রবিবার, ১০ জুলাই, ২০২২

এক অদ্ভুত দীপের গল্প

 ২০১৮ সালের নভেম্বরে জন অ্যালেন চাও নামের ২৬ বছর বয়সী এক আমেরিকান খ্রিস্টান মিশনারি পর্যটক রহস্যময় নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে পা রাখেন। তিনি এখানে আসেন আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চলের সাতজন জেলেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে। কারণ এ দ্বীপে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে ভারত সরকারের। কিন্তু সেই ব্যক্তির অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি। তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয় সেই দ্বীপবাসীদের হাতে, যাদের ‘সেন্টিনেলিজ’ বলা হয়। তারা অ্যালেনের লাশটাও দ্বীপেই সমাহিত করে। ভারতীয় পুলিশও তার মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি। বরং বলা যায়, তারা সেটা করতে চায়নি।  


ভারত সরকার এই দ্বীপবাসীদের বিরক্ত করতে চায় না। রহস্যময় এই দ্বীপবাসীরা সভ্যতার আলো থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের সাথে বহির্বিশ্বের মানুষদের কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের ভাষাও আলাদা। তারা কী ভাষায় কথা বলে, কেউ জানে না। এমনকি তারা নিজেদের কী জাতি মনে করে বা দ্বীপটিকে কী নামে ডাকে, সেটাও কেউ জানে না। একবিংশ শতাব্দীর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব সম্পর্কে তাদের কোনো পরিচিতিই নেই। এমনকি কৃষিকাজও করে না তারা। শিকারের মাধ্যমেই খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে তারা।


তাদের দ্বীপে বহিরাগত কেউ এলে খুবই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে তারা। দ্বীপের কাছাকাছি কোনো নৌকা বা জাহাজ যেতে দেখলেই তীর, বর্শা, পাথর উড়িয়ে মারতে থাকে। এমনকি খুন করতেও দ্বিধা করে না। যেহেতু তারা দ্বীপে কাউকে প্রবেশ করতে দেয় না, তাই দ্বীপ সম্পর্কেও খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। তাদের সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যতটুকু তথ্য জানা গেছে, সবই দূর থেকে নৌকা বা জাহাজ থেকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এবং সেন্টিনেলিজরা যতটুকু কাছে যেতে দিয়েছে, ততটুকু দূরত্ব থেকে।


তারা দ্বীপের জঙ্গল থেকে বন্য প্রাণী শিকার করে আর উপকূলের কাছে মাছ শিকার করে। অন্য আদিবাসীদের মতো তারা বড় নৌকা তৈরি করে না, খুবই সরু ও ছোট ক্যানু তৈরি করে। দুই ধরনের ঘর আছে তাদের। দ্বীপের ভেতরের দিকে বড় কুঁড়েঘর, যাতে একসাথে অনেক জন থাকতে পারে। আবার কিছু ঘর আছে, যেগুলোর শুধু ছাদ থাকে, দেয়াল বা বেড়া থাকে না। এগুলো মাঝে মাঝে সমুদ্রসৈকতের কাছেও দেখা যায়। ছোট ঘরগুলোতে সাধারণত ছোট এক পরিবার থাকে।


রহস্যময় এই দ্বীপটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অধীনস্থ। এটি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের একটি অংশ। এই দ্বীপগুলো ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে অনেকটা দূরে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে ভারত ও মালয় উপদ্বীপের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এসব দ্বীপে ভারতীয়দের পাশাপাশি অল্প সংখ্যক স্থানীয় আদিবাসীরা বসবাস করে। এই আদিবাসীদের মধ্যে সেন্টিনেলিজরাও আছে। এই আদিবাসীরা ঐতিহাসিকভাবেই শিকারনির্ভর। অন্য আদিবাসীদের সাথে বহির্বিশ্বের সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব হলেও সেন্টিনেলিজদের সাথে এখনো সম্ভব হয়নি। এমনকি তাদের সাথে অন্যান্য দ্বীপের আদিবাসীদের মধ্যেও কোনো যোগাযোগ নেই। সেন্টিনেল দ্বীপটি আয়তনে প্রায় ম্যানহাটনের সমান। সে দ্বীপে তাদের জনসংখ্যা কত, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই। আনুমানিক ১৫ থেকে ৫০০ জন সেন্টিনেলিজ থাকে দ্বীপে। ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো আদমশুমারিতে তাদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করে ভারত সরকার। সেবার আনুমানিক ১১৭ জন হিসাব করা হয়েছিল। ২০১১ সালে মাত্র ১৫ জন যোগ করা হয়। ধারণা করা হয়, অন্তত ৩০ হাজার বছর ধরে তাদের বসবাস এখানে। তবে সভ্যতা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলেও গত ২০০ বছরে একেবারেই যে তাদের সাথে বহির্বিশ্বের মানুষের যোগাযোগ হয়নি তা নয়।


১৭৭১ সালের এক রাতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একটি জাহাজ সেন্টিনেল দ্বীপের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। জাহাজ থেকে দ্বীপের কূলের দিকে আলো জ্বলতে দেখা যায়। জাহাজটি সমুদ্র নিয়ে জরিপের কাজে থাকায় সেখানে আর থামেনি। সেন্টিনেলিজরাও তাই আর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এরপর প্রায় একশো বছর তাদের সাথে বহির্বিশ্বের যোগাযোগের কথা শোনা যায়নি।


১৮৬৭ সালের গ্রীষ্মের এক দিনে ‘নিনেভাহ’ নামের এক ভারতীয় বাণিজ্য জাহাজ ঝড়ের কবলে পড়ে। জাহাজের ৮৬ জন যাত্রী ও ২০ জন ক্রু সদস্য তখন সাঁতার দিয়ে দ্বীপে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তারা সেখানে তিন দিন অবস্থান করে। শুরুতে সেন্টিনেলিজ আদিবাসীরা তাদের সামনে না এলেও তৃতীয় দিনের দিন এসে তীর-ধনুক নিয়ে আক্রমণ করা শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যে, তারা ছিল সম্পূর্ণ নগ্ন, নাকে ছিল লাল রঙ মাখানো, তীরের মাথা ছিল লোহার। জাহাজবাসীরাও ছেড়ে কথা বলেনি। তারাও লাঠি আর পাথর দিয়ে আদিবাসীদের আঘাত করতে থাকে। শেষপর্যন্ত ব্রিটিশ রয়েল নেভির একটি জাহাজ এসে নিনেভাহ জাহাজের যাত্রী ও ক্রুদের রক্ষা করে।


এগুলো অবশ্য শুধুমাত্র নিনেভাহ জাহাজের বেঁচে ফেরাদের পক্ষের কথা। তারা যখন দ্বীপে প্রবেশ করে, তখন সেন্টিনেলিজরা কী ভাবছিল, তা কৌতূহলের বিষয়। জাহাজবাসীরা যে তিন দিন সেখানে ছিল, সেন্টিনেলিজরা তাদের গ্রামে নতুন আগন্তুকদের নিয়ে কী আলোচনা করছিল, জাহাজবাসীরাও কোনো সীমা লঙ্ঘনের মতো কাজ করেছিল কি না, সেগুলো কখনো জানা যাবে না। ব্রিটিশরা তখন সেন্টিনেল দ্বীপকে তাদের কলোনির অংশই বিবেচনা করা শুরু করে।

 

১৮৮০ সালে ব্রিটিশ রয়েল নেভির তরুণ অফিসার মরিস ভিদাল পোর্টম্যান আন্দামান ও নিকোবর কলোনির দায়িত্ব নেন। তিনি নিজেকে একজন নৃবিজ্ঞানীও মনে করতেন। ১৮৮০ সালে তিনি নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে প্রবেশ করেন। তার সাথে ছিল ব্রিটিশ নৌবাহিনীর অফিসারদের বিশাল বহর, বৃহত্তর আন্দামান দ্বীপের বন্দিশিবিরের বিভিন্ন আসামী আর স্থানীয় আন্দামানীয় কিছু লোক। তারা গিয়ে দেখেন, সেখানে জনমানবশূন্য এক গ্রাম। বহিরাগতদের দেখে তারা হয়তো দ্বীপের আরো ভেতরে গিয়ে লুকিয়ে ছিল। সম্ভবত এক দম্পতি আর চার শিশু গ্রামবাসীদের থেকে পেছনে পড়ে গিয়েছিল। পোর্টম্যানের অভিযাত্রী দল তাদেরকে আটকে ফেলে এবং দক্ষিণ আন্দামান দ্বীপের উপনিবেশীয় রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারে নিয়ে যায়।


কিন্তু সভ্য সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় তাদের শরীরে সাধারণ ফ্লু কিংবা হামের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকার কথা নয়। সেই ছয়জন খুব দ্রুতই অসুস্থ হয়ে পড়ে। দম্পতি মারা যাওয়ায় পোর্টম্যান বাকি চার শিশুকে সামান্য কিছু উপহার দিয়ে দ্বীপে রেখে চলে আসেন। চার শিশুর কী হয়েছিল, তা জানা যায়নি। তারা গ্রামে গিয়ে রোগ ছড়িয়ে দিয়েছিল কি না, তা-ও জানা যায়নি। তবে তা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ভালোই। আর যদি তা হয়েই থাকে, তাহলে সেন্টিনেলিজরা কেন এখনও তাদের দ্বীপে বহিরাগতদের ঢুকতে দেয় না, সেটা অনুমান করা কঠিন কিছু নয়।


১৮৯৬ সালে আন্দামান দ্বীপের জেল থেকে এক আসামী পালিয়ে সেখানে যায়। কিন্তু সে তো আর জানত না, জ্বলন্ত আগুন থেকে ফুটন্ত তেলের মাঝে গিয়ে পড়েছে! উপনিবেশীয় এক সার্চ পার্টি কিছুদিন পর তীরে বিদ্ধ গলাকাটা সেই আসামীর লাশ খুঁজে পায় সমুদ্রে। ব্রিটিশরা তখন সিদ্ধান্ত নেয়, সেন্টিনেলিজদের আর বিরক্ত না করার।


ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৬৭ সালে সরকারের পক্ষ থেকে নৃবিজ্ঞানী ত্রিনক নাথ পণ্ডিত তার একটি দল নিয়ে সেই দ্বীপে যান। তারাও সেখানে গিয়ে পোর্টম্যানের মতো খালি গ্রাম দেখতে পান। তারা এত দ্রুত পালিয়ে গিয়েছিল যে, তাদের বাড়ির সামনে তখনো আগুন জ্বলছিল। পণ্ডিত আর দল তখন সেন্টিনেলিজদের জন্য কিছু উপহার রেখে যান। এগুলোর মধ্যে ছিল কাপড়, চকলেট, প্লাস্টিকের বালতি ইত্যাদি। অন্যদিকে পণ্ডিতের দলের সাথে থাকা ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসার আর পুলিশ সদস্যরা সেন্টিনেলিজদের তীর-ধনুক আর কিছু ব্যবহার্য জিনিস চুরি করে নিয়ে এসেছিল। নৃবিজ্ঞানীদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও তারা এগুলো নিয়ে আসে। সেন্টিনেলিজরা হয়তো সেটাও পছন্দ করেনি।


পণ্ডিত তার সহকর্মীদের সাথে তারপরও বিভিন্ন সময়ে সেন্টিনেলিজদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। তারা ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে দ্বীপের কাছাকাছি স্থানে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে উপহার দিয়ে আসতেন। দ্বীপের নিকটবর্তী পানিতে নারিকেল ও অন্যান্য খাবার ভাসিয়ে দিতেন। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। একবার তাদের একটি শূকর আর পুতুল উপহার দেওয়া হয়েছিল। তারা শূকরটিকে তীরবিদ্ধ করে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলে। পুতুলটিও একইসাথে পুঁতে ফেলে। তবে তাদের ধাতব পাত্রের প্রতি আগ্রহ দেখা যায়। এছাড়াও ধীরে ধীরে তারা নারিকেলের প্রতি আগ্রহী হয়, যা তাদের দ্বীপে জন্মায় না। এভাবে ২৫ বছর চলে যায়, সেন্টিনেলিজদের সাথে কোনো সরাসরি যোগাযোগ হয় না। কিন্তু পণ্ডিত মনে করছিলেন, তারা সেন্টিনেলিজদের আস্থা অর্জন করছিলেন।


পণ্ডিতের অভিযানগুলোর মাঝেই বিভিন্ন সময়ে সেন্টিনেলিজদের আক্রমণের ঘটনা ঘটে। ১৯৭৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটি ডকুমেন্টারির ভিডিও ধারণের সময় সেন্টিনেলিজদের আক্রমণের শিকার হন। ১৯৭৫ সালে নির্বাসনে থাকা বেলজিয়ামের রাজা তৃতীয় লিওপোল্ড সেন্টিনেল দ্বীপের কাছে ভ্রমণ করতে এলে তিনিও আক্রমণের শিকার হন। ১৯৮১ সালে ‘প্রিমরোজ’ নামের পানামার এক কার্গো জাহাজ সেন্টিনেল দ্বীপের কাছে প্রবালে আটকে যায়। জাহাজের ২৮ জন ক্রু তখন সেন্টিনেলিজদের আক্রমণের শিকার হয়। তারা জাহাজ ভাঙা শুরু করে এবং ধাতব অংশগুলো নিয়ে যায়, সম্ভবত অস্ত্র বানানোর জন্য। জাহাজের ক্রুদের বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য দ্রুত হেলিকপ্টার চলে আসে। এসবের মাঝেও পণ্ডিত দুয়েকমাস পর পর তার অভিযান অব্যাহত রাখেন।


অবশেষে ১৯৯১ সালের এক দিন সেন্টিনেলিজরা প্রথমবারের মতো অস্ত্র ছাড়া পণ্ডিতের দলের সামনে আসে। তারা এসে নৌকার কাছ থেকে নারিকেল নিয়ে যায়। এতটা কাছে এর আগে কখনো তারা আসেনি। তবে এর মানে এই নয় যে, তারা বহিরাগতদের সাথে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিল। এর কয়েক সপ্তাহ পর পণ্ডিত তার দল নিয়ে আবার গেলে সেন্টিনেলিজ এক লোক তাদের দিকে অস্ত্র তাক করে বুঝিয়ে দেয়, এটা শুধুই তাদের এলাকা। ১৯৯৬ সালে ভারত সরকার এখানে অভিযান বন্ধ করে দেয়।


২০০৪ সালে সুনামির সময় ভারতীয় কোস্টগার্ড হেলিকপ্টার দিয়ে টহল দিতে যায়, সেখানে তারা ঠিক আছে কি না, দেখতে। আশ্চর্যজনকভাবে তারা সুনামি থেকে রক্ষা পায় বলেই মনে হয়। হেলিকপ্টার দেখে তারা তীর ছুঁড়ে মারার জন্য চলে আসে।  


সেন্টিনেলিজদের সাথে কি বাইরের দুনিয়ার বন্ধুত্ব সম্ভব? সমস্যা হচ্ছে বন্ধুত্ব একদিক থেকে হয় না। অ্যালেন চাওয়ের ঘটনার আগে ২০০৬ সালেও অবৈধভাবে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের প্রাণ দিতে হয়েছিল সেন্টিনেলিজদের হাতে। এটা স্পষ্ট যে, তারা তাদের মতো থাকতে চায়, কারো সাথে বন্ধুত্ব করার ইচ্ছা নেই তাদের। তাদের বিরক্ত না করলে তারাও অন্যদের নিয়ে মাথা ঘামায় না। তাই বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন, তাদেরকে তাদের মতোই থাকতে দেওয়া হোক।


তাছাড়া তাদের পাশের দ্বীপগুলোতে ব্রিটিশরা কলোনি স্থাপন করার পর সেখানকার আদিবাসীরা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তারা এখনো টিকে আছে হয়তো বিচ্ছিন্ন থাকার কারণেই। এ দ্বীপে জোর খাটিয়ে প্রবেশ করতে হলে সেন্টিনেলিজদের ওপর আক্রমণ করেই ঢুকতে হবে। আর তা হবে খুবই অমানবিক। তবে এ দ্বীপ নিয়ে বহির্বিশ্বে কৌ


তূহলের শেষ নেই, হয়তো এখানেই লুকিয়ে আছে সেন্টিনেলিজদের আড়ালে কোনো এক গোপন সভ্যতা!


লেখকঃ কামরুজ্জামান অমিত (রোয়ার মিডিয়া)

শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২

"টান"/" Taan" মুভি লিংক। অসাধারণ একটি মুভি..


 একজন ড্রাগ অ্যাডিক্টেড- যে একই সাথে পাগল প্রেমিক, আবার একই সাথে এবিউজার- যার পৃথিবী দুলছে নেশা আর ভালোবাসার যুগলবন্দীতে, এমন ক্যারেক্টারের সাথে সিয়ামের একাত্ম হওয়ার চেষ্টাটা আলাদা করে নজর কাড়তে বাধ্য। 'টান' এর টিজারে সিয়াম আহমেদ আক্ষরিক অর্থেই নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন দর্শকদের।


সিয়াম আহমেদ নিজেও জানেন, অভিনয়ের মতো পারফর্মিং আর্টে এখনো তার অনেক শেখার বাকি। কিন্তু এই মানুষটার 'ইন্টেন্ট', 'এফোর্ট' কীভাবে অস্বীকার করা যায়? অস্বীকার করার উপায় নেই তো! সিনিয়র অভিনেতাদের কাছে গিয়ে অ্যাক্টিং সেশন করছেন, দেশ-বিদেশের অজস্র সিনেমা-সিরিজ নিয়মিত দেখছেন, তার মতো করে চেষ্টা করছেন ভালো কিছু করার। অন্তত স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।

একজন সিয়াম আহমেদ তার এই চেষ্টার জায়গায় সৎ থাকুন, এটিই প্রত্যাশা।


ওয়েবসাইট লিংক -- https://watching.followingbook.com/search?keyword=Taan+movie


লিংক ২ঃ moviesfreak4u.host/movies/taan




ড্রাইভ লিংক -টান ফুল মুভি HD

https://drive.google.com/file/d/1sLQX9DV0ynlZMvzk6ZlhkRLwiRlYRMgP/view?usp=drivesdk

শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১

How naughty we are to impress people

 (1)


 Almost all of us know about the meeting of two women with Musa (peace be upon him) in Madyan.


 They came to water their goat from a well.  He came to the well and saw that many men were drawing water from the well for their own needs.  Since there were a lot of men coming to the well, the two of them thought it would be better to wait at a distance instead of going to the well.  As soon as the men left, they decided to go to the well.


 But over time, that is likely to change.  The two women also stood and waited.


 The matter came to the notice of Musa Alaihis Salam.  He realized that the two girls were not coming to the well because of the anagona of the men.  Again, they did not understand that they have been standing for a long time  What can be done in this situation?


 Moses (peace be upon him) decided that he would rather bring water to the goats of the two women.  By doing this, they don't have to come among the men anymore, they don't have to stand away and count the waiting hours.


 The work that you think.  Moses (peace be upon him) brought water to their goats at his own risk.


 We also know the following story: The girls did not forget to tell the story of the help of Musa (peace be upon him) to their father.  The father of the girls wanted to reward such a benevolent servant of God  He sent for Musa (peace be upon him).


 When the girls came in front of their father, one of the girls said to their father, 'Father, you better hire this man.  You should hire people who are strong and capable '.  - Surah Al-Qasas, verse 26


 The meeting of the two girls with Musa (peace be upon him) is but momentary.  How did they realize in such a short time that Musa (as) was a strong and faithful man, without any previous identity?


 There is a beautiful explanation in the commentary.  The well from which Musa (peace be upon him) watered the two goats had a heavy iron lid on the mouth of the well.  It would have been difficult for ten people to move the lid together.  But, the two girls saw that Musa Alaihis Salam removed the heavy lid alone and made water!  Seeing this, they realized that this man must be a strong man.


 However, how did he know that he was faithful?


 The commentators also said: On the way to the girls' house, Musa (as) said to the two girls, "I walk first, you follow me."  If I start going the wrong way, you will just throw a stone and show me the right way '.


 Do you know why Musa Alaihis Salam wanted to walk before the girls?  Because if he follows the girls, then Satan will want to focus his attention on the girls again and again.  The Prophet Moses (peace be upon him) wanted to walk earlier that day to avoid the whisperings of the devil and to guard his eyesight, even though he did not know the way to their house at all.


 The man who is so diligent in guarding his character, his gaze, who hides his gaze from lonely women in this way, will be faithful.  So, the thinking of the women was not in vain.


 (2)


 I think: What a wonderful example Moses left for us in today's world of show-offs!


 Nowadays we do not try to show our quality to others, to show it to others!  I know a lot of guys who wear expensive clothes, buy expensive models of bikes, go to expensive restaurants to impress their girlfriends.  There are many girls who have the same thoughts all day long - how to impress their boyfriend more, how to make him more fascinated, more fascinated by his looks and qualities.  I've heard stories like this: The boy goes to the gym and works hard to build a six-pack body, because he likes his girlfriend's six-pack body.


 However, Musa (peace be upon him) did not rush to impress the two girls but to water their goats.  He wanted to impress only Allah Subhanahu wa Ta'ala.  He has kept his vision as a provision of Allah.  If he let the two girls go ahead, he may have trouble keeping his eyesight, he may be overcome by the whisperings of the devil - out of this fear he wants to go ahead.


 This is to work only to impress Allah, to hold fast to the commandments of Allah with love, to always strive to abide by them কী what did Musa (peace be upon him) get in return for all this?


 He came to Madyan in a state of complete helplessness.  There was no shelter, no provision of food.  However, due to this incident, Allah (swt) gave him shelter in the house of a pious servant.  According to some commentators, the father of the two girls was also a prophet of God.  Not only did Musa (as) find refuge, but he also got one of the two girls as his life partner.


 He has used his power for the benefit of the people.  He did this only to please God.  Even in his helpless, chaotic state, he did not forget his character, the care of his eyes.  As a reward for all this, he got a good shelter, a good life partner and a good guardian (his father-in-law).


 In the world of show off, those of us who die trying to impress others, what do we really get at the end of the day?  And Musa (peace be upon him), whose vow was only to please Allah, to gain Allah's pleasure, tell me what he did not get?


 'Lessons of life taken from Quran-09'


https://youtu.be/f3yM7F-aL9k



বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১

একটি জীবনের সহজ সুত্র..যে যেখানে যেমন,,,,অসাধারণ গল্প

 ৮ বছরের একটা বাচ্চা ছেলে ১ টাকার একটা কয়েন হাতে নিয়ে দোকানে গিয়ে বললো,

-- আপনার দোকানে কি আল্লাহকে পাওয়া যাবে?


দোকানদার একথা শুনে কয়েনটি ছুড়ে ফেলে দিয়ে তাড়িয়ে দিলো ছেলেটিকে।


ছেলেটি পাশের দোকানে গিয়ে ১ টাকা দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো!


-- এই ছেলে.. ১ টাকা দিয়ে কি চাও তুমি?

-- আমি আল্লাহকে চাই। আপনার দোকানে আছে?


দ্বিতীয় দোকানদারও তাড়িয়ে দিলো।


কিন্তু, অবুঝ ছেলেটি হাল ছাড়লো না। একটার পর একটা দোকানে ঘুরতে লাগলো। ঘুরতে ঘুরতে চল্লিশটা দোকান ঘোরার পর এক বয়স্ক দোকানদার জিজ্ঞাসা করলো,


-- তুমি আল্লাহকে কিনতে চাও কেন? কি করবে আল্লাহকে দিয়ে?


এই প্রথম কোন দোকানদারের মুখে এরকম প্রশ্ন শুনে ছেলেটির চোখেমুখে আশার আলো ফুটে উঠলো৷ নিশ্চয়ই এই দোকানে আল্লাহকে পাওয়া যাবে! হতচকিত কণ্ঠে উত্তর দিলো,


--আমার তো বাবা নাই, এই দুনিয়াতে আমার মা ছাড়া আর কেউ নাই। আমার মা সারাদিন কাজ করে আমার জন্য খাবার নিয়ে আসে। আমার মা এখন হাসপাতালে। মা মরে গেলে আমি খাবো কি? ডাক্তার বলেছে, একমাত্র আল্লাহই পারে আমার মাকে বাঁচাতে। আপনার দোকানে কি আল্লাহকে পাওয়া যাবে?


--হ্যাঁ পাওয়া যাবে...! কত টাকা আছে তোমার কাছে?


--মাত্র এক টাকা।


--সমস্যা নেই। এক টাকাতেই আল্লাহকে পাওয়া যাবে।


দোকানদার বাচ্চাটির কাছ থেকে এক টাকা নিয়ে খুঁজে দেখলো এক টাকায় এক গ্লাস পানি ছাড়া বিক্রি করার মতো কিছুই নেই। তাই ছেলেটিকে ফিল্টার থেকে এক গ্লাস পানি ধরিয়ে দিয়ে বললো, এই পানিটা খাওয়ালেই তোমার মা সুস্থ হয়ে যাবে।


পরের দিন একদল মেডিকেল স্পেশালিষ্ট ঢুকলো সেই হাসপাতালে। ছেলেটির মায়ের অপারেশন হলো। খুব দ্রুতই তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেন।


ডিসচার্জ এর কাগজে হাসপাতালের বিল দেখে মহিলার অজ্ঞান হবার মতো অবস্থা। ডাক্তার উনাকে আশ্বস্ত করে বললো, "টেনশনের কিছু নেই। একজন বয়স্ক ভদ্রলোক আপনার সব বিল পরিশোধ করে দিয়েছেন। সাথে একটা চিঠি দিয়েছেন"। 


মহিলাটি চিঠি খুলে পড়ে দেখলো তাতে লেখা-

"আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আপনাকে তো বাঁচিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ... আমি তো শুধু উসিলা মাত্র। বরং ধন্যবাদ দিলে দিন আপনার অবুঝ বাচ্চাটিকে। যে একটাকা হাতে নিয়ে অবুঝের মতো আল্লাহকে খুঁজে বেড়িয়েছে। তার বুকভরা বিশ্বাস ছিলো, একমাত্র আল্লাহই পারে আপনাকে বাঁচাতে। এর নামই বিশ্বাস... এর নামই ঈমান। আল্লাহকে খুঁজে পেতে কোটি টাকা দান খয়রাত করতে হয়না, বিশ্বাস নিয়ে মন থেকে খুঁজলে এক টাকাতেও পাওয়া সম্ভব।


(সংগ্রহীত)


শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১

কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবন-সম্পর্কীত কথা।

 চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয় চারটি কারণে :

১। মিথ্যা বলা।
২। দুরাচারী হওয়া ।
৩। অনর্থক প্রশ্ন করা।
৪। পাপাচারে লিপ্ত হওয়া।

চেহারায় সৌন্দর্য আসে চারটি কারণে :
১। তাকওয়া।
২। বিশ্বস্ততা।
৩। মহানুভবতা।
৪। অনুগ্রহ।

শরীর অসুস্থ হয় চারটি কাজ করলে :
১। অতিরিক্ত কথা।
২। অতিরিক্ত ঘুম।
৩। অতিরিক্ত খাওয়া।
৪। অতিরিক্ত সহবাস (বা হস্তমৈথুন)।

শরীর ধ্বংস হয় চারটি কারণে :
১। দুশ্চিন্তা।
২। দুর্দশা।
৩। ক্ষুধা।
৪। রাত জাগা।

রিজিকে বারাকাহ আসে চারটি কারণে :
১। কিয়ামুল লাইল তথা রাত্রিকালীন সালাত-(তাহাজ্জুদ)
২। ভোররাতে ইস্তিগফার-(তওবা)
৩। ধারাবাহিক দান-সাদাকাহ।
৪। রাতদিন জিকির।

রিজিক সংকীর্ণ হয় চারটি কারণে :
১। ফজরের পর ঘুম।
২। সালাতে অনভ্যস্ততা।
৩। অলসতা।
৪। খেয়ানত ও অসততা।

- ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহর কথাগুলো সত্যিই মুগ্ধকর।


কারো চোখের পানি, শূন্যে তাকিয়ে ফেলা দীর্ঘশ্বাস, আল্লাহর দরবারে আপনার বিরুদ্ধে ফেলা এক ফোঁটা অশ্রুর ব্যাপারে ভয় করুন।
আপনি যেন কারো রাতের অন্ধকারে আল্লাহর দরবারে হাত তোলা(বদ দোয়ার) কারণ না হোন। আপনি যেন কারো অনবরত অভিশাপের কারণ না হোন।💔

কাউকে ঠকিয়ে, কারো সাথে প্রতারণা করে, কাউকে ফাঁসিয়ে, কারো উপর গায়ের জোর চাপিয়ে, কারো উপর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে, জুলুম করে, ক্ষনিকের জন্য জিতে গিয়ে ভাববেন না আপনি জিতে গিয়েছেন। আল্টিমেটলি আপনি একজন লুজার।

আল্লাহ মাজলুমের দোয়া কবুল করেন, অবশ্যই করেন।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "তোমরা মাজলুমের দোয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকো। কেননা মহান আল্লাহ ও তার দোয়ার মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।" (বুখারী, হাদিস : ১৪৯৬)❤️


জীবিত থাকতে আমরা আমাদের অভিভাবকদের অভাবটা যতটা না বুঝতে পারি তারচে বেশি বুঝতে পারি যখন তারা থাকেন অনুপস্থিত! চাচা আবু তালিব মারা যাবার পর প্রথমবার কুরাইশরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে খারাপ ব্যবহার করে, কুবাক্য দিয়ে আঘাত করে, গায়ে মাটি ছুঁড়ে মারে। আহ্!
বেদনাভরা অন্তরে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে থাকেন,"হে চাচা,কত দ্রুতই না আপনার অভাব অনুভব করছি!!"

বাবা,মা,স্বামী সকলের শাসন তখন মনে পড়ে যখন আসলেই আর তারা থাকেনা। শৈশব থেকে এযাবত কত শত বিষয় রয়েছে যা নিয়ে মন খারাপ করেছি,বাবা মায়ের সিদ্ধান্তে কষ্ট পেয়েছি, জোরপূর্বক জীবনে কত ঘটনা ঘটেছে। অথচ যা কিছুই তারা করেছেন সেটা উত্তম ভেবেই করেছেন।

বাবা না থাকলে একটা ছেলে বুঝতে পারে বাস্তবতা কি জিনিস,সংসারের সকল দায়িত্ব যখন কাঁধে উঠে তখন ছেলেটা বুঝতে পারে বাবা কত মেহনত করে গেছেন।
শ্বশুরবাড়িতে আগুনের পাশে গরমে তাপ সইতে গেলেও একটা মেয়ে বুঝতে পারে মা কিভাবে একা সংসারের সবকিছু ম্যানেজ করতো, প্রতিটি ধাপে ধাপে সে ফিল করতো বাবা মায়ের কাছে সে কতটা নিশ্চিন্ত জীবনযাপন করেছে। একজন বিধবাই শুধু জানে স্বামী জীবনের কতখানি জুড়ে ছিলো!

আহারে কত সহজেই না আমরা অভিযোগ তুলি, কত সাবলীলভাবে বলে দেই তুমি আমার জন্য করেছো'টা কি? কি!!!

- আশফিকা নওশিন



এই যে দিনের পর দিন সালাত আদায় করছি না, পর্দা করছি না আল্টিমেটলি ঠকাচ্ছি কাকে?

আজ যেই ছেলেটা কিংবা মেয়েটার উপর ভরসা করে আপনি আপনার ইসলামকে ছেড়ে দিয়েছেন। আপনার মৃত্যুর পর দূরে থাক ব্রেকআপ হওয়ার পরই আপনার খোঁজ নিবে না? আপনি যেই রাস্তা দিয়ে আসছেন সে দেখা মাত্র সেই রাস্তা দিয়ে আর আসবে না। আর আপনি তার উপর ভরসা করে আপনার রবকে ভুলে বসে আছেন!

আপনি সালাত আদায় না করলে, পর্দা না করলে, হারাম থেকে বেঁচে না থাকলে এই সমাজ কিংবা জাতির কিছু যায় আসে না। আল্টিমেটলি মৃত্যুর পর আপনাকেই জবাবদিহি করতে হবে। মৃত্যুর পরের জার্নিতে আপনার সহচর কেউ হবে না!

আজ যেই ফ্রেন্ডদের পাল্লায় পড়ে আপনি আপনার আসল গন্তব্য ভুলে গিয়েছেন। মজা-মাস্তি, নারী, সিনেমার জগতে ডুবে গিয়েছেন আসলে তারা কেউই আপনার আসল বন্ধু নয়? মৃত্যুর পর তারা কেউ আপনাকে আর মনে রাখবে না! আল্টিমেটলি আপনি তাদের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে ঠকাচ্ছেন?



তিনটি বিষয় নিয়ে কখনো বেশী চিন্তা করবেন না:

(১) আপনার উপর জুলুম হয়েছে, কষ্ট দিয়েছে, আপনার সাথে অন্যায় হয়েছে, সেটা নিয়ে বেশী ভাববেন না। তাহলে আপনার অন্তর কঠোর হয়ে যাবে, হিংসা-বিদ্বেষ বেড়ে যাবে, ক্রোধ দীর্ঘস্থায়ী হবে।

(২) অভাব নিয়ে চিন্তা করবেন না। তাহলে আপনার দুশ্চিন্তা ও দুর্দশা বেড়ে যাবে, অন্তরে লোভ তৈরী হবে।

(৩) দুনিয়ায় দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার আশা করবে না। তাহলে জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, আজ নয় কাল নেক আমল করবো, এই চিন্তায় থাকতে থাকতে মৃত্যুর ফেরেশতা এসে যাবে।

(তানবীহুল গাফেলীন, পৃ: 572)
#GetConnectedWithAllah ✨🖤

শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

যা "The Kiss of Life' নামে পরিচিতি পায়।

 জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টার এই ছবিটি ১৯৬৭ সালে তুলেছিলেন ফটোগ্রাফার Rocco Morabito যা পরে  'The Kiss of Life' নামে পরিচিতি পায়। 



Randall Champion নামের একজন লাইনম্যান হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের লাইন স্পর্শ করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সেফটি হার্নেস থাকায় খুঁটিতে উল্টো হয়ে ঝুলতে থাকেন। 


এসময় তার সহকর্মী J.D. Thompson তার হার্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টের পেয়ে প্যারামেডিকরা না আসা পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে মাউথ টু মাউথ CPR ( Cardio Pulmonary Resuscitation ) দিতে থাকেন।  


থম্পসনের তড়িৎ সিদ্ধান্তের কারণে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন বেঁচে যান। 


কাজে যাওয়ার পথে আকস্মিক এই ঘটনার ছবি তুলে পুলিৎজার পুরস্কার পান ফটোগ্রাফার। চ্যাম্পিয়ন ২০০২ সালে মারা যান, থম্পসন এখনো বেঁচে আছেন।


পুনশ্চ : আমরা কি স্কুল-কলেজে এখনও বাচ্চাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পদ্ধতি হাতেকলমে শিখাতে পেরেছি?


(সংগৃহীত)

শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১

Bill Gates girl fell in love with the Muslim youth

 Jennifer, the eldest daughter of Bill Gates, the world's richest man, and Nayel Nasser, an ordinary Muslim young man, the love story of Jennifer-Nasser is like a fairy tale.  And like ten ordinary people, their love began in a very ordinary way.


 Niall Nasser met Jennifer Gates while studying at Stanford University in California.  Both of them were very interested in horse racing.  It's because of this interest that the two come closer.  Together they also took part in various horse races.  In this way, Nasser gradually took place in Jennifer's mind.


 Nasser graduated in economics from Stanford University in 2013.  She returned to the university in 2016 to help Jennifer with her human biology.

 Jennifer and Nasser exchanged rings earlier this year.  They are going to tie the knot very soon.


 Born in Chicago, Illinois, USA, Nasser grew up in Kuwait.  Nasser has a unique role to play in helping Egypt reach the finals of the 2020 Olympics (Tokyo) almost 70 years later.


 In 2016, for the first time, Nasser posted a picture with Jennifer on Instagram.  They were seen spending a beautiful moment in that photo of Valentine's Day celebrations in Florida.


 Not only horse racers, Nayel Nasser also has a business in San Diego, California.  Jennifer-Nasser will start her family there after marriage.




একে কি বলে একাকিত্ব নাকি স্বাধীনতা!?

 যখন সকালে ঘুম ভাংগানোর কেউ নেই, রাতে বাড়ি ফিরলে অপেক্ষায় কেউ বসে নেই, তুমি যা মন চায় করতে পারো, কোনো পিছুটান নেই.... একে কি বলে একাকীত্ব না...