তিনি বীরের মত যুদ্ধ করতে করতে বীরগতি পেয়েছেন। তিনি ছিলেন শত্রুদের কাছে জীবন্ত এক ভয় আর বিস্ময়। তিনি দুর্ভাগা, তিনি স্বীকৃত নন এই খেতাবে, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নন। নিজের জীবন তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন, মৃত্যুর পরেও তাঁর শব ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে শত্রুদের আঘাতে- প্রকাশ্যে, তিনি যে দেশকে ভালবেসেছিলেন।

.

যে বীরের কথা বলতে এসেছি, তিনি বাংলার ঘোষিত-অস্বীকৃত প্রথম বীরশ্রেষ্ঠ জগৎজ্যোতি! হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামে বিংশ শতাব্দীর এই অভিমন্যু জন্ম গ্রহণ করেন যিনি বাংলার কুরুক্ষেত্রের চক্রব্যূহে প্রাণ দিয়েছেন বাংলার তরে। জলসুখা গ্রামের জিতেন্দ্র চন্দ্র দাস ও হরিমতি দাসের কনিষ্ঠ পুত্র জগৎজ্যোতি দাস।

.

 ১৯৭১ সালে ছিলেন এইচএসসি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে বিশেষ দায়িত্ব পালনে ভারতের গৌহাটির নওপং কলেজে ভর্তি হন; বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা আয়ত্তের পাশাপাশি ধারণা নিয়ে আসেন অস্ত্র ও বিস্ফোরকের উপর। ভাটি-বাংলার মাটিকে মুক্ত করার শপথ নিয়ে তিনি হন দাস পার্টির কমান্ডার। প্রতিজ্ঞা করেন দেশ মাতৃকার মুক্তির। 

.

পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের কাছে জগৎজ্যোতি ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক। বিশাল ভাটি-বাংলায় শত্রুসেনাকে পদদলিত করতে দাবড়ে বেড়িয়েছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে টেকেরঘাট সাব-সেক্টরের অধীনে বিস্তীর্ণ ভাটি অঞ্চল শত্রু মুক্ত রাখার দায়িত্ব পড়েছিল তাঁর উপর। দিরাই, শাল্লা, ছাতক, আজমিরিগঞ্জ, বানিয়াচং, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার নৌপথ পাক দখলমুক্ত রাখার যুদ্ধে প্রাণের বাজি রেখে লড়ে যান দাস পার্টির যোদ্ধারা।

.

 দাস পার্টির সাফল্যে ভীত ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী, আর তাই পাকিস্তান সরকার রেডিওতে ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়, এই রুট দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তিদের জানমালের দায়িত্ব সরকার নেবে না। মাত্র ১৩ জন সহযোদ্ধা নিয়ে বানিয়াচং-এ পাকবাহিনীর ২৫০ জন সেনা ও দোসরদের অগ্রগতি রোধ করে দেন, যুদ্ধে প্রাণ হারায় শত্রু সেনার ৩৫ জন। 

.

পাকিস্তানীদের গানবোট ধ্বংস করে দেওয়া হয়। ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ থানা ও নৌ-বন্দর সাচনাবাজার শত্রু“মুক্ত করে লাইম লাইটে চলে আসেন তিনি।তাঁর নেতৃত্বে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের বদলপুর ব্রিজ বিধ্বস্ত করা হয় আর তাঁরই কৃতিত্বের কারণে ভারতীয় কমান্ড বাহিনীর মেজর জি,এস,ভাট প্রশংসা লাভ করেন। ১৭ আগস্ট পাহাড় পুরে কমান্ডার জগৎজ্যোতির রণকৌশল আর বীরত্বে রক্ষা পায় অসংখ্য নিরীহ নর-নারী। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে তাঁর বীরত্ব-গাঁথা প্রচার হয়। জগৎজ্যোতি একা হাতে একটি এলএমজি নিয়ে দখন করে নেন জামালপুর থানা যেখানে আস্তানা গেড়েছিল স্থানীয় পাকি-দোসর রাজাকাররা। 

.

জামালপুর মুক্ত করার অভিযানে সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হন তাঁরা, হারাতে হয় তাঁর সহযোদ্ধা বীর সিরাজুল ইসলামকে। মাত্র ১০-১২ জন সহযোদ্ধা নিয়ে তিনি মুক্ত করেন শ্রীপুর। খালিয়াজুড়ি থানায় ধ্বংস করে দেন শত্রুদের বার্জ।

.

 আগস্ট মাসে গুলি ব্যয় ছাড়াই দিরাই-শালায় অভিযান চালিয়ে কৌশলে আটক করেন দশ সদস্যের রাজাকারের দলকে। যারা এলাকায় নির্যাতন চালাচ্ছিল, খুন, ধর্ষণ ও লুটপাট চালাচ্ছিল। রানীগঞ্জ ও কাদিরীগঞ্জে অভিযান চালিয়েও জ্যোতি আটক করেন ঘরের শত্রু রাজাকারদের। ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ থানা ও নৌ-বন্দর সাচনাবাজার শত্রুমুক্ত করে লাইম লাইটে চলে আসেন। 

.

১৬ নভেম্বর ১৯৭১; এই দিন ছিল বীরের ললাটে লেখা শেষ দিন। ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথেই ৪২ জন সহযোদ্ধা নিয়ে অভিযানে যাত্রা করেন জগৎজ্যোতি। কে জানত- এই অভিযান তাঁর শেষ অভিযান, বীরত্বের অন্তিম-গাঁথা এখানেই রচিত হবে। তাঁদের লক্ষ্যস্থল ছিল বানিয়াচং/বাহুবল। কিন্তু লক্ষ্যস্থলে যাওয়ার পূর্বেই বদলপুর নামক স্থানে হানাদারদের কূট-কৌশলের ফাঁদে পা দেন জগৎজ্যোতি। বদলপুরে ৩/৪ জন রাজাকার ব্যবসায়ীদের নৌকা আটক করে চাঁদা আদায় করছিল।

.

দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ জ্যোতি রাজাকারদের ধরে আনার নির্দেশ দেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেই পিছু হঠতে থাকে কৌশলী রাজাকাররা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জগৎজ্যোতি- ভাবতেও পারেননি কী ফাঁদ তাঁর সামনে। সাথের ১০/১২ জন মুক্তিযোদ্ধা আর সামান্য গোলাবারুদ নিয়ে তাড়া করেন রাজাকারদের। অদূরেই কুচক্রী পাকসেনাদের বিশাল বহর আর প্রচুর সংখ্যক গোলাবারুদ নিয়ে অপেক্ষা করছিল তাঁর। অজান্তেই চক্রব্যূহে প্রবেশ করেন জগৎজ্যোতি। আগে থেকে প্রস্তুত বিশাল বহর আর মজুদের কাছে বিপদে পড়ে যান জগৎজ্যোতি ও তাঁর সহযোদ্ধারা। তবুও যুদ্ধে করে যান মুক্তিযোদ্ধারা।

.

সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন জগৎজ্যোতি। 

সহযোদ্ধাদের পালানোর সুযোগ করে দিয়ে কভার করতে থাকেন জগৎজ্যোতি ও তাঁর সহযোদ্ধা ইলিয়াস। কিন্তু দুর্ভাগ্য, হঠাৎ করে ইলিয়াসও গুলিবিদ্ধ হন। নিজের মাথার গামছা খুলে জগৎজ্যোতি বেঁধে দেন সহ-বীরযোদ্ধার ক্ষত।

.

 ইলিয়াস তাঁকে পালানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু পিছু ফিরে যাননি জগৎজ্যোতি। একাই যুদ্ধ করতে করতে পাক-বাহিনীর বারোজনকে প্রপারে পাঠিয়ে দেন। বিকেল পৌনে পাঁচটায়, শূন্য অস্ত্রভাণ্ডারে বিকেলের সূর্যের মতই ম্লান হয়ে আসে শত্রু-বধের তেজ, গুলিবিদ্ধ হন জগৎজ্যোতি। নিভে যায় এক বীরের জীবন-প্রদীপ।

.

শুনা যায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও তিনি জীবিত ছিলেন। তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় অত্যাচার করতে করতে।তাঁর গায়ে পেরেক বিদ্ধ করে সেই ছবি খবরে ছাপানো হয়। আজমিরিগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসা হয় তাঁর লাশ। 

.

সেদিন ছিল ঈদের বাজার। শত শত লোকের সামনে খুঁটির সাথে বেঁধে ক্ষত-বিক্ষত করা হয় তাঁর লাশকে। রাজাকাররা থু থু ফেলতে থাকে তাঁর উপর। এমনকি জগৎজ্যোতির মা-বাবাকেও ধরে আনা হয় বীভৎস লাশ দেখাতে। পরিবারে যখন স্বজন হারানোর কান্নার রোল তখন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় জগৎজ্যোতির বাড়িতে। ভাসিয়ে দেওয়া হয় তাঁর ক্ষত-বিক্ষত কুশিয়ারা নদীর পানিতে।

.

  জগৎজ্যোতি দাসকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল একাধিকবার এবং তাঁর বীরত্ব-গাঁথা প্রচার হচ্ছিল সম্মানের সঙ্গে। অল ইন্ডিয়া রেডিওসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয় জগৎজ্যোতির বীরত্ব-গাঁথা। 

.

অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদক প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জগৎজ্যোতিকে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক প্রদানের ঘোষণা সে সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরে প্রতিশ্রুতি থেকে ফিরে আসেন  সরকার। ১৯৭২ সালে জগৎজ্যোতি দাসকে বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয়। বাস্তবে পুরস্কার প্রদান করা হয় তারও দুই যুগ পরে।

.

 একটি দেশের জন্য জগৎজ্যোতি বিলিয়েছেন নিজেকে।  দেশ তাঁকে তাঁর প্রাপ্য স্বীকৃতি দেয়নি! তাঁরা তো কখনো কোনো প্রাপ্তির অপেক্ষায় ছিলেন না! একটি মাতৃভূমির জন্য জগৎজ্যোতি বিলিয়েছেন নিজের প্রাণ। 

জগৎজ্যাতি প্রতিটি মুহূর্তে থাকেন এই বাংলার নিঃশ্বাসে, স্পন্দনে।

.

আজ কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যাতি দাসের জন্মদিন। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তাঁর প্রতি। 🙏💞

.

ছবি- ১৭ নভেম্বর  আজমীরিগঞ্জ বাজারে জগৎজ্যোতি দাসের লাশ পড়ে আছে।

রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

ক্ষমার চেয়ে কঠিন প্রতিশোধ আর নেই"

 "ক্ষমার চেয়ে কঠিন প্রতিশোধ আর নেই"



'প্রিয়াঙ্কা গান্ধী'১৮ই অক্টোবর ২০০৮ সালে নলিনী'র সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। নলিনী হলো রাজীব গান্ধী হত্যা ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে একমাত্র ধৃত এবং জীবিত আসামী। 


নলিনী তখন গর্ভবতী। সোনিয়া গান্ধী লিখিতভাবে নলিনী'র ফাঁসির বদলে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আবেদন জানান। যাতে নলিনী'র সন্তান মায়ের স্নেহ মমতা থেকে বঞ্চিত হয়ে না পড়ে। 


নলিনী স্বপ্নেও ভাবেননি তার সঙ্গে রাজীব গান্ধীর পরিবারের কেউ সাক্ষাত করতে পারেন। তার খোঁজ-খবর নিতে পারেন। 


প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দেখে নলিনী অবাক,ভীষণ লজ্জিত বোধ করলেন। 


প্রিয়াঙ্কা নলিনীকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন -

"আমার পিতা একজন ভালো মানুষ ছিলেন। ভীষণ শান্ত প্রকৃতির মানুষ। 

আমার পিতা তোমার তো কোনো রকম ক্ষতি করেননি। তাহলে তাঁকে কেন হত্যা করতে গেলে|

তোমাদের কি এমন সমস্যা ছিলো,যেটা আলাপ-

আলোচনার মাধ্যমে 

সমাধান করা যেত না!


প্রিয়াঙ্কার চোখে অশ্রুধারা, নলিনী ও অঝোর নয়নে কেঁদে চলেছে। 

এই কান্নার দ্বারা বহু ক্ষোভ, বহু হিংসা স্রোতের মতো প্রবাহিত হয়ে গেল। 

দুজনের মন হালকা ও কোমল হয়ে উঠলো। 


গান্ধী পরিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন,নলিনীকে মুক্ত করে দিলেও তাদের কোনো আপত্তি নেই। বিষয়টা আদালতে বিচারাধীন। আদালত এবং রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই কার্যকর হবে। 


ক্ষমা হলো পৃথিবীর সর্বোত্তম উপহার। কেবলমাত্র মহান মানুষই পারেন-শক্রুকে ক্ষমা করে দিতে। 


এমন বহু ঘটনা ঘটে গেছে পৃথিবীতে,যে ঘটনা ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে কেবলমাত্র ক্ষমাশীলতার উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে। 

"জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক-দুঃখ হতে মুক্তি লাভ করুক।" (সংগৃহীত)

কারা সহজে ওজন কমাতে পারে;পুরুষ নাকি নারী?

পুরুষদের ওজন কমানো এবং মাসল গেইন করা মেয়েদের চেয়ে অনেক সহজ।


জাস্ট ইনসুলিনটাকে চেক দিতে হবে, আই মিন সুগার, সয়াবিন-ট্রান্সফ্যাট আর রিফাইন্ড স্টার্চ(সাদা ভাত, সাদা আটা-ময়দার রুটি)কে বাদ দিতে হবে, স্ট্রেসটাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে আর টেস্টোস্টেরনকে নামিয়ে দিতে হবে যুদ্ধের ময়দানে, আই মিন হার্ড ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করতে হবে।


টেস্টোস্টেরন একবার অপটিমাম লেভেলে চলে গেলে বাকি খেলা সেই খেলবে, আপনি নিশ্চিন্ত(যদি না আপনি ডায়বেটিক হন)।


কিন্তু, মেয়েদের ব্যাপার আলাদা।


মেয়েদের হরমোনাল ব্যালেন্স খুবই নাজুক। অন্তত ৭টা হরমোনকে ম্যানেজ না করে মেয়েদের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় না।


১)ইনসুলিন

২)ইস্ট্রোজেন

৩)থাইরয়েড

৪)কর্টিসোল

৫)লেপটিন

৬)গ্রোথ হরমোন ও

৭)টেস্টোস্টেরন


এর মধ্যে মেয়েরা সমস্ত নিউট্রিয়েন্ট লস করেন বেশি। তারা এমনিতেই খান কম, কিন্তু মিনারেল বার্নআউটে তাদের শরীর ওস্তাদ।


মেয়েদের ওয়েট লসের জন্য তাই কোন পানির মত সহজ পথ নাই।


একজন মেয়ে হয়তো এক ধাক্কায় ৪ মাসে ২৫-৩০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন স্ট্রিক্ট কিটো/ভেগান করে। কিন্তু তার শরীর ব্যাকফায়ার করতে বেশিদিন সময় নেবে না।


মেয়েদের জন্য তাই দ্রুত ওয়েট লসের চাইতে খুব সতর্কতার সাথে নিজের ওভারডমিন্যান্ট হরমোনগুলোকে খুজে বের করতে হবে, তারপর এক এক করে সেগুলোকে রিসেট করে অপটিমাম লেভেলে নিয়ে আসতে হবে।


আমার কাছে প্রায়ই এক্সট্রিম ওয়েট লস করা মেয়ে প্যাশেন্টরা আসেন, যারা প্রচন্ড ক্লান্তি আর মাথা ঘোরানোর সমস্যায় ভোগেন, অনেকেরই লো ব্লাড প্রেসার থাকে। কেউ কেউ পিত্তথলির অবস্থা খারাপ করে নিয়ে আসেন, কেউ আবার ফ্যাটের চেয়ে বেশি লস করেন মাসল।


তো এই সমস্যাগুলো হয় না যদি আপনি প্রথমে নিজের হরমোনাল প্রোফাইলটা বুঝতে পারেন। এটা নিজে নিজে না পারার সম্ভাবনাই বেশি, এবং এখানেই আপনাকে সহযোগিতা করতে পারেন একজন ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট।


শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১

ইসরাইলকে আবারও আরেকটি বড় জবাব!

