জন উইক চরিত্রে যে লোকটা দারুণ সব একশন,স্ট্যান্ট করে সে লোকটার বয়স ৫৬। মানে ৫৬ বছর বয়সের এ এনার্জি কি বিস্ময়কর নয়? জন উইকের পরের কিস্তির সময় বয়স গিয়ে দাঁড়াবে ৫৭ তে!
*Keanu Reeves
কিয়ানু রিভস কিভাবে সিম্পল লাইফ লিড করতে হয় তার জন্য মস্ত বড় এক উদাহরণ। আসবো সেসবে।
কিয়ানু রিভস কানাডার হাই স্কুলে ভর্তি হয়ে ড্রপ আউট হতে থাকে৷ কয়বার স্কুল চেঞ্জ করতে হয়েছে জানেন? ৪ বার! এরপর ও ড্রপ আউটের পিছনের কারন ছিলো একটি। অভিনয়ের ঝোঁক। সেই প্রবণতা তাকে আজকে অন্যতম ধনী অভিনেতার কাতারে এনে ফেলছে।
কিয়ানু রিভস বরাবরই একশন প্রেমী। নিজেও উপহার দিয়েছেন চমকপ্রদ সব একশন মুভি। জন উইক তো অনেক পরের গল্প। ম্যাট্রিক্স মুভিটাকে আজও একশন জনরার অন্যতম বেস্ট ধরা হয়। মোটর বাইক প্রিয় এবং ছোট-খাটো বাইক গ্যারেজের এ মালিক এসব একশন স্টান্ট নিজেই করেন এবং ফলস্বরূপ নিজের শরীরকে বারেবারে নানা রকম ধকল উপহার দিয়েছেন!
কিয়ানু রিভস ছোটবেলায় আইস হকিতে অনেক ভালো ছিলেন। ভালো গোল কিপিং এর জন্য নাম করেছিলেন। কিন্তু চোট তাকে তার দেখা স্বপ্নে পৌছাতে দিলোনা। মা-বাবার ডিভোর্স দেখেছেন তিন বছর বয়সে। কিয়ানুর বেড়ে ওঠার প্রথম ধাপটাই বেদনার। 😥
বেদনার দিনগুলো কিয়ানুকে ধৈর্য্য গুণ দিয়ে যায়। যার কারনে তিনি অবস্থান দৃঢ় করতে পেরেছেন। তবে কি তার অভিনয় এতোই ন্যাচারাল বা জীবন নির্ভর মুভি করে বেড়িয়েছেন? না তিনি টম হ্যাংস ও না। তিনি একশন হিরো। যেখানে তার কারিশমা সবাই দেখে। যাকে নিয়ে কোনো জন্মদিন বা স্পেশাল দিন ছাড়াও লেখতে ইচ্ছে করে। তবে শুধু একশনেই মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তাও নয়। উনি আসলে ওভারএক্টিং ই করেন না। স্ক্রিনে যাই করেন তা মনে হয় বাস্তব লাইফে করে বেড়াচ্ছেন, তাহলে আর অভিনয় বলি কি করে? 😅
লোকটার সব কথা গেলো। এবারে প্রথম বিষয়ে আসি। যেখানে বললাম উনি সাধারণ জীবনযাপনের জন্য আদর্শ তারকা। উনি যে এতো ধনী তাও উনি যা ব্যবহার করেন তা অবাক করার মতো। ছোটখাটো তারকারাও নিজের গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন সেখানে কিয়ানু রিভস পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেন। কোথাও যেতে হলে সবার মতো দৌড়ে এসে বাস ধরে উঠে পড়েন! দূরযাত্রার ভ্রমণেও ট্রেনই ভরসা। একটা নিউজপেপার নিয়ে বসে যান কামরার এক কোনে।
আমি ব্যক্তিজীবনে বেশ ইন্ট্রোভার্ট। কি জানি এ কারনে হয়তো কিয়ানু আরও টানে। কিয়ানু রিভস কিন্তু খুব ইন্ট্রোভার্ট। তাকে একা চলাফেরা করতেই দেখা যায়। ব্যক্তিজীবনেও খুব একা। একটা ক্যাফেতে গিয়ে বসে পড়েন। হাতে থাকে নিউজপেপার। তারকা সুলভ কোনো ভাব ভঙ্গিমা নেই। আসছি,বসছি,দুই চারজন ফ্যানের আবদার মেটাচ্ছি আর চলে যাচ্ছি এরকমই ব্যাপারটা। নাহ, সাথে ১০-১৫ গার্ড প্রয়োজন পড়েনা! এরকম কয়জন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় তারকা করে থাকে? ওহ, চ্যারিটিতে প্রচুর দানের কথাটা বলাই হয়নি এখনো!
মানুষটা আমার অনুপ্রেরণার জন্য অনেক বড় উৎস। তার মুভির কথা বললে দেখে নিতে পারেন ম্যাট্রিক্স মুভি সিরিজ, জন উইক মুভি সিরিজ, Sweet November, Constantine, The whole truth, Chain reaction প্রমুখ মুভি৷ সামনে আছে বড় তিন প্রজেক্ট।
John Wick 4
Constantine 2
Matrix 4
এভারগ্রিন পার্সন, জন উইক। 🖤
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন