চীনা মহাকাশ প্রকল্প ‘তিয়ানহে স্পেস স্টেশন’ এর জন্য পাঠানো একটি রকেটের ১০০ ফুট লম্বা মূল অভ্যন্তরীণ অংশের (কোর) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেছে। অনিয়ন্ত্রিত গতিতে সেটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার উঁচুতে বায়ুমন্ডলে ছুটে চলেছে রকেটটির খন্ডাংশ।
কোথায় পড়তে পারে রকেটটি?
ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৮০ কিমি. উচ্চতায় রকেটটি ছুটে বেড়ালেও এর গতিপথ এলোমেলো নয়। তাই পৃথিবীর যে কোন স্থানেই পড়তে পারে এ তথ্য সঠিক নয়। বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী, রকেটটির ছাই হয়ে যাওয়া অবশিষ্টাংশ সমুদ্র এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। সেই সঙ্গে ন্যু-য়র্ক, মাদ্রিদ, বেইজিং, চিলি, ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ডে ধ্বসে পড়ার কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে।
কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে?
চীনের বানানো এই বৃহত্তম রকেটটির নাম- লং মার্চ ৫বি রকেট। বায়ুমন্ডলে ছুটতে ছুটতে এর অধিকাংশ অংশই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। রকেটের কিছু টুকরো হয়তো পৃথিবীতে এসে পড়বে। তাতে এটি ১০০ মাইল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে।
১৯৯০ সাল থেকে পৃথিবীতে যতগুলো রকেটের অনিয়ন্ত্রিত রি-এন্ট্রি ছিল তার সবই ১০ টনের কম। তবে লং মার্চ ৫বি রকেট এর অংশটির ওজন প্রায় ২১ টন বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধাজনক নয় বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চীন এর আগেরবার যখন লং মার্চ ৫বি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল তখনও কিছু বড় লম্বা ধাতব অংশ পড়ে আইভরি কোস্টে বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যদিও বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে এর বেশিরভাগ অংশই জ্বলে গিয়েছিল। তবুও প্রচুর ধাতব টুকরো পৃথিবীতে এসে পড়েছিল। কিন্তু তখন কেউ হতাহত হয়নি। সম্প্রতি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।
#China #Roket
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন