রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

কারা সহজে ওজন কমাতে পারে;পুরুষ নাকি নারী?

পুরুষদের ওজন কমানো এবং মাসল গেইন করা মেয়েদের চেয়ে অনেক সহজ।


জাস্ট ইনসুলিনটাকে চেক দিতে হবে, আই মিন সুগার, সয়াবিন-ট্রান্সফ্যাট আর রিফাইন্ড স্টার্চ(সাদা ভাত, সাদা আটা-ময়দার রুটি)কে বাদ দিতে হবে, স্ট্রেসটাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে আর টেস্টোস্টেরনকে নামিয়ে দিতে হবে যুদ্ধের ময়দানে, আই মিন হার্ড ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করতে হবে।


টেস্টোস্টেরন একবার অপটিমাম লেভেলে চলে গেলে বাকি খেলা সেই খেলবে, আপনি নিশ্চিন্ত(যদি না আপনি ডায়বেটিক হন)।


কিন্তু, মেয়েদের ব্যাপার আলাদা।


মেয়েদের হরমোনাল ব্যালেন্স খুবই নাজুক। অন্তত ৭টা হরমোনকে ম্যানেজ না করে মেয়েদের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় না।


১)ইনসুলিন

২)ইস্ট্রোজেন

৩)থাইরয়েড

৪)কর্টিসোল

৫)লেপটিন

৬)গ্রোথ হরমোন ও

৭)টেস্টোস্টেরন


এর মধ্যে মেয়েরা সমস্ত নিউট্রিয়েন্ট লস করেন বেশি। তারা এমনিতেই খান কম, কিন্তু মিনারেল বার্নআউটে তাদের শরীর ওস্তাদ।


মেয়েদের ওয়েট লসের জন্য তাই কোন পানির মত সহজ পথ নাই।


একজন মেয়ে হয়তো এক ধাক্কায় ৪ মাসে ২৫-৩০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন স্ট্রিক্ট কিটো/ভেগান করে। কিন্তু তার শরীর ব্যাকফায়ার করতে বেশিদিন সময় নেবে না।


মেয়েদের জন্য তাই দ্রুত ওয়েট লসের চাইতে খুব সতর্কতার সাথে নিজের ওভারডমিন্যান্ট হরমোনগুলোকে খুজে বের করতে হবে, তারপর এক এক করে সেগুলোকে রিসেট করে অপটিমাম লেভেলে নিয়ে আসতে হবে।


আমার কাছে প্রায়ই এক্সট্রিম ওয়েট লস করা মেয়ে প্যাশেন্টরা আসেন, যারা প্রচন্ড ক্লান্তি আর মাথা ঘোরানোর সমস্যায় ভোগেন, অনেকেরই লো ব্লাড প্রেসার থাকে। কেউ কেউ পিত্তথলির অবস্থা খারাপ করে নিয়ে আসেন, কেউ আবার ফ্যাটের চেয়ে বেশি লস করেন মাসল।


তো এই সমস্যাগুলো হয় না যদি আপনি প্রথমে নিজের হরমোনাল প্রোফাইলটা বুঝতে পারেন। এটা নিজে নিজে না পারার সম্ভাবনাই বেশি, এবং এখানেই আপনাকে সহযোগিতা করতে পারেন একজন ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট।


শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১

ইসরাইলকে আবারও আরেকটি বড় জবাব!

 ইসরাইলকে আবারও আরেকটি বড় জবাব!




সিরিয়ার ভূমি থেকে ইসরাইলের দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের কাছে ইরানীদের মিসাইল হামলা।

মিসাইল স্ট্রাইকের পর গোটা দিমোনা জুড়ে সাইরেন বাজতে থাকে এবং ইসলাইলী সামরিক বাহিনী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দে আশেপাশে অনেক ঘরবাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পড়েছে।

দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টটি পুরোপুরি ঘিরে রেখেছে ইসরাআলী পুলিশ ও সেনাবাহিনী এবং ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ওরা কিছুই জানতে দিচ্ছে না মানুষকে।


কেউ কেউ বলছে যে এটি সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে ছোঁড়া কাউন্টার এটাক ইন্টারসেপ্টর মিসাইল যা ইসরাইলের জেটকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল কিন্তু তা গিয়ে ইসরাইলের ভূমিতে দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের কাছে গিয়ে পড়ে। কিন্তু তা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, কারন সিরিয়ার দিমাশক থেকে ইসরাইলের দিমোনা নিউক্লিয়ার প্লান্টের দূরত্ব ডায়গোনালি প্রায় ৩০০ কিলোমিটার, অথচ সিরিয়ান SAM সিস্টেমগুলোর ইন্টারসেপ্টর মিসাইলগুলোর রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটারের মতো।


সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে সিরিয়ার ভূমি থেকে ইরানের এডভান্সড টেকনোলজির এবং লং রেঞ্জের কোনো মিসাইল ইসরাইলে স্ট্রাইক করেছে ইরানীরা। অনেকে ধারনা করছেন যে অতি উন্নত প্রযুক্তির ইরানী ফাতেহ মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে।


সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বিবৃতি এবং বেশ কিছু উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী ইসরাইলী রাডার সিস্টেমগুলো এই মিসাইলটিকে ট্র্যাকই করতে পারে নি এবং ইসলাইলী এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলো এই মিসাইলটিকে ইন্টারসেপ্ট করতে পারে নি!

এর আগেও ইরাকের মাটিতে আমেরিকার আইনুল আসাদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানীরা বাইশটি মিসাইল হামলা করে তাঁদের মিসাইলগুলোর নিখুঁত এক্যুরেসি, হাই এলটিটিউট, লং রেঞ্জ, হাই স্পিড এবং ব্যাপক ডেস্ট্রাকশন পাওয়ার প্রমান করেছে। সেই সময়েও আমেরিকান রাডার সিস্টেমগুলো ইরানের একটা মিসাইলকেও ট্র্যাক করতে পারে নি এবং মার্কিন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলো ইরানের একটা মিসাইলকেও ইন্টারসেপ্ট করতে পারে নি।


এটি ইসলামী ইরানের জন্য একটি বড় সফলতা আর ইসরাইল ও আমেরিকার জন্য বিশাল ব্যর্থতা।


ইরান আবারও প্রমান করল যে ইসরাইলকে ধ্বংস করার জন্য মুসলিম বিশ্বে একমাত্র ইরানই আপোষহীনভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে। ইরানের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ শক্তিজোট দীর্ঘজীবী হোক!

বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১

দরিদ্রতা আসে চার জিনিসের কারণেঃ

 দরিদ্রতা আসে চার জিনিসের কারণেঃ


.

১। তাড়াহুড়া করে নামায পড়ার কারণে।

২। দাঁড়িয়ে পেশাব করার কারণে।

৩। পেশাবের জায়গায় অজু করার কারণে।

৪। দাঁড়িয়ে পানি পান করার কারণে।


সচ্ছলতা আসে সাত জিনিসের কারণেঃ

.

১। আল কুরআন তিলাওয়াত করার কারণে।

২।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার কারণে।

৩। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার কারণে।

৪। দরিদ্র ও অক্ষমদের সাহায্য করার কারণে।

৫। গোনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করার কারণে।

৬। পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের

সাথে সদাচরণ করার কারণে।

৭। সকালে সূরা ইয়াসিন এবং সন্ধ্যায় সূরা

ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করার কারণে।


তিরমিজি 

.

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে নেক আমল করার তাওফিক দান করুন, আমিন!

সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি রূপক গল্প।

 অসহায় পৃথিবীর আর্তনাদ...

বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি রূপক গল্প।


১)
মোবাইলে একটা SMS এলো। তাকিয়ে দেখি..
"সরকারের তরফ থেকে আমার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে"
আমার মন খুশিতে ভরে গেল। ঘর থেকে বের হলাম আর চিৎকার করে বাড়ির সবাইকে বলছি....
"সবাই শোনো, দিন বদলে গেছে, আমার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা এসে গেছে"।
রুম থেকে বউ বেরিয়ে বললো, "অত খুশির কি আছে, আমার এ্যাকাউন্টেও ৫০ লাখ টাকা দিয়েছে। এই যে মেসেজ দেখ।"
একটু অবাক হলাম, ভাবলাম আশেপাশে সবাইকে
গিয়ে বলি। বাড়ির পাশের লোক আমায় বলছে,
"বেশি উত্তেজিত হয়ো না, আমাদের এ্যাকাউন্টেও ৫০ লাখ জমা হয়েছে।"
আমার খুশি সব উড়ে গেল। ভাবলাম যাই, বাজার থেকে কিছু মিষ্টি নিয়ে আসি।
বাজারে গিয়ে দেখলাম, দোকান বন্ধ। পাশের একজনকে জিজ্ঞেস করলাম,
"ও ভাই এই মিষ্টির দোকান বন্ধ কেন?"
সে বললো, "মিষ্টি দোকানদারের আর দোকানদারি করার কি দরকার। তার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ এসে গেছে।"
তাই ভাবলাম একটু নিউ মার্কেটে যাই, সেখান থেকে কিছু নিয়ে আসি।
সেকি! কোনো দোকান পাট খোলা নেই।
ওনাদের এ্যাকাউন্টেও নাকি ৫০ লাখ এসে গেছে.....।
প্রচন্ড খিদে পেয়েছে ভাবলাম এখানে তো দোকান পাট বন্ধ। সামনের দিকে যাই, ভালো কোন হোটেলে তৃপ্তি করে খাওয়া যাবে।
সামনে যতই যাই সবই দেখি ফাঁকা। হোটেলের বাইরে দাড়িয়ে থাকা স্বাগত জানানোর সেই লোকও নেই, যে কাস্টমার দেখলেই সালাম ঠুকে ওয়েলকাম করেন, শপিং মলের সিকিউরিটিও নেই। সবার এ্যাকাউন্টেই ৫০ লাখ এসে গেছে। মার্কেটে কেউ নেই।
সবজি ওয়ালা, চা ওয়ালা, সরবত ওয়ালা
ফাস্টফুড ওয়ালা কেউ নেই। সব কিছুই বন্ধ।

২)
সকলের ঠিকানা এখন ব্যাঙ্কে ৫০ লাখ টাকা তোলার জন্যে। কেননা এখন আর কারো কাজ করার দরকার নেই, সবার কাছেই ৫০ লাখ আছে।
আমার এক বন্ধু ফোন করে বললো,
"আমি জব ছেড়ে দিয়েছি, আমার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা আছে"
আমার এক বড় ভাই ফোন করে বললো,
"আমার আর্ট স্কুল অফ করে দিয়েছি"
"আমার আশেপাশের ছোট বোন আর স্কুলে যাচ্ছে না"
"আমার এক বন্ধু টিউশন পড়ানো বন্ধ করে দিয়েছে"
"নিপা নামের মেয়েটিও আর কলেজে যায় না"
"ইভান আর জব খু্ঁজে না"
'শ্রমিকরা আর কারখানায় যায় না, কলকারখানা সব বন্ধ"।
সবার এ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা জমা আছে। সবাই এখন বড়লোক। সবাই সুর তুলছে, গান করছে, নৃত্য করছে.....
বিকেলে হাটতে হাটতে মাঠের দিকে গেলাম, কৃষকরা সবাই কাজ ছেড়ে বাড়িতে। কেউ নেই জমিতে। এখন তাদের রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করার আর দরকার নেই। তারা সবাই বড়লোক হয়ে গেছে। সবার এ্যাকাউন্টেই ৫০ লাখ টাকা।

৩)
৭ দিন পর দেখা গেল খিদের জ্বালায় লোক কাঁদছে।
কেননা, জমি থেকে কেউ ফসল তুলছে না, সমস্ত দোকানপাট বন্ধ, হোটেল, মেডিক্যাল সব বন্ধ। অসুস্থ হয়ে মানুষ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেননা, খাবার নেই, ডাক্তার নেই। পশুরাও না খেতে পেয়ে মরছে। জমিতে সবুজ ঘাস নেই, সোনালী ফসল নেই। শিশুরা খিদের জ্বালায় কাঁদছে, গোয়ালা দুধ দিচ্ছে না বলে।
মানুষ এখন ছুটছে মুঠো মুঠো টাকা নিয়ে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে পকেটে টাকা নিয়ে।
কাঁদছে মানুষ লক্ষ টাকা হাতে নিয়ে আর বলছে,
"এই ভাই নাও ১০ হাজার টাকা, আমাকে ২০০ গ্রাম দুধ দাও। দুদিন বাচ্চাটা না খেয়ে আছে।
১০ দিন বাদে মানুষ না খেতে পেয়ে মরছে। কিছু কিছু লোক টাকার ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে রাস্তায়। এই নাও ভাই ৫ লাখ টাকা, "আমাকে ৫ কেজি চাল দাও। ১০ দিন থেকে না খেয়ে আছি।"
সব বাজার হাট বন্ধ হয়ে গেছে। শাক সবজি খাবার দাবার কারো কাছেই নেই। সবদিকে শুধু মৃত্যুর ছবি দেখা যাচ্ছে।
আমিও আমার ৫০ লাখ টাকা নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছি, নাও ভাই নাও ৫০ লাখ নিয়ে নাও,
তবুও কিছু খাবার দাও"।
কে কার টাকা নেবে, খাবার কারো কাছেই নেই। মানুষ মানুষের দিকে তেড়ে আসছে হিংস্র সিংহের মত। মনে হচ্ছে, মানুষ মানুষকে খাবে।
অচেনা একলোক তাড়া করেছে আমাকে, চিবিয়ে খাবে বলে।
ছুটছি আমি। আমি ক্ষুধার্ত মানুষ, কতটা আর ছুটব?
পড়ে গেলাম হোঁচট খেয়ে. ..মা গো করে চিৎকার করে উঠলাম.....
বউ তখন ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে "কি হলো তোমার ? সকাল হয়ে গেছে, ঘুম থেকে উঠো, চোখে মুখে পানি দিয়ে আসো। এই তুমি বাচাঁও বাঁচাও বলে চেঁচাচ্ছিলে কেন? কোন খারাপ স্বপ্ন দেখছিলে নাকি ?"
আমি বললাম, "না, খারাপ নয়, ভালো দিনের স্বপ্ন। "
গরিব আমরা, কিন্তু ঘরে
"দুমুঠো খাবার তো আছে"
"তৃষ্ণার পানি তো আছে"
"শিশুরা খেলছে"
"পশুরা মাঠে ঘাস খাচ্ছে"
"দোকানে ভিড় আছে"
"যানবাহন চলছে তো চলছে"
"মানুষের সমাগম চলছে"
"বাগানে ফুল ফুটছে"
প্রকৃতি হাসছে.....
অনেকে ভাবে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কেন ধনী গরীব সুষ্টি করছে ?
সবাইকেতো চাইলে ধন সম্পদ দিতে পারতো।সবাইকে সুখ শান্তি দিতে পারতো।
বাস্তবতা হল ধনী গরীব বৈশম্য আছে বিধায় এখনও পৃথিবী টিকে আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে।
সবাই ধনী হলে কি হতো দেখেছেনতো--
#সংগৃহীত

ডাক্তারী - একটি পেশার গল্প (বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট) :

 ডাক্তারী - একটি পেশার গল্প (বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট) :

°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°


°

ব্রিটিশ ভারতীয় যুগে এই উপমহাদেশের চিকিৎসা কার্যক্রম সঠিক এবং বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে শুরু হয়। অনেক লোক মারা যেত তখন, কারন প্রাচীন ভেষজ পদ্ধতিতে অল্প কিছু ওষুধ আর সর্বোচ্চ শল্যবিদরা শল্য (কাঠি) এর মাধ্যমে চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ করতেন। মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৭ বছর মাত্র। তারপর মানুষ দেখল বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসার সুফল। তারা দেখল জটিল অস্ত্রোপচার এবং উপযুক্ত ওষুধ পেলে মৃত্যুর মুখ থেকে রোগী ফিরে আসে। তখন ইংরেজ চিকিৎসকরা ছিলেন। পদের নাম ছিল সিভিল সার্জন। সহজে তাদের নাগাল পাওয়া যেত না। তারা মৃত্যুকে ফেরত পাঠাতে পারেন তাই তারা হলেন, ফেরেশতা, ভগবান, ইত্যাদি। গড় আয়ু বাড়তে বাড়তে হল ৫৮ যখন দেশ পূর্ব-পাকিস্তান। তখনও দেশে ডাক্তার অনেক কম। কিন্তু, দেশে ডাক্তার হওয়ার বেশ কয়েকটি কলেজ আছে। সবার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু, সিট সীমিত। জনসংখ্যা ১ কোটি থেকে ৭ কোটি হয়েছে। সরাসরি সরকারি চাকুরির সুবিধা দেয়া হল ডাক্তারদের, কিন্তু বাড়তি জনসংখ্যার অনুপাতে ডাক্তার বাড়ল না, তাদের চাপ বাড়তে থাকল। এদিকে, দরিদ্র দেশ, রোজগার নিয়ে সবাই ব্যস্ত। ডাক্তার হওয়ার চাহিদাও বেড়ে গেল ব্যাপক ভাবে। দেশ এখন বাংলাদেশ, মানুষ ২০ কোটি, কিন্তু সরকারি চাকুরির জন্য ডাক্তারকে এখন বিসিএস দিতে হয়, যেখানে ৬৫ সনে ৭ কোটি মানুষের চাহিদা মেটাতে বিসিএস দেয়া লাগত না জনসংখ্যার অনুপাতে ডাক্তার কম বলে, সেখানে এখন দেয়া লাগছে, তাতে অপর্যাপ্ত চিকিৎসকের জন্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার মান কমে যাচ্ছে, লোকজনের কাছে চিকিৎসকরা ফেরেশতা থেকে হয়ে ওঠলেন কসাই, যদিও অকল্পনীয় পরিশ্রমের ফসল হিসেবে গড় আয়ু হয়েছে ৭৪ বছর৷ এখন দেশ দরিদ্র নয়, কিন্তু তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের মধ্যে লোভ বেড়েছে ব্যাপক হারে। অন্যদিকে জনসংখ্যা বেশী তাই এই পেশার চাহিদা বেশি থাকায় লোভ আরও বাড়ল, যারা লোভী তারা মেধাযুদ্ধে পরাজিত হয়ে শুরু করল ঘোরতর হিংসা৷ শুরু হল পেশার উপর বিভিন্ন দুর্বৃত্ত শ্রেনীর আক্রমণ, মহৎ পেশা হয়ে উঠল ব্যবসা। মানুষ হল ভুক্তভোগী, তৈরী হল ক্রোধ। মধু যদি বেশি ঘন হয়, পিপড়ার আক্রমনও বেশী হয়। এক সময় তা ফুরিয়ে যায়।


এদিকে ব্রিটিশদের পদ্ধতি তারা পরিবর্তন করে NHS নিয়ে এসেছে, অথচ আমরা সেই আমাদের ব্রিটিশ যুগেই পড়ে আছি না বরং পিছিয়ে গেছি বিসিএস এ আবদ্ধ করে। 


দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই সহানুভূতিশীল হোন।


দেশের অচলায়তন থেকে মুক্তির জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক অনতিবিলম্বে আগের নিয়মেই নিয়োগ দিয়ে, লকডাউন শিথিল করে দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করা অতি জরুরী। একটি মহামারী সহজে দূর হয় না, যক্ষার প্রাকৃতিক ইতিহাস বলে যে তা এখনো নির্মূল হয় নি৷ এই মহামারী নিয়েই চলতে হবে। সকল জটিলতা দূর করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিসিএস এর বেড়ি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে "জাতীয় চিকিৎসা সার্ভিস" (NHS) চালু করা অত্যন্ত  জরুরী হয়ে পড়েছে।

রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১

একটি যুগোপযোগী ও উপকারী বই;;;

 কাসাসুল হাদিস 


এক সুখপাঠ্য! 

যেখানে গল্পে গল্পে হেঁটে গেছি বিগত থেকে আগত যামানার জনপদে। 

হারিয়েছি দুনিয়া সৃষ্টিরও আগে রাব্বুল আলামিনের আরও সব সৃষ্টির গল্পে। 

একেকটি হাদীসের ভেতর থেকে উঠে আসা মুক্তোগুলো ঝরে ঝরে পড়েছে হৃদয়ের আরশিতে। 

ভীষণ সাবলিল, অথচ গোছানো উপস্থাপনায় উঠে এসেছে এই ভূখণ্ড সৃষ্টিরও আগে সৃষ্ট জান্নাত-জাহান্নাম ও রাব্বুল হক্বের প্রিয় হাবীব সারওয়ারে কায়েনাত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমসাময়িক ঘটনাবলী। 


শুধুই কী এইটুকু! 

এরপর একে একে গল্পের পথ ধরে পেরিয়ে গেছি বর্তমানকে ছাড়িয়ে কিয়ামত, হাশর ও পুলসিরাতের সত্য ও শাশ্বত ঠিকানায়। 


এ নিছক কোনো রূপকথার শিশুদের ঘুম পাড়ানো ককল্পকাহিনী নয়। 

নয় বানোয়াট কেচ্ছা! 

রাসূলে পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র যবান নিঃসৃত ঘটনাবলী , পরম সত্য গল্প সমগ্র। 


আমার মতো অধৈর্য্য ও অস্থির চিত্তের মানুষ যেই বইটি গ্রোগাসে পড়ে ফেলে,  কোথাও বিরতি নিয়ে রাখবার পরে এরপরের ঘটনা জানবার জন্য উশখুশ করে,  তা অবশ্যই অসাধারণ একটি হাদীসের শ্রেষ্ঠ ঘটনাবলীর সংকলনই বলা যায়।

টুকিটাকি বানানের বিচ্যুতি বাদে তেমন কোনো ভ্রান্তি আমার মতো সাধারণ পাঠকের চোখে পড়েনি। 

আশাকরি দ্বিতীয় সংস্করণে বিচ্যুতি সমস্ত কাটিয়ে বইটি ফিরে আসবে আরও নিঁখুত রূপে। 

বইটির প্রকাশনা মাকতাবাতুস সুন্নাহ,  যদ্দুর জানি নতুন একটি মাকতাবা। 

এই বইটির মাধ্যমে তারা ইতোমধ্যেই পাঠক মহলে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে, মা শা আল্লাহ। 

আল্লাহ তাদের অব্যাহত মেহনত কবুল করুক।

যুগোপযোগী ও উপকারী বই আরও চাই, আরও যেন পাই।


বইঃ  কাসাসুল হাদিস 

লেখকঃ ড. মুস্তফা মুরাদ আযহারী

পৃষ্ঠাঃ ৪৫০

মুদ্রিত মূল্যঃ ৭৯৮৳

প্রকাশনাঃ মাকতাবাতুস সুন্নাহ Maktabatus sunnah


অনলাইন হ্যারাসমেন্ট নিয়ে একটি আলোচিত উপন্যাস

 লেখক মোহিত কামাল, সমাজ সচেতন লেখক। পেশায় ডাক্তার, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। মানুষের মনের সাথে তাই তার যোগাযোগ। নানান শ্রেণীর মানুষের মনের খোঁজ নিতে নিতে হয়তো তাদের মনের অন্ধকার কিছু দিকেরও খোঁজ পেয়ে যান। প্রতিটা মানুষের মনের সেই অন্ধকারের প্রভাব পড়ে সমাজেও। ডাক্তার-লেখক সাহেব এই অন্ধকার সহ্য করতে পারেন না। ডাক্তার-সত্ত্বার খুঁজে পাওয়া অন্ধকারকে আলোকিত করতে চেষ্টা নেন তার লেখক-সত্ত্বার সাহায্যে। তার লেখায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন সমাজের নানান অসঙ্গতি। সাথে থাকে সম্ভাব্য সমাধানের প্রস্তাবনা। সুস্মিতার বাড়ি ফেরা উপন্যাসটা তেমনই। 


বাংলাদেশে ইন্টারনেটের আগমন খুব বেশি দিনের না। অথচ এরই মাঝে এ দেশে মহামারীর মতো সংঘটিত হচ্ছে ইন্টারনেট-ভিত্তিক অপরাধ, যেগুলোকে বলা হয় সাইবার অপরাধ। হ্যাকিং, বুলিইং, হেইট স্পিচ সহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধের মাঝে এই উপন্যাসের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে অনলাইন হ্যারাসমেন্ট। 



উপন্যাসে হ্যারাসমেন্ট এর শিকার সুস্মিতা নামের এক মেয়ে, যাকে ব্ল্যাক মেইল করে তারই হবু স্বামী ফটোশপের সাহায্যে ছবি এডিট করে। বাদবাকি উপন্যাস এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া-প্রতিবাদ-প্রতিরোধ সংশ্লিষ্ট ঘটনাপ্রবাহ। যেই অবস্থায় অনেক ভিকটিমই বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ, সেখান থেকে একটি পরিবারের ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম চিত্রিত হয়েছে পাতায় পাতায়।


লেখকের লেখায় আমার কাছে বরাবর মনে হয়েছে, খুব বেশি প্রেডিক্টেবল হয়ে যায়। এ কারণে পুরো বই মনোযোগ ধরে রাখাটা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই উপন্যাসে পেছনের কাভারে যা অল্প কিছু কথা লিখা আছে, কিংবা আমি উপরের প্যারায় যা বললাম, তাতেই মূল কাহিনীর অংশ প্রায় পুরোটাই চলে আসে। সাথে পরেরটুকুর ধারণাও। এই ব্যাপারটা আমার কাছে লেখার বড় ধরনের দুর্বলতা বলে মনে হয়েছে।


প্রযুক্তি নিয়ে লেখার একটা বিপদ হচ্ছে প্রযুক্তি (কিংবা আরো ভালো করে বলতে গেলে প্রযুক্তির ব্যবহার-অপব্যবহার) খুব দ্রুতই পরিবর্তনশীল। হয়তো দেখা যায় কাল যে অপরাধটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে বখাটেরা করছিল, আজ সেটাই মহাসমারোহে রাষ্ট্র করে চলেছে। কিংবা কিছুদিন আগেই যে ছবি দেখেই ফেইক বলে বুঝা যেত, এরই মধ্যে সেটা এডিটের এমন সফটওয়্যার চলে এল, যার মাধ্যমে প্রফেশনাল কাজে আর এডিট বলেও বুঝার উপায় থাকে না। ছবির পাশাপাশি কণ্ঠস্বর, এমনকি ভিডিওও এডিট করে ফেলা যাচ্ছে দিন দিন। এক সময় মানুষ মিসকল দিয়ে কিংবা রঙ নাম্বারে কল করে আনন্দ পেত। এখন কলরেট কম থাকলেও বিকৃতদের বিকৃতির ধরন পরিবর্তনের কারণে সেটা কম দেখা যায়। 


এই যে বিজ্ঞান এত আগাচ্ছে, তা মানুষের হাতে এক ধরনের অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। এই অস্ত্রের অপব্যবহার রোধে নৈতিকতার শিক্ষা ও চর্চার বিকল্প নেই। কিন্তু উপন্যাসে সেটাকে সমাধান হিসেবে খুব একটা সামনে আনেননি ঔপন্যাসিক। বরং সমাধান খুঁজেছেন আইনের কঠোর প্রয়োগে। অথচ বাংলাদেশে আরেকটি বড় সমস্যা আইন প্রয়োগকারীদের অসহযোগিতা।


অবশ্য এসকল সমস্যার সম্মুখীনও হয়েছে কাহিনীর কেন্দ্রী চরিত্র সুস্মিতা বা তার সাথের অন্যরা। এমনকি শেষাংশে এসে উল্লেখযোগ্য দুটি চরিত্রের মৃত্যুর মাধ্যমে অপরাধীচক্রের বেপরোয়াভাব ও ক্ষমতার কিছুটা ছায়া এসেছে। তাতে আরো বাস্তবধর্মী হয়ে উঠেছে কাহিনী।


রেটিং-৫/১০


বই রিভিউ


বইঃ সুস্মিতার বাড়ি ফেরা

লেখকঃ মোহিত কামাল

প্রকাশনীঃ প্রথমা

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১১২

মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০

একে কি বলে একাকিত্ব নাকি স্বাধীনতা!?

 যখন সকালে ঘুম ভাংগানোর কেউ নেই, রাতে বাড়ি ফিরলে অপেক্ষায় কেউ বসে নেই, তুমি যা মন চায় করতে পারো, কোনো পিছুটান নেই.... একে কি বলে একাকীত্ব না...