 ইসরাইলকে আবারও আরেকটি বড় জবাব!




সিরিয়ার ভূমি থেকে ইসরাইলের দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের কাছে ইরানীদের মিসাইল হামলা।

মিসাইল স্ট্রাইকের পর গোটা দিমোনা জুড়ে সাইরেন বাজতে থাকে এবং ইসলাইলী সামরিক বাহিনী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দে আশেপাশে অনেক ঘরবাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পড়েছে।

দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টটি পুরোপুরি ঘিরে রেখেছে ইসরাআলী পুলিশ ও সেনাবাহিনী এবং ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ওরা কিছুই জানতে দিচ্ছে না মানুষকে।


কেউ কেউ বলছে যে এটি সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে ছোঁড়া কাউন্টার এটাক ইন্টারসেপ্টর মিসাইল যা ইসরাইলের জেটকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল কিন্তু তা গিয়ে ইসরাইলের ভূমিতে দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের কাছে গিয়ে পড়ে। কিন্তু তা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, কারন সিরিয়ার দিমাশক থেকে ইসরাইলের দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের দূরত্ব ডায়গোনালি প্রায় ৩০০ কিলোমিটার, অথচ সিরিয়ান SAM সিস্টেমগুলোর ইন্টারসেপ্টর মিসাইলগুলোর রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটারের মতো।


সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে সিরিয়ার ভূমি থেকে ইরানের এডভান্সড টেকনোলজির এবং লং রেঞ্জের কোনো মিসাইল ইসরাইলে স্ট্রাইক করেছে ইরানীরা। অনেকে ধারনা করছেন যে অতি উন্নত প্রযুক্তির ইরানী ফাতেহ মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে।


সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বিবৃতি এবং বেশ কিছু উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী ইসরাইলী রাডার সিস্টেমগুলো এই মিসাইলটিকে ট্র্যাকই করতে পারে নি এবং ইসলাইলী এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলো এই মিসাইলটিকে ইন্টারসেপ্ট করতে পারে নি!

এর আগেও ইরাকের মাটিতে আমেরিকার আইনুল আসাদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানীরা বাইশটি মিসাইল হামলা করে তাঁদের মিসাইলগুলোর নিখুঁত এক্যুরেসি, হাই এলটিটিউট, লং রেঞ্জ, হাই স্পিড এবং ব্যাপক ডেস্ট্রাকশন পাওয়ার প্রমান করেছে। সেই সময়েও আমেরিকান রাডার সিস্টেমগুলো ইরানের একটা মিসাইলকেও ট্র্যাক করতে পারে নি এবং মার্কিন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলো ইরানের একটা মিসাইলকেও ইন্টারসেপ্ট করতে পারে নি।


এটি ইসলামী ইরানের জন্য একটি বড় সফলতা আর ইসরাইল ও আমেরিকার জন্য বিশাল ব্যর্থতা।


ইরান আবারও প্রমান করল যে ইসরাইলকে ধ্বংস করার জন্য মুসলিম বিশ্বে একমাত্র ইরানই আপোষহীনভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে। ইরানের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ শক্তিজোট দীর্ঘজীবী হোক!

বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১

দরিদ্রতা আসে চার জিনিসের কারণেঃ

 দরিদ্রতা আসে চার জিনিসের কারণেঃ


.

১। তাড়াহুড়া করে নামায পড়ার কারণে।

২। দাঁড়িয়ে পেশাব করার কারণে।

৩। পেশাবের জায়গায় অজু করার কারণে।

৪। দাঁড়িয়ে পানি পান করার কারণে।


সচ্ছলতা আসে সাত জিনিসের কারণেঃ

.

১। আল কুরআন তিলাওয়াত করার কারণে।

২।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার কারণে।

৩। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার কারণে।

৪। দরিদ্র ও অক্ষমদের সাহায্য করার কারণে।

৫। গোনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করার কারণে।

৬। পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের

সাথে সদাচরণ করার কারণে।

৭। সকালে সূরা ইয়াসিন এবং সন্ধ্যায় সূরা

ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করার কারণে।


তিরমিজি 

.

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে নেক আমল করার তাওফিক দান করুন, আমিন!

সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি রূপক গল্প।

 অসহায় পৃথিবীর আর্তনাদ...

বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি রূপক গল্প।


১)
মোবাইলে একটা SMS এলো। তাকিয়ে দেখি..
"সরকারের তরফ থেকে আমার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে"
আমার মন খুশিতে ভরে গেল। ঘর থেকে বের হলাম আর চিৎকার করে বাড়ির সবাইকে বলছি....
"সবাই শোনো, দিন বদলে গেছে, আমার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা এসে গেছে"।
রুম থেকে বউ বেরিয়ে বললো, "অত খুশির কি আছে, আমার এ্যাকাউন্টেও ৫০ লাখ টাকা দিয়েছে। এই যে মেসেজ দেখ।"
একটু অবাক হলাম, ভাবলাম আশেপাশে সবাইকে
গিয়ে বলি। বাড়ির পাশের লোক আমায় বলছে,
"বেশি উত্তেজিত হয়ো না, আমাদের এ্যাকাউন্টেও ৫০ লাখ জমা হয়েছে।"
আমার খুশি সব উড়ে গেল। ভাবলাম যাই, বাজার থেকে কিছু মিষ্টি নিয়ে আসি।
বাজারে গিয়ে দেখলাম, দোকান বন্ধ। পাশের একজনকে জিজ্ঞেস করলাম,
"ও ভাই এই মিষ্টির দোকান বন্ধ কেন?"
সে বললো, "মিষ্টি দোকানদারের আর দোকানদারি করার কি দরকার। তার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ এসে গেছে।"
তাই ভাবলাম একটু নিউ মার্কেটে যাই, সেখান থেকে কিছু নিয়ে আসি।
সেকি! কোনো দোকান পাট খোলা নেই।
ওনাদের এ্যাকাউন্টেও নাকি ৫০ লাখ এসে গেছে.....।
প্রচন্ড খিদে পেয়েছে ভাবলাম এখানে তো দোকান পাট বন্ধ। সামনের দিকে যাই, ভালো কোন হোটেলে তৃপ্তি করে খাওয়া যাবে।
সামনে যতই যাই সবই দেখি ফাঁকা। হোটেলের বাইরে দাড়িয়ে থাকা স্বাগত জানানোর সেই লোকও নেই, যে কাস্টমার দেখলেই সালাম ঠুকে ওয়েলকাম করেন, শপিং মলের সিকিউরিটিও নেই। সবার এ্যাকাউন্টেই ৫০ লাখ এসে গেছে। মার্কেটে কেউ নেই।
সবজি ওয়ালা, চা ওয়ালা, সরবত ওয়ালা
ফাস্টফুড ওয়ালা কেউ নেই। সব কিছুই বন্ধ।

২)
সকলের ঠিকানা এখন ব্যাঙ্কে ৫০ লাখ টাকা তোলার জন্যে। কেননা এখন আর কারো কাজ করার দরকার নেই, সবার কাছেই ৫০ লাখ আছে।
আমার এক বন্ধু ফোন করে বললো,
"আমি জব ছেড়ে দিয়েছি, আমার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা আছে"
আমার এক বড় ভাই ফোন করে বললো,
"আমার আর্ট স্কুল অফ করে দিয়েছি"
"আমার আশেপাশের ছোট বোন আর স্কুলে যাচ্ছে না"
"আমার এক বন্ধু টিউশন পড়ানো বন্ধ করে দিয়েছে"
"নিপা নামের মেয়েটিও আর কলেজে যায় না"
"ইভান আর জব খু্ঁজে না"
'শ্রমিকরা আর কারখানায় যায় না, কলকারখানা সব বন্ধ"।
সবার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা জমা আছে। সবাই এখন বড়লোক। সবাই সুর তুলছে, গান করছে, নৃত্য করছে.....
বিকেলে হাটতে হাটতে মাঠের দিকে গেলাম, কৃষকরা সবাই কাজ ছেড়ে বাড়িতে। কেউ নেই জমিতে। এখন তাদের রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করার আর দরকার নেই। তারা সবাই বড়লোক হয়ে গেছে। সবার এ্যাকাউন্টেই ৫০ লাখ টাকা।

৩)
৭ দিন পর দেখা গেল খিদের জ্বালায় লোক কাঁদছে।
কেননা, জমি থেকে কেউ ফসল তুলছে না, সমস্ত দোকানপাট বন্ধ, হোটেল, মেডিক্যাল সব বন্ধ। অসুস্থ হয়ে মানুষ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেননা, খাবার নেই, ডাক্তার নেই। পশুরাও না খেতে পেয়ে মরছে। জমিতে সবুজ ঘাস নেই, সোনালী ফসল নেই। শিশুরা খিদের জ্বালায় কাঁদছে, গোয়ালা দুধ দিচ্ছে না বলে।
মানুষ এখন ছুটছে মুঠো মুঠো টাকা নিয়ে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে পকেটে টাকা নিয়ে।
কাঁদছে মানুষ লক্ষ টাকা হাতে নিয়ে আর বলছে,
"এই ভাই নাও ১০ হাজার টাকা, আমাকে ২০০ গ্রাম দুধ দাও। দুদিন বাচ্চাটা না খেয়ে আছে।
১০ দিন বাদে মানুষ না খেতে পেয়ে মরছে। কিছু কিছু লোক টাকার ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে রাস্তায়। এই নাও ভাই ৫ লাখ টাকা, "আমাকে ৫ কেজি চাল দাও। ১০ দিন থেকে না খেয়ে আছি।"
সব বাজার হাট বন্ধ হয়ে গেছে। শাক সবজি খাবার দাবার কারো কাছেই নেই। সবদিকে শুধু মৃত্যুর ছবি দেখা যাচ্ছে।
আমিও আমার ৫০ লাখ টাকা নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছি, নাও ভাই নাও ৫০ লাখ নিয়ে নাও,
তবুও কিছু খাবার দাও"।
কে কার টাকা নেবে, খাবার কারো কাছেই নেই। মানুষ মানুষের দিকে তেড়ে আসছে হিংস্র সিংহের মত। মনে হচ্ছে, মানুষ মানুষকে খাবে।
অচেনা একলোক তাড়া করেছে আমাকে, চিবিয়ে খাবে বলে।
ছুটছি আমি। আমি ক্ষুধার্ত মানুষ, কতটা আর ছুটব?
পড়ে গেলাম হোঁচট খেয়ে. ..মা গো করে চিৎকার করে উঠলাম.....
বউ তখন ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে "কি হলো তোমার ? সকাল হয়ে গেছে, ঘুম থেকে উঠো, চোখে মুখে পানি দিয়ে আসো। এই তুমি বাচাঁও বাঁচাও বলে চেঁচাচ্ছিলে কেন? কোন খারাপ স্বপ্ন দেখছিলে নাকি ?"
আমি বললাম, "না, খারাপ নয়, ভালো দিনের স্বপ্ন। "
গরিব আমরা, কিন্তু ঘরে
"দুমুঠো খাবার তো আছে"
"তৃষ্ণার পানি তো আছে"
"শিশুরা খেলছে"
"পশুরা মাঠে ঘাস খাচ্ছে"
"দোকানে ভিড় আছে"
"যানবাহন চলছে তো চলছে"
"মানুষের সমাগম চলছে"
"বাগানে ফুল ফুটছে"
প্রকৃতি হাসছে.....
অনেকে ভাবে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কেন ধনী গরীব সুষ্টি করছে ?
সবাইকেতো চাইলে ধন সম্পদ দিতে পারতো।সবাইকে সুখ শান্তি দিতে পারতো।
বাস্তবতা হল ধনী গরীব বৈশম্য আছে বিধায় এখনও পৃথিবী টিকে আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে।
সবাই ধনী হলে কি হতো দেখেছেনতো--
#সংগৃহীত

একে কি বলে একাকিত্ব নাকি স্বাধীনতা!?

 যখন সকালে ঘুম ভাংগানোর কেউ নেই, রাতে বাড়ি ফিরলে অপেক্ষায় কেউ বসে নেই, তুমি যা মন চায় করতে পারো, কোনো পিছুটান নেই.... একে কি বলে একাকীত্ব না